ঢাকা মঙ্গলবার, ২১শে মে ২০২৪, ৭ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


ডিপিডিসির ইডি রমিজ উদ্দিনের অঢেল সম্পদ


২১ জানুয়ারী ২০১৯ ২০:০৬

আপডেট:
২১ মে ২০২৪ ০৪:২৮

ডিপিডিসির ইডি রমিজ উদ্দিনের অঢেল সম্পদ


দুর্নীতির মাধ্যমে শত কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন ঢাকা পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) নির্বাহী পরিচালক (প্রকৌশল) রমিজ উদ্দিন সরকার। এছাড়া রমিজ দম্পতির বিরুদ্ধে অর্থ পাচারেরও অভিযোগ রয়েছে। শুধু ঢাকাতেই রমিজ উদ্দিনের পাঁচটি বাড়ি রয়েছে। এছাড়া টঙ্গী, গাজীপুর ও কুমিল্লায় রয়েছে কয়েকশ একর জমি এবং বিদেশে অর্থপাচার করেছেন।

ওই ‘বিপুল’ পরিমাণ অবৈধ সম্পত্তির সন্ধান পেয়ে তাদের সম্পদের বিবরণী দাখিলের জন্য নোটিস পাঠিয়েছে দুদক। গতকাল রবিবার দুদকের উপপরিচালক ঋত্বিক সাহা স্বাক্ষরিত নোটিসে আগামী সাত দিনের মধ্যে তাদের সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।

দুদকের অনুসন্ধান থেকে জানা গেছে, এই কর্মকর্তা ও তার স্ত্রী সালমা পারভীনের নামে ঢাকাসহ দেশে-বিদেশে অবৈধ সম্পদ রয়েছে। উত্তরার ৫নং সেক্টরের ২নং রোডে ৭ তলা বিশিষ্ট ১৩ নম্বর বাড়ি। মিরপুরের পূর্ব মনিপুরে ৬ তলা বিশিষ্ট বাড়ি নম্বর ১৩০৭/ডি। মিরপুরের ২৮ মল্লিকা মিল্ক রোডে ৪ তলা ফ্ল্যাট। মহানগর রামপুরা হাউজিংয়ের ৮ নম্বর রোডে ২০২ নম্বর বাড়ি। এছাড়াও, ব্লক-ডিতে ৪.৫ কাঠা জমির ওপর ৫টি দোকান নির্মাণ ও টিনশেড বাড়ি, পূর্ব রামপুরা ১৭৭/৫/১ এলাকায় ৯.৪৮ শতাংশ জমি ও এর ওপর বাড়ি, টঙ্গী ও গাজীপুরে নামে-বেনামে ৩০ একর জমি, কুমিল্লার গ্রামের বাড়িতে রয়েছে একরে একরে জমি ও মুরাদনগরে স্ত্রী সালমা পারভীনের নামে ৫০ বিঘা জমি ক্রয় এবং শেয়ার মার্কেটে বিশাল অংকের বিনিয়োগ ছাড়াও নামে-বেনামে আরও বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে।

এছাড়াও, গাজীপুরে জায়গা বিক্রি করে হুন্ডির মাধ্যমে সেই টাকা দেশের বাইরে পাঠিয়ে পুনরায় বাংলাদেশে আনার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে। আর এই অভিযোগের অনুসন্ধানী কর্মকর্তা হিসেবে আছেন সংস্থার উপ-সহকারী পরিচালক শহিদুর রহমান।



অনুসন্ধানের দায়িত্বে থাকা দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, পুঁজিবাজারে এই দম্পতির নামে বড় অংকের বিনিয়োগ রয়েছে। সেটি খতিয়ে দেখছে দুদক। এছাড়া বেনামে বড় অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করা আছে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।

ডিপিডিসির একজন কর্মকর্তা গতকাল দেশ রূপান্তরকে বলেন, রমিজ স্যারদের তো টাকার অভাব নেই। বিদ্যুৎ চুরি আর ঘুষ দিয়েই পার করেন। তিনি বেতনের ধার ধারেন না।