ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ১৫ই মে ২০২৫, ২রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২


ছাত্রলীগের ফেরদৌস আলমের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা


১৭ মে ২০১৯ ০৯:৪৯

আপডেট:
১৭ মে ২০১৯ ১২:২৪

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা হবার পর বিদ্রোহী অংশটি বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত যে তালিকাটি দিয়েছে, তাতে অনেককেই মিথ্যা অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এমনি একজন সাংগঠনিক সম্পাদক ফেরদৌস আলম, যার নামে অভিযোগ আনা হয়েছে যে তার দাদা রাজাকার ছিলো, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নারী উত্যক্তের দায়ে বহিস্কৃত।

তবে আত্মপক্ষ সমর্থন করে ফেরদৌস আলম বলেন, আমার নামে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও কল্পনাপ্রসূত। একটি পক্ষ প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে এসব বানোয়াট প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। আমার দাদা রাজাকার তো নয়েই, বরং একজন প্রকৃত মুজীব প্রেমী ছিলেন। আর আমি নারী উত্যক্তের কারণে নয়, বরং সাধারণ শিক্ষার্থীদের কণ্যানার্থে পচা ও পোকাযুক্ত খাবার ক্যান্টিনে পরিবেশন করায় প্রতিবাদের দরুণ বহিস্কৃত হয়েছিলাম, কিছুদিন পরে তা উঠেও যায়। আর আমি এর আগেও হল, বিশ্ববিদ্যালয় ও কেন্দ্রের নেতা ছিলাম, আমার এসব সমস্যা থাকলে তারা আমাকে কিভাবে মূল্যায়িত করেছে?

অধিকতর অনুসন্ধান করে তার বক্তব্যের সত্যতা পাওয়া গেছে।

...এ নিয়ে তার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ফেরদৌস ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মি। তার বাবা ও দাদা কে আমি ব্যক্তিগত ভাবে চিনি। তারাও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসী।ভাংনী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগ এর সভাপতি মানিক তালুকদার বলেন, ফেরদৌস আমার ভাতিজা। ওর পুরো পরিবার মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসী। ওর নামে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ, রংপ‌ুর জ‌েলা শাখার যুগ্ম সাধারন সম্পাদক তারিকুল ইসলাম বলেন, ফেরদৌস ভাই আমাদের এলাকার কৃতি সন্তান, তিনি আমার গ্রামের লোক। তার পুরো পরিবারকে আমি চিনি। তারা আওয়ামী পরিবার।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রংপুর জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক বলেন, ফেরদৌস ও তার পরিবারকে আমি ব্যক্তিগত ভাবে চিনি দীর্ঘ ২০-২২ বছর যাবৎ। ওর বাবা, মা, চাচাতো ভাই-বোন সবাইকেই আমি চিনি। ওর দাদাকেও আমি দেখেছি, উনি অনেক আগেই মারা গিয়েছেন। ও যখন ক্লাস টেনে পড়ে, মিঠাপুকুরে ছাত্রলীগের বিভিন্ন প্রোগ্রামে আমার সাথে জয়েন করতো এবং ছোট থেকেই ওর ছাত্রলীগ এর প্রতি অন্য রকম ভালোবাসা দেখেছি। ওর পুরো ফ্যামিলিই মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসী।

প্রক্টর অফিসে যোগাযোগ করেও তার বক্তব্যের সত্যতা পাওয়া গেছে। ২০১২ সালে তিনি হল মেস ভাংচুরের দায়ে একবছরের জন্য বহিস্কার হন। এর তিন মাস পরেই তার বহিস্কার তুলে নেয়া হয়।