ঢাকা মঙ্গলবার, ৬ই মে ২০২৫, ২৪শে বৈশাখ ১৪৩২


স্থানীয় নির্বাচনে আ'লীগ শিক্ষাগত যোগ্যতা আরোপ করেনি


১০ এপ্রিল ২০১৯ ১৮:০৫

আপডেট:
৬ মে ২০২৫ ১০:০০

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের বিষয়ে কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা আরোপ করেনি আওয়ামী লীগ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ সংক্রান্ত প্রচার ভিত্তিহীন। এছাড়া দলের এমপি-মন্ত্রীরা জেলা-উপজেলা আওয়ামী লীগের পদে থাকতে পারবে না- এমন সিদ্ধান্তও হয়নি।

বেশ কিছুদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের কিছু নেতা-কর্মী প্রচার করে বেড়াচ্ছেন- আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এইচএসসি এবং মেম্বার পদে এসএসসি পাশের শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগবে।

বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল আওয়ামী লীগে ধূম্রজাল তৈরি হলে, এ প্রতিবেদক ক্ষমতাসীন দলটির দায়িত্বশীলদের সঙ্গে কথা বলেন।

দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, আমাদের দলের কোন ফোরামে এমন আলোচনা হয়নি। এটি একটি আইনী বিষয়। এসব প্রচার ভিত্তিহীন। এমপি-মন্ত্রীদের পদায়নের বিষয়ে তিনি বলেন, এটিও একটি ভিত্তিহীন প্রচার। তৃণমূলের কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে আমাদের জেলা-উপজেলায় কমিটি হয়। যারা রাজনৈতিক ভাবে যোগ্য তাদেরকেই পদায়ন করা হবে।

এ বিষয়ে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও দলের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী  বলেন, এসব ভিত্তিহীন প্রচার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এ লাগামহীন প্রচার-প্রচারণার বিষয়ে সবাইকে আরো দায়িত্বশীল হতে হবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থীদের জন্য আওয়ামী লীগ কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা আরোপ করেনি।

তবে দলের নেতারা বলছেন, স্থানীয় পর্যায়ে শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়ে কোন কড়াকড়ি না থাকলেও শিক্ষিত মানুষগুলোই সামাজিকভাবে সমাদৃত। তাই রাজনৈতিক ঐতিহ্যের পাশাপাশি শিক্ষাগত যোগ্যতা যেকোন প্রার্থীকে নিঃসন্দেহে এগিয়ে রাখবে। নিয়মানুযায়ী যারা ভোটার তারা সবাই প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা রাখেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তৃণমূলে দীর্ঘদিন যারা পদবঞ্চিত, অনুপ্রবেশ করে ক্ষমতাসীন দলে জায়গা করে নেওয়াদের ভিড়ে চাপা পড়া ত্যাগী নেতা-কর্মী এবং দীর্ঘদিন ছাত্র রাজনীতি করে মূল দলের রাজনীতির পাইপলাইনে অপেক্ষমান- তাদের অনেকেই রাজনীতিতে আরো গুণগত পরিবর্তন চান। দেশে শিক্ষার হার বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ দলীয় পদ-পদবীতেও শিক্ষাগত যোগ্যতার বালাই চান তারা।

১২ এপ্রিল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক, যৌথ সভা ১৯ এপ্রিল: দেশব্যাপী আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সফরকে সামনে রেখে আগামী ১২ এপ্রিল বিকেলে গণভবনে দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর দলের কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদ সদস্যদের যৌথসভা অনুষ্ঠিত হবে। এসব বৈঠকে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সফরের বিষয়ে গাইডলাইন (দিক নির্দেশনা) দিবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এদিকে, উপজেলা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের বিরোধিতা করা এমপি-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দলের দফতরে জমা হওয়া অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখছেন আওয়ামী লীগের আট সাংগঠনিক সম্পাদক। এ তদন্ত শেষে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে তাদেরকে শোকজ নোটিশ পাঠানো হবে।

দলীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবসে মেহেরপুরে আওয়ামী লীগের এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু ও সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতিমÐলীর সদস্য, মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।