ঢাকা মঙ্গলবার, ৬ই মে ২০২৫, ২৪শে বৈশাখ ১৪৩২


ছাত্রলীগের পুর্ণাঙ্গ কমিটি,

ত্যাগীদের অপবাদ দিয়ে, হাইব্রিডদের পূর্নাবাসন করতে মরিয়া সিন্ডিকেট


১৬ মে ২০১৯ ২০:২৬

আপডেট:
১৬ মে ২০১৯ ২০:২৯

ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর যে ক্ষোভ-বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে তার মূলেই রয়েছে সিন্ডিকেট!

পুরনো আধিপত্য ধরে রাখতে পোড় খাওয়া ছাত্রলীগ কর্মীদের বিতর্কিত করার চেষ্টায় মাঠে  নামিয়েছে সিন্ডিকেট মদদপুষ্ট ছাত্রদল,শিবির। অনুপ্রবেশকারীদের শীর্ষ পদ নিশ্চিত করতেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুককে অপপ্রচারের হাতিয়ার হিসেবে বেঁছে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের পুর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেওয়ার পরই ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে শিবিরের অনুপ্রবেশকারী সেলের নীতি নির্ধারকেরা। ছাত্রলীগের কথিত সিন্ডিকেটের মদদে টার্গেট করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে দৈনিক আমাদের দিনকে অভিযোগ করেন একাধিক সূত্র।

এর পর দৈনিক আমাদের দিন অধিকতর অনুসন্ধান করতে গিয়ে বেড়িয়ে আসে শিবিরের নীল নকশা।
গোপন সূত্র জানায়, ছাত্রলীগের পুর্ণাঙ্গ কমিটি হওয়ার পর বিভিন্ন পোপাগান্ডা সেল তৈরি করেছে সিন্ডিকেটের মদদপুষ্ট শিবির। আওয়ামী পরিবারের সন্তান ও ত্যাগীদের বাছাই করে চালানো হচ্ছে অপপ্রচার। নাম মাত্র নিউজ পোর্টাল ও ফেসবুককে অপপ্রচার চালানোর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে শিবির পারদর্শীরা।

এমনকি পোড় খাওয়া ছাত্রলীগ কর্মীদের শিবির ও ছাত্রদল কর্মী বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে। সিন্ডিকেটের কাঁধে বন্দুক রেখে শিবির নেতারা তাদের প্রপাগান্ডা সেলের কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলেও জানা যায়।

শিবিরের রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা জানান, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে অলিখিত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার পরই ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলে অনুপ্রবেশকারী ঢুকিয়ে রাজনীতি পাকাপোক্ত করার কৌশল অবলম্বন করে শিবির। যার ধারাবাহিকতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার প্রথম বর্ষ থেকেই টার্গেট করে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত করে দেয়া হয় শিবির সমর্থকদের।

কথিত সিন্ডিকেটের ভাইদের আশির্বাদ পাওয়ার জন্য চলে লভিং তদবির। হল শাখায় ছাত্রলীগের পোষ্ট নেয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয় তাদের কার্যক্রম।


শিবিরের শিক্ষার্থীদের হলে সিট দেয়া থেকে শুরু করে সকল সুযোগ সুবিধা আসে এই অনুপ্রবেশকারীদের হাত থেকে। অনেক ক্ষেত্রে পোড় খাওয়া ছাত্রলীগ কর্মীদের থেকে বেশি সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন শিবিরের অনুপ্রবেশকারীরা।

আর ছাত্রলীগের আদলে ভেতরে ভেতরে চলে শিবিরকে সুসংগঠিত করার কার্যক্রম। পরে টার্গেট হয় সেন্ট্রাল ছাত্রলীগ। সেখানে ছোট খাটো পোষ্ট নিয়ে ছাত্রলীগের খাতায় পাকাপোক্ত ভাবে নাম লেখান অনুপ্রবেশকারীরা। ছাত্রলীগের লেবাস গায়ে নিয়ে সাজানো ছকে সিড়ি বেয়ে উপরে উঠতে থাকে শিবির কর্মীরা।

ছাত্রলীগের শীর্ষ পদ পেতে অর্থ লভিং কোন কিছুর কমতি পড়ে না দিন শেষে। ভেতরে ভেতরে ছাত্রলীগের আদর্শের কর্মীদের পদবঞ্চিত করতে সকল কৌশলই অবলম্বন করেন তারা।
সাম্প্রতিক সময়ে কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলনে ছাত্রলীগের অবস্থান ও গণ হারে ছাত্রলীগ নেতাদের পদত্যাগের পর টনক নড়ে আওয়ামী লীগের। স্পষ্ট হয়ে যায় ছাত্রলীগের মধ্য শিবিরের অবস্থান নিয়েও।

এছাড়াও বিভিন্ন সরকার বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রলীগ নেতাদের নিশ্চুপ আচরণের কারণ হিসেবে গোয়েন্দা সংস্থার কাছে উঠে আসে শিবিরের অবস্থান ।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বিগত পুর্ণাঙ্গ কমিটি গুলোতে এই কৌশলে সফলতা পেলেও এবার কিছুটা বিপাকে তারা। কারণ কথিত সিন্ডিকেট হাতে নেতা বানানোর ক্ষমতা নেই। তাই কৌশল পরিবর্তন করে ছাত্রলীগের পোড় খাওয়া কর্মীদের বিতর্কিত করতে চাইছেন তারা।

গোয়েন্দা সংস্থার চোখে ধুলো দিতেই এই কৌশল অবলম্বন করেছেন বলে গোপন সূত্রে জানায়।
আর এই কৌশল বাস্তবায়নে কথিত সিন্ডিকেট প্রধানদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন বলেও জানা যায়। তবে ফেসবুকে ফেক আইডি ও সদ্য ছাত্রলীগে প্রবেশকারীদের দিয়েই অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে জানা যায়।