কৃষক বাচাঁতে পাঁচ দফা দাবি ছাত্রলীগের!

কৃষকদের পক্ষে পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।
সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুক এক পোস্টে এ দাবি তুলে ধরেন তিনি।
তিনি ও পোষ্টে বলেন, আমাদের ধান চাষী কৃষক ভাইয়েরা মূলত দুটো সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, শ্রমিক মুজুরি বেশি আর ধানের দর কম। দেখা যাচ্ছে, এক মণ ধানের দামের চেয়ে একজন শ্রমিকের মজুরী বেশি!
এজন্যই ১ম সমস্যা লাঘবে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ক্ষেতের ধান কেটে কৃষকের পাশে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের।
২য় সমস্যাটা অধিক গুরুতর! কৃষকের ঘাম ঝরা কষ্টে উৎপাদিত ধান কিনে আড়তদার, চাতাল মালিক, পাইকারদের মতো মধ্য সত্ত্ব ভোগী, আর খুচরা বিক্রেতারা লাভবান হচ্ছে, লোকসান গুনছেন কেবল অসহায় প্রান্তিক কৃষক।
সরকারিভাবে ধান কেনা শুরু হয়েছে। মূল্য নির্ধারিত হয়েছে, হাজার চল্লিশ। কিন্তু মধ্য সত্ত্ব ভোগী সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে তারা পাচ্ছেন মাত্র পাঁচ বা ছয়শত টাকা।
পাঁচ দফা দাবি!
১. অনতিবিলম্বে সরকারি ভাবে ধান চাষীদের তালিকা প্রস্তুত করতে হবে।
২. প্রকৃত কৃষকদের সরাসরি সরকারি গোডাউনে ধান বিক্রির সুযোগ করে দিতে হবে।
৩. প্রয়োজন অনুপাতে ইউনিয়ন পর্যায়ে ক্রয় কেন্দ্র চালু করতে হবে।
৪. ধান ক্রয়ের সময় অবশ্যই কৃষি কর্মকর্তাকে উপস্থিত থাকতে হবে।
৫. কোনো চাতাল মালিক বা আড়তদার ব্যবসায়ীকে সরকারি গোডাউনে ধান বিক্রির সুযোগ দেয়া যাবে না। এর ব্যত্যয় হলে গোডাউন ও কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
বলা বাহুল্য, সরাসরি তাদের কাছ থেকে কেনা না হলে সরকারের এই মহতী উদ্যোগের সুফল পাবে না কৃষক। সেটা নিশ্চিত করতে প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট 'জেলা প্রশাসক' এবং 'উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা'র পূর্ণ সদিচ্ছা আর কঠোর নজরদারি।
আর এক্ষেত্রে 'মিডেলম্যান'দের হটিয়ে প্রশাসন আর প্রকৃত কৃষকদের মাঝে সেতুবন্ধন গড়ে দিয়ে ন্যায্যমূল্য পেতে কৃষকদের সাহায্য করতে পারে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
আমার আত্মার পরম আত্মীয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পরিবারের প্রতিটি নেতাকর্মীর উদ্দেশ্যে উদাত্ত আহবান থাকবে, আজকে থেকে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে মাঠে নামুন, আমাদের অসহায় কৃষক ভাইদের পাশে দাঁড়ান।
কৃষক বাঁচলেই দেশ বাঁচবে।