ঢাকা শনিবার, ১১ই মে ২০২৪, ২৯শে বৈশাখ ১৪৩১


১১ বছর বয়সেই ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষক!


১০ ডিসেম্বর ২০১৮ ১০:০২

আপডেট:
১১ মে ২০২৪ ১১:০৬

এগারো বছর বয়সের ছোট্ট হাসান। যার এখন স্কুলের ক্লাসে বসে মনোযোগ দিয়ে শিক্ষকের লেকচার শোনার কথা সেখানে সে নিজেই দিচ্ছে লেকচার। তাও আবার নিজের চেয়ে বয়সে দ্বিগুন বড় ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের। এক বছর ধরে এসব শিক্ষার্থীদের শেখাচ্ছে ডিজাইনিং ও ড্রাফটিং।

অবিশ্বাস্য হলেও ভারতের হায়দ্রাবাদের মহম্মদ হাসান নামের এই কিশোর তার এমন কাজের মাধ্যমে রীতিমত সাড়া ফেলে দিয়েছে। তাকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে। শুধু তার শিক্ষার্থীরাই নয় হাসানের এমন কাজে মুগ্ধ ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের লোকজন।

হাসানের শিক্ষার্থীরা জানায়, হাসান বয়সে ছোট হলেও তার বোঝানোর ধরন অন্য রকমের। সহজেই বিষয়গুলির মধ্যে ঢুকে যেতে পারে সে। বর্তমানে হাসানের ছাত্র সংখ্যা ত্রিশ।

সপ্তম শ্রেণির এই ছাত্র নিজের পড়ালেখার পাশাপাশি ইন্টারনেটের সাহায্যেই শিখছে ডিজাইনিং। এর পাশাপাশি নিয়মিতই পাঠদান করে যাচ্ছে এমটেক বিটেক পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের। তবে তার এই পাঠদান কাজের জন্য সে কোন টাকা নেয় না। স্বেচ্ছাশ্রম হিসেবেই দীর্ঘ এক বছর ধরে সিভিল, মেকানিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের পড়াচ্ছে হাসান।

হাসানের আক্ষেপ, ভারতের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া শিক্ষার্থীরা দেশে কাজ করতে চান না। পড়ালেখা শেষ করেই তারা দেশের বাইরে চলে যান। অথচ দেশেই এ খাতে সম্ভাবনাময় অনেক ক্ষেত্র রয়েছে।

হাসান ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানায়, ইন্টারনেটে একটি ভিডিও দেখেছিল সে। সেখান থেকেই সে জানতে পারে, অনেক লেখাপড়া করেও ভারতের অনেক ইঞ্জিনিয়ার বিদেশে গিয়ে ছোটখাটো কাজ করেন। তখনই তার ভাবনা হয় যে, ভারতের ইঞ্জিনিয়াররা ঠিক কোথায় পিছিয়ে রয়েছেন। তার ভাষায়, টেকনিক্যাল এবং জনসংযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রটিই আমাদের প্রধান সমস্যার কারণ। ডিগ্রি থাকা সত্ত্বেও তাই অনেকেই চাকরির অভাবে ভুগছেন।