ঢাকা শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০


স্পিডবোট ট্র্যাজেডি: নারী-শিশুসহ ২৬ জনের মরদেহ উদ্ধার

বেপরোয়া আশরাফের মুঠোয় শিমুলিয়া ঘাট


৪ মে ২০২১ ১০:৪৪

আপডেট:
৪ মে ২০২১ ১৭:৩৫

মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মেদেনীমণ্ডল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফ হোসেনের হাতের মুঠোয় শিমুলিয়া ঘাট। ঘাটের ইজারাদার আশরাফ প্রতি বছর অবৈধভাবে হাতিয়ে নিচ্ছেন ১০ কোটি টাকা। শুধু ঘাটেই নয়, লৌহজং উপজেলায় আশরাফ সিন্ডিকেটের একচেটিয়া আধিপত্য। ঠিকাদারি ছাড়াও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, নৌপথ এবং সড়কপথে চাঁদাবাজি করে বিপুল টাকার মালিক তিনি। ১০বছর বছর আগেও তিনি এলাকায় রিকশায় চলাচল করতেন, সাধারণ মানের জীবনযাপন করতেন। এখন চলেন দামি গাড়িতে। পরিবারের জন্য রয়েছে আরও একাধিক গাড়ি বাড়ী। মেদেনীমণ্ডল ইউনিয়নের জশলদিয়া গ্রামের বাড়িতে টিনের ঘরের জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে ২ কোটি টাকায় বিলাসবহুল বাড়ি। চলাচলের সময় তার গাড়ির আগে এবং পেছনে থাকে ৫০-৭০ মোটরসাইকেল। গতকাল লৌহজং উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার সড়ক যোগাযোগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুট। লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাট থেকে প্রতিদিন ১০-১২ হাজার মানুষ পদ্মা পাড় হয়। তাদের চলাচলের অন্যতম মাধ্যম সি-বোট ঘাট। সি-বোট ঘাট জেলা পরিষদের অধীনে অতীতে ইজারার মাধ্যমে পরিচালিত হলেও এখন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। জেলা পরিষদ সর্বশেষ দরপত্রের মাধ্যমে ইজারা থেকে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করলেও বিআইডবি্লউটিএ পাচ্ছে বছরে মাত্র কোটি টাকা।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, সি-বোটে পদ্মা পার হতে দরপত্র অনুযায়ী জনপ্রতি ১২০ টাকা নেওয়ার কথা থাকলেও নেওয়া হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকা। সন্ধ্যার পর সি-বোট চালানোয় নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও জনপ্রতি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় প্রতিদিন পারাপার করা হচ্ছে। ইজারার শর্ত অনুযায়ী ভাড়ার তালিকা বোটঘাটে টানিয়ে দেওয়া কিংবা টিকিটের গায়ে উল্লেখ থাকার কথা থাকলেও এ শর্ত মানা হচ্ছে না। যাত্রী ওঠানো এবং নামানোর জন্য ঘাটে নেই সুব্যবস্থা। ঝুঁকি নিয়েই উঠতে হচ্ছে যাত্রীদের। রাতে সি-বোটে পার হতে গিয়ে ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে যাত্রীর প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে।

একেকটি মাঝারি সি-বোটে ১২-১৪ জন যাত্রী নেওয়ার কথা থাকলেও গাদাগাদি করে নেওয়া হচ্ছে ২৫-৩০ জন। পারাপারের সময় প্রতিজনের লাইফ জ্যাকেট গায়ে দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। বিশেষ করে নারী ও শিশু যাত্রীদের ঝুঁকি নিয়ে পদ্মা পাড়ি দিতে হচ্ছে। আর সি-বোট চালকদের নেই কোনো সনদ কিংবা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা। অতিরিক্ত যাত্রী বহন করায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

সি-বোট ঘাটে নানা দুর্নীতির ক্ষেত্রে ইজারাদার আশরাফ হোসেনের অন্যতম সহযোগী ছিলেন শিমুলিয়া নৌবন্দরের সদ্য বিদায়ী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন

