ঢাকা শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


১৫শ’ মণ পচা মাছ-মাংস জব্দ, ২০ লাখ টাকা জরিমানা


২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৮:৫৪

আপডেট:
১৭ মে ২০২৪ ১৯:৪০

১৫শ’ মণ পচা মাছ-মাংস জব্দ, ২০ লাখ টাকা জরিমানা

ঢাকা: রাজধানীর কারওয়ান বাজারে চ্যানেল আইয়ের মালিকানাধীন সেভ অ্যান্ড ফ্রেস হিমাগার কর্তৃপক্ষকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ১৫শ’ মণ পচা মাছ ও মাংস জব্দ করা হয়।

এর মধ্যে গরু, মহিষ, ভেড়ার মাংস ও চিকেন নাগেট মিলিয়ে ১১শ’ মণ এবং কোরাল মাছ, শামুক, ঝিনুক, কাঁকরা রয়েছে ৪শ’ মণ।

মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে অভিযান শুরু হয়। অভিযানে সহায়তা করেন র‌্যাব-২ এর কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন ফারুকী ও প্রাণিজ সম্পদ বিভাগের ঢাকা জেলার কর্মকর্তা ডা. ইমদাদুল হক।


মাংসের কার্টনে দেখা যায়, ২০১৬ সালে এসব মাংস প্যাকেটজাত করা হয়। এগুলোর মেয়াদ ২০১৭ সালের ৪ অক্টোবর শেষ হয়ে গেছে। প্রায় ১০ থেকে ১৫ কেজি ওজনের কোরাল মাছ সংরক্ষণের মেয়াদও শেষ হয়েছে দুই বছর আগে। কোরাল মাছ, কাঁকরা, ঝিনুক, শামুক সংরক্ষণের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৪ সালে। চিকেন নাগেটের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৬ সালে। রমজানে ব্যাপক চাহিদা থাকায় এসব মালামাল মজুদ করা হয়েছিল।


র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, ইগলু, হারফি, রুস্তম ফুড ও ফুড চেইন এশিয়া লিমিটেড নামে চারটি কোম্পানির মাছ ও মাংস জব্দ করা হয়েছে। কোম্পানির মালিকদের ডাকা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে সেভ অ্যান্ড ফ্রেস হিমাগার কর্তৃপক্ষকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জব্দ করা এসব মালামাল ডেমরায় ডাম্প করা হবে।

র‌্যাবের পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন ফারুকী বলেন, এসব পচা মাছ ও মাংস রাজধানীর বিভিন্ন খাবারের দোকান ও সুপার শপে সরবরাহ করা হতো।

সেভ অ্যান্ড ফ্রেস হিমাগারের কর্মচারী নয়ন জানান, হিমাগার কর্তৃপক্ষের কোনো নিজস্ব মালামাল এখানে নেই। ফুড কোম্পানি ও মাছ ব্যবসায়ীরা ভাড়া নিয়ে এখানে মালামাল রাখেন, আবার নিয়ে যান। বিক্রি না হলে আবার এখানে রেখে যান। চ্যানেল আইয়ের মালিকানাধীন এই হিমাগারটি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছিল।


হিমাগার থেকে মাছ-মাংস সরাতে একটি কার্গো ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। ওই গাড়ির চালক সোহেল রানা জানান, গতকাল রাতে ৪ হাজার টাকায় কার্গোটি ভাড়া দেওয়া হয়েছে। মালগুলো গাড়িতেই থাকতো। আজ রাতে আনলোড করার কথা ছিল। কোথাও নেওয়ার চুক্তি হয়নি।

প্রাণিজ সম্পদ বিভাগের ঢাকা জেলার কর্মকর্তা ডা. ইমদাদুল হক বলেন, এসব পচা মাংস দিয়ে বিরিয়ানি, কাবাব, হালিম তৈরি হয়ে থাকে। ফাস্ট ফুড শপে বিক্রি হয়। চিকেন আইটেম ভারত থেকে আনা হয়েছিল। আমরা জানি, ভারতে সোয়াইন ফ্লু ছড়িয়ে পড়েছে। এসব পরীক্ষা না করেই হিমাগারে রাখা হয়েছিল- বিষয়টি আশঙ্কাজনক।

তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়া থেকে মাংস আমদানি করা হয়েছে। সেখানে ম্যাক কাউ নামক জীবানু ছড়িয়ে পড়েছে। ওইসব মাংসও পরীক্ষা না করেই হিমাগারে রাখা হয়েছে। সাধারণ মানুষ এগুলো কিনে খেতো।