এবার কথায় নয়, কাজে প্রমাণ দিবে ছাত্রলীগ:রাব্বানী

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রার্থীকে জীবন বাজি রেখে জিতিয়ে আনবে ছাত্রলীগ দৈনিক আমাদের দিনের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে ছাত্রলীগের সাধারনণ সম্পাদক মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাত গোলাম রাব্বানী একথা বলেন।তিনি বলেন, এবার কথায় নয়, কাজে প্রমাণ দিতে হবে ছাত্রলীগকে।
সময় কম, জননেত্রী দেশরত্ন হাসিনার ছুড়ে দেয়া চ্যালেঞ্জ আমরা লুফে নিয়েছি দৃঢ় প্রত্যয়ে। এখন আমাদের কথায় নয়, কাজে প্রমাণ দিতে হবে।'ঘরে ঘরে গিয়ে লাভ নাই, মানুষের মনে স্থান করে নিতে হবে আগে।'কেন্দ্র সহ দেশের ছোট-বড় প্রতিটি ইউনিটে বৈধ কমিটি দ্বারা পরিশ্রমী ও যোগ্যদের দিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে প্রতিটি সংসদীয় আসনে কমিটি করে গুছিয়ে নিতে হবে সবার আগে।
সারাদেশে নেতাকর্মীদের পরামর্শ দিয়ে বলেন, নিজেদের মাঝে গুণগত পরিবর্তন অত্যন্ত জরুরী। হাসিমুখে সুন্দর ব্যবহার, যেকোনো অন্যায়ের প্রতিবাদ, সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ে সোচ্চার, নিয়মিত জনহিতকর ও মানবিক কর্মে মানুষের মনে শ্রদ্ধা-ভালোবাসার স্থায়ী আসন গেড়ে নেয়া, তবেই মানুষ ভালোবাসবে, কথা শুনবে, বিশ্বাস করবে, মানবে।'
এ সময় আরো বলেন, 'নিজ দলের লাখো বঞ্চিত নেতা-কর্মীর সংগত অভিমান ভাঙানোর উদ্যোগ নেয়া জরুরী, দু:সময়ের যে কর্মীরা 'ব্যক্তিস্বার্থ পুজারী' দ্বারা নিগৃহীত হয়ে, কষ্ট পেয়ে একবুক অভিমান নিয়ে দূরে সরে গেছে, তাদের প্রাপ্য মূল্যায়ন করে আবার কাছে টানতে হবে। সবাইকে এক সুরে শিক্ষা-শান্তি-প্রগতি সুরে সাম্য-ঐক্যের গান গাইতে হবে।'
'ইতিবাচকতার ব্রান্ড এম্বাসেডর হয়ে বদলে যাবার প্রচেষ্টা থাকতে হবে প্রতিটি নেতা-কর্মীদের কথায়, আচরণে, কর্মে। সাধারণ শিক্ষার্থী ও গণমানুষের কাছে যেন 'পজেটিভ চেঞ্জ'র এই বার্তাটা পৌছে যায়।'
'ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়, এই মানসিকতা স্বীয় অন্তরে ধারণ করুন। সংগঠন এর হাজারো নেতা-কর্মীর দু:খ, কষ্ট, অভিমান, বঞ্চনা, অপ্রাপ্তির কথা শুনে, তা অনুভব করে, সাধ্যমতো সমাধান এর চেষ্টা করতে হবে। মাঠে ঘাম ঝরানো তৃণমূল কর্মীদের পালস বুঝতে হবে। দলের ভিতরে শুদ্ধি অভিযান চালিয়ে অনৈতিক সুবিধা নিতে এবং সংগঠনকে কলুষিত করতে ঢোকা অনুপ্রবেশকারী ছাত্রদল-শিবির সব ঝেঁটিতে বিদেয় করে সেখানে যোগ্যদের রিপ্লেস করা এখন সময়ের সেরা দাবী!'
'যারা অতীতে ছাত্রলীগ এর জন্য সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়েছে, সংগঠনের জন্য আক্রান্ত হয়েছে তাদের খোঁজ-খবর নিতে হবে, চিকিৎসা, কর্মসংস্থান ও বেটার লাইফ নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নিতে হবে। দলীয় নেতা-কর্মী, সমর্থক-শুভাকাঙ্ক্ষী ও সাবেকদের নিয়মিত চাঁদা ও দানের ভিত্তিতে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে নিজস্ব তহবিল গঠন করতে হবে। সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ফান্ড করতে হবে, সংগঠন এর নিজস্ব নিউজ পোর্টাল, আইটি সেল, মিডিয়া সেল গড়ে তুলতে হবে। ইনশাল্লাহ, সংগঠনে সকল নেতা-কর্মীর সক্রিয় অংশগ্রহণ ও কর্মপরিধি নিশ্চিত করে কুক্ষিগত ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ শুরু হবে শেখ হাসিনার ছাত্রলীগের হাতেই।'
'ইনশাল্লাহ, আওয়ামীলীগকে তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আনতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত, শেখ হাসিনার লাখো ভ্যানগার্ডকে পাশে পাবো গুণগত পরিবর্তন আর ইতিবাচকতার জয়গানে সুরে সুর মেলাতে। আমাদের মাঝে ভালো কিছু করার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে সাধারণ মানুষও ঠিক কথা শুনবে, হাসি মুখে ভোট দেবে শেখ হাসিনার নৌকায়।'