আশরাফ পরিবারের নিয়ন্ত্রণে সি-বোট : শিমুলিয়া ঘাটে আশরাফ পরিবারের বাইরে কম লোকেরই সি-বোট রয়েছে। মাওয়া-কাওড়াকান্দি রুটে আগে অনেকের সি-বোট চলাচল করত। তাদের বেশিরভাগই এখন শিমুুলিয়া ঘাটে সি-বোট চালাতে পারছেন না। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে সি-বোট কম দামে আশরাফের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ঘাটের দেড় শতাধিক বোটের মধ্যে ইজারাদার আশরাফ হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যদের রয়েছে শতাধিক। শুধু আশরাফের রয়েছে ২০টির বেশি সি-বোট। আশরাফের জামাতা শেখ সুমন ও জামাতার বড় ভাই শেখ জামানের আছে ১৫টি। আশরাফের শ্যালক ডিজিটাল মতিনের আছে ১২টি। এ ছাড়া নামে-বেনামে রয়েছে কয়েক আত্মীয়ের অনেক সি-বোট। ঘাটের ইজারাদার আশরাফ হলেও ঘাট থেকে প্রতি মাসে ১০ লাখ টাকার বেশি চাঁদা নেন নৌবন্দর কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিনের নামে। তিনি সম্প্রতি পটুয়াখালী বদলি হয়ে গেছেন,তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন মো. শাহাদাত হোসেন।শিমুলিয়া ঘাট থেকে সদ্য বিদায়ী নৌবন্দর কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিননের তার সামনে সি-বোট ঘাটে অনেক অনিয়ম হলেও তিনি মুখবুজে থাকতেন। মহিউদ্দিন সম্পর্কে এক কর্মচারী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, 'ঘাটে যত অনিয়ম হয় সবকিছু দেখলেও কোনো ব্যবস্থা নিতেনা মহিউদ্দিন। কারণ ইজারাদারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিতেন তিনি।

অভিযোগ বিষয়ে বর্তমান নৌবন্দর কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, আমি নতুন আসছি, প্রায় একমাস ধরে, কাকে কত টাকা চাঁদা দিতো সেই আমি কিছুই জানিনাস।
এদিকে অভযোগ রয়েছে, বর্তমান যিনি দায়িত্ব আছেন, তিনিও ঘাট থেকে মোটা অঙ্কের টাকা চাঁদা পান। এটাকে অটো টাকা বলেন অনেকেই। যার চেয়ার টাকা তার। শুধু অনিয়মকে নিয়মে করা এদের কাজ। অভিযোগ রয়েছে, নিজের একক ক্ষমতাবলে দীর্ঘদিন ধরে ঘাট নিয়ন্ত্রণ করছেন আশরাফ চেয়ারম্যান। 

এদিকে, কোনো ধরণের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই চলছে শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি রুটের স্পিডবোট চলাচল। যাত্রীদের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে ইচ্ছেমতো ভাড়া। ভাড়া নিয়ে প্রশ্ন করলে হয়রানির শিকার হতে হয় যাত্রীদের। প্রতিনিয়তই ঘাট শ্রমিকদের হাতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। প্রকাশ্যে এমন অনিয়ম হলেও বিআইডব্লিউটিএ বলছে কিছুই জানে না তারা।

বোটের যাত্রী মাদারীপুরের বাসিন্দা করিম হাওলাদার বলেন, ৩০০ টাকায় টিকিট কিনেছি, কিন্তু টিকিটের গায়ে কোনো মূল্য লেখা নেই। আর ঘাটের কোথাও মূল্য তালিকাও টানানো নেই। আরেক যাত্রী গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার বাসিন্দা নিয়ামত উল্লাহ বলেন, 'বোটে ১২ জনের জায়গায় ১৮ জন ওঠায়, কিছু বললে খারাপ ব্যবহার করে।' একই জেলার সোলায়মান মিয়া বলেন, 'বৃহস্পতিবার টিকিটের দাম হয়ে যায় দ্বিগুণ। কেন দাম বাড়ানো হয়_ সেটা জানতে চাইলে টিকিট বিক্রি করে না।' ঘাটে অনিয়ম প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নৌবন্দর সদ্য বিদায়ী নৌবন্দর কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন বলেন, 'আমি আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য নই। তার কাছে আশরাফের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি তার সাফাই গান, অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি কোন কথা বলতে নারাজ।

 জানা গেছে, ঢাকার মিরপুরসহ বিভিন্ন স্থানে আশরাফের বাড়ি রয়েছে। লৌহজংয়ের জশলদিয়া গ্রামে অনেক জমি ক্রয় করেছেন আশরাফ। ঢাকা-মাওয়া রুটে চলাচলরত ইলিশ পরিবহনে রয়েছে তার বেশ কয়েকটি বাস।

আশরাফ বাহিনীর মুঠোয় শিমুলিয়া ঘাট : মাদক ব্যবসায়ী রনি, আশরাফ হোসেনের মেয়ের জামাই সুমন, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ জামান, হারুন, রিপন, সালাউদ্দিন, সিরাজ মেম্বার, মকবুল, মিনজুসহ অর্ধশতাধিক সদস্য রয়েছে আশরাফ বাহিনীতে। এই বাহিনীর সদস্যরা শিমুলিয়া ঘাটের চাঁদাবাজি, মেদেনীমণ্ডল ইউনিয়নসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাদক সরবরাহ, মাদক বিক্রি, ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও যাত্রী হয়রানি করে। তাদের মতের বিরুদ্ধে গেলে হামলার শিকার হতে হয় সাধারণ মানুষকে। মেদেনীমণ্ডল ইউনিয়নে গিয়ে আশরাফ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কুমারভোগ গ্রামের ষাটোর্ধ্ব আবদুল হামিদ বলেন, 'সাত বছর আগেও রিকশায় চলাচল করতেন আশরাফ, এখন দামি গাড়ি হাঁকান। সি-বোট ঘাট তার কপাল খুইল্যা দিছে। সারাজীবন আশরাফ হোসেন হিসেবেই জানলাম। এখন নামের পরে খান উপাধিও ব্যবহার করছেন।' আশরাফের গ্রামের একাধিক বাসিন্দা জানান, আশরাফ জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি ইকবাল হোসেনের অন্যতম ক্যাডার ছিলেন; পরে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। তিনি ঢাকার হারুন নামের একজনের সঙ্গে মিলে নিজ বাড়িতে চোরাই বিদ্যুতের তার গলিয়ে বিক্রি করতেন। সে ব্যবসা করতে গিয়ে তিনি মামলার আসামিও হয়েছেন। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে যৌথ বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তার জীবন পাল্টাতে শুরু করে।

অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে আশরাফ হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এদিকে, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটের কাঁঠালবাড়ি ঘাট সংলগ্ন এলাকায় স্পিডবোট ও বালুবোঝাই বাল্কহেডের সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। সোমবার রাতে নৌপুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) লোকমান হোসেন মাদারীপুরের শিবচর থানায় মামলাটি করেন।

এতে  আসামি করা হয় লৌহজং উপজেলার মেদিনীমণ্ডল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলী খানের ছোট ভাই ও শিমুলিয়া ঘাটের ইজারাদার শাহ আলম খান, স্পিডবোটের মালিক চান্দু মিয়া ও জহিরুল ইসলাম ও স্পিডবোটটির চালক শাহ আলমকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নৌপুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক।

এর আগে, সোমবার সকাল ৬টার দিকে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ির বাংলাবাজার পুরনো ঘাটে বালুবোঝাই একটি বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে স্পিডবোট ডুবে ২৬ জনের প্রাণহানি ঘটে। তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর কাঁঠালবাড়ির হাজী ইয়াসিন মোল্লাকান্দি দোতারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

নিহতরা হলেন, খুলনার তেরখাদা উপজেলার বারুখালির মনির মিয়া (৩৮), হেনা বেগম (৩৬), সুমি আক্তার (৫) ও রুমি আক্তার (৩); ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার চরডাঙা গ্রামের আরজু শেখ (৫০) ও ইয়ামিন সরদার (২); মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার সাগর ব্যাপারী (৪০) ও সাগর শেখ (৪১); কুমিল্লার দাউদকান্দির কাউসার আহম্মেদ (৪০) ও রুহুল আমিন (৩৫) এবং তিতাস উপজেলার জিয়াউর রহমান (৩৫); মাদারীপুরের রাজৈরের তাহের মীর (৪২), রায়েরকান্দির মাওলানা আব্দুল আহাদ (৩০) এবং শিবচরের হালান মোল্লা (৩৮) ও শাহাদাত হোসেন মোল্লা (২৯); ভোলার ভেদুরিয়ার আনোয়ার চৌকিদার (৫০); চাঁদপুরের মতলব উত্তরের মো. দেলোয়ার হোসেন (৪৫); নড়াইলের লোহাগড়ার রাজাপুরের জুবায়ের মোল্লা (৩৫); বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের মো. সাইফুল ইসলাম (৩৫), সায়দুল হোসেন (২৭) ও রিয়াজ হোসেন (৩৩); ঢাকার পীরেরবাগের খোরশেদ আলম (৪৫); ঝালকাঠি নালছিটির এসএম নাসির উদ্দীন (৪৫); পিরোজপুরের চরখালীর মো. বাপ্পি (২৮) এবং ভাণ্ডারিয়ার জনি অধিকারী (২৬)।

এদিকে দুর্ঘটনা তদন্তে সোমবার দুপুরে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন। কমিটিতে স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আজাহারুল ইসলামকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। তিন কর্মদিবসের মধ্যে তারা প্রতিবেদন দাখিল করবেন কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামান, শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেন, শিমুলিয়া বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন, শিবচরের চরজানাজাত নৌ-পুলিশের ইনচার্জ শেখ মো. আব্দুর রাজ্জাক ও নারায়ণগঞ্জের পাগলা কোস্টগার্ড স্টেশনের কমান্ডার লে. আসমাদুল।

এদিকে বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে স্পিডবোটের ২৬ যাত্রী নিহতের ঘটনায় স্পিডবোটটির চালক শাহ আলমকে আটক করেছে পুলিশ। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (০৩ মে) বিকেলে তাকে আটক করা হয়। দুর্ঘটনার পর শাহ আলমসহ পাঁচজনকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। তাকে এখন পুলিশের নজরদারিতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, ইতোমধ্যে দুর্ঘটনা এলাকা পরিদর্শন করেছি। যারা দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেয়া হচ্ছে