ঢাকা মঙ্গলবার, ৬ই মে ২০২৫, ২৪শে বৈশাখ ১৪৩২


যে শর্তে ছাত্রলীগ করতে পারবে বিবাহিতরা!


১৫ মে ২০১৯ ১২:২২

আপডেট:
১৫ মে ২০১৯ ১২:২৫

যেকারণে বিবাহিতরা ছাত্রলীগ করতে পারবেনা!

দলীয়সূত্রে জানা যায়, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মনিরুজ্জামান বাদল স্ত্রী-সন্তান রেখে মারা যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জারি করেন স্ত্রী-সন্তান থাকলে ছাত্রলীগ করতে পারবেনা।
। আরো জানা যায়, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মনিরুজ্জামান বাদল স্ত্রী-সন্তান রেখে মারা যাওয়ায় , তার সন্ত্রান স্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার কোন লোক ছিল না। মনিরুজ্জামান বাদলের রেখে যাওয়া স্ত্রী-সন্তান দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং শেখ হাসিনা। এ কারণে বিবাহিত বা যাদের সন্তান আছে তারা ছাত্রলীগ করতে পারবেনা, কারণ ছাত্রলীগ একটা উঠতি বয়সী যুবকদের সংগঠন, তাই যেকোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই দুর্ঘটনা ঘটলে সন্তান স্ত্রীদের দায়িত্ব কে নিবে? এই আশংকা থেকে নিষেদ করা হয়েছে।


যে শর্তে বিবাহিতরা ছাত্রলীগ করতে পারবে!

কোন ছাত্রলীগ নেতার যদি বয়স থাকে এবং সংসারের স্ত্রী,সন্তান না থাকে সে ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা যে ভয়ে বিবাহিত নিষেধ করেছেন,তার কোন ভয় বা আশংকা থাকেনা। এক্ষেত্রে ছাত্রলীগ করা যেতে পারে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট জন।

যেকারণে বিবাহিত ডিভোর্সী মেয়েরা ছাত্রলীগ করতে পারবে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একজন মেয়ে ১৬-২০ বছরের মধ্যে মেয়ের বিয়ে হয়, সেক্ষেত্রে যদি একজন ডিভোর্স হওয়া মেয়ে ছাত্রলীগ করতে পারে। তাছাড়া আমাদের রাজনীতিতে মেয়েদের অংশগ্রহন খুবই কম,অংশগ্রহন বাড়াতে তাই এক্ষেত্রে ডিভোর্সপ্রাপ্ত মেয়েরা ছাত্রলীগ করলে দোষের কিছুই নাই।

এসম্পর্কে সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাসুমা আক্তার পলি বলেন, ‘ছাত্রলীগ করলেও মেয়েরা বিয়ে করতে পারে। নেত্রী মেয়েদের ক্ষেত্রে নিয়মটা শিথিল করেছেন।’ তার প্রশ্ন, ‘২৯ বছর পর্যন্ত বিয়ে করতে না পারলে মেয়েরা বিয়ে করবে কখন।
এসম্পর্কে ছাত্রলীগের সভাপতি শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন , ডিভোর্স প্রাপ্ত মেয়েরা ছাত্রলীগ করতে পারবে, কারণে রাজনীতে মেয়েদের অংশগ্রহন কম তাই অংশগ্রহন বাড়াতে ডিভোর্সপ্রাপ্ত মেয়েরা ছাত্রলীগ করতে পারবে।


উল্লেখ্য, ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের ৫ (ক) অনুচ্ছেদে বলা আছে, অনূর্ধ্ব ২৭ বছর বয়সী বাংলাদেশের যে কোনও বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক স্বীকৃত যে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র বা ছাত্রী বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রাথমিক সদস্য হতে পারেন। প্রতি শিক্ষাবর্ষে সদস্যপদ নবায়ন করা বাঞ্ছনীয়।
 প্রাথমিক সদস্যের ক্ষেত্রে ২৭ বছর হলেও নেতৃত্বের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ২৯ বছর পর্যন্ত।
কোনও সরকারি চাকরিজীবী যে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে থাকতে পারবেন না, সে কথাও পরিষ্কার করে উল্লেখ করা হয়েছে। গঠনতন্ত্রের ৫ (গ) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, যে কোনও নিয়মিত ছাত্র (৫ এর ক উপধারা অনুযায়ী) ছাত্রলীগের কর্মকর্তা ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সদস্য হতে পারে। সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত কোনও ছাত্র ছাত্রলীগের কর্মকর্তা হতে পারবে না।
বিবাহিতদের বিষয়ে গঠনতন্ত্রে কিছু বলা নেই। তবে শেখ হাসিনার নির্দেশের কারণে বিবাহিতদের কোনও পদে না রাখা অলিখিত নিয়ম বলেই মনে করা হয় ছাত্রলীগে।