ঢাকা রবিবার, ৫ই মে ২০২৪, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩১


দেশের স্বার্থে মেধাবীদের রাজনীতিতে এগিয়ে আসতে হবে : নীলু 


২৯ জানুয়ারী ২০১৯ ১১:১৫

আপডেট:
২৯ জানুয়ারী ২০১৯ ১১:২২

দেশের স্বার্থে রাজনীতিতে এগিয়ে আসতে মেধাবীদের: নীলু 

 

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেওয়ার পর নতুন সরকার শুরু করে আওয়ামী লীগ। সংসদের প্রথম অধিবেশনেই সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্যদের যোগদান নিশ্চিত করতে চায় দলটি। এদিকে সংরক্ষিত মহিলা আসনে যোগ্যতম প্রার্থী অনুসন্ধান করছে আওয়ামী লীগ। যারা দলের ও সরকারের দুর্দিনে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, বিভিন্ন কাজে অবদান রেখেছেন, দলের ও দলের সহযোগী সংগঠনে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন- এমন জনপ্রিয় নেত্রীরা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন জানান আওয়ামী লীগের নির্ভরযোগ্যসূত্র।


এনিয়ে কথা হয় সংরক্ষিত মহিলা আসনে এমপি পদপ্রার্থী রাশিদা চৌধুরী নীলুর সাথে দৈনিক আমাদের দিনের স্পেশাল প্রতিনিধি সাংবাদিক হামজা রহমানের সাথে। তিনি বলেন ,দেশের স্বার্থে রাজনীতিতে মেধাবীদের এগিয়ে আসতে হবে।

 দেশের স্বার্থে রাজনীতিতে এগিয়ে আসতে হবে মেধাবীদের: নীলু 

দৈনিক আমাদের দিন: রাশিদা চৌধুরী নীলু , কেমন আছেন ?

রাশিদা চৌধুরী নীলুঃ আলহামদুলিল্লাহ , আমি ভালোই আছি।

দৈনিক আমাদের দিন: রাশিদা চৌধুরী নীলু, আমরা আপনাকে বহুগুণে গুণান্বিত একজন ব্যক্তি হিসেবে চিনি যিনি একইসাথে কর্মস্থল, রাজপথ, সাংস্কৃতিক অঙ্গন, বহু সামাজিক কার্যক্রমসহ একজন সাংসারিক নারীর ভূমিকায় সদা ব্যস্ত। আমরা সর্বপ্রথম জানতে চাই একজন রাশিদা চৌধুরী নীলু'র বেড়ে উঠার গল্প.........................

রাশিদা চৌধুরী নীলুঃ ধন্যবাদ আপনাকে! আমার জন্ম নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানাধীন চৌমুহনী পৌরসভায় । রাজনৈতিক পরিবারের মাঝেই বেড়ে উঠা। নানা বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য নুরুজ্জামান (কালু মিয়া) চৌমুহনী পৌরসভার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং নানার ছোট ভাই অন্য নানা ফখরুল ইসলাম (এম.এ) বেগমগঞ্জ উপজেলার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। আমি বাবা-মায়ের বড় সন্তান। মেজো বোন ডাক্তার এবং ছোট বোন বিবিএ অধ্যয়নরত ।

দৈনিক আমাদের দিন: আপনার পড়াশুনা এবং রাজনীতিতে আসার অনুপ্রেরণা ঠিক কখন থেকে যদি আমাদের বলতেন ........................!

 দেশের স্বার্থে রাজনীতিতে এগিয়ে আসতে হবে মেধাবীদের: নীলু 

রাশিদা চৌধুরী নীলুঃ আমি আইন বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষে আইন বিষয়ে উচ্চ আদালতে দায়িত্ব পালন করেছি। রাজনৈতিক পরিবারের মাঝে বেড়ে উঠাই আমার রাজনীতিতে আসার প্রেরণা হিসেবে এগিয়ে রাখবো সবসময়। কিন্তু ছাত্রজীবন থেকেই সবচেয়ে বেশি রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়া ।

দৈনিক আমাদের দিন: আপনার রাজনৈতিক পরিবারে বেড়ে উঠার গল্প কি?

রাশিদা চৌধুরী নীলুঃ ছাত্রজীবনে আমার মা খালেদা আক্তার চৌমুহনী সরকারি এস. এ. কলেজে ১৯৭৯ সালে ছাত্র সংসদে নির্বাচিত মহিলা সম্পাদিকা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আমার মামা কামরুজ্জামান মাইকেল চৌমুহনী সরকারি এস.এ. কলেজে ভিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেই হিসেবে পরিবারের সবাই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত। শুধু তাই নয়, স্বাধীনতা পরবর্তীকালীন সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী রাজনীতি সম্পৃক্ততায় আমার পরিবারের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। '৭৫ পরবর্তী কালীন সময়ে পারিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আহাম্মদিয়া লাইব্রেরীকে বৃহত্তর নোয়াখালী জেলার আওয়ামী লীগ অফিস হিসেবে ব্যবহার করে দলকে নিবিড় ভাবে সহযোগিতা করেন। এ ছাড়া যে কোনো নির্বাচনে এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে আমার পরিবারের ভূমিকা প্রশংসনীয়।


দৈনিক আমাদের দিন: ছাত্রজীবনে আপনার রাজনৈতিক ভূমিকা কি?

রাশিদা চৌধুরী নীলুঃ ছাত্রজীবনে আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি করার পাশাপাশি "উত্তরাধিকার - ৭১" এর সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি এবং ছাত্র শিক্ষক মুক্তি আন্দোলন ব্যানারে ১/১১ জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তি লাভে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলি, প্রথম জরুরি অবস্থা ভঙ্গ আমরাই করি। জননেত্রী শেখ হাসিনার দুর্দিনের অংশীদার হিসেবে আমি নিজেকে গর্বিত মনে করি।

দৈনিক আমাদের দিন: সাংস্কৃতিক অঙ্গনে রাশিদা চৌধুরী নীলু এক উজ্জ্বল মুখ। একজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে অজানা কিছু গল্প যদি শেয়ার করেন আমাদের সাথে....

রাশিদা চৌধুরী নীলুঃ ছাত্রজীবন থেকে নোয়াখালী জেলার প্রতিভাবান বিতার্কিক ও আবৃত্তি শিল্পী হিসেবে বেশ পরিচিতি পাই। আমি নোয়াখালী জেলা থেকে শ্রেষ্ঠ বিতার্কিক নির্বাচিত হই ১৯৯৯, ২০০০ সালে। এছাড়াও আবৃত্তি শিল্পী হিসেবে বিভিন্ন পদক ও স্বীকৃতি স্মারক সম্মাননা হিসেবে পাই। আমার দুটি আবৃত্তি আ্যালবাম "আবৃত্তি মেলা" থেকে প্রকাশিত হয়। এছাড়াও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিখ্যাত কবিদের লেখা কবিতাগুচ্ছ নিয়ে নির্মিত আ্যালবাম "তোমারই পদধ্বনি" ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় ।

দৈনিক আমাদের দিন: ব্যক্তিগত জীবনে বলতে গেলে সাংসারিক জীবনে আপনাকে আমরা কিভাবে দেখবো?

রাশিদা চৌধুরী নীলুঃ ২০১০ সালে আব্দুল্লাহ আল হারুন রাসেলের সাথে সংসার জীবন শুরু করি। আমার স্বামী আব্দুল্লাহ আল হারুন রাসেল একজন আইনজীবী এবং ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য।
কলামিস্ট 'গেদু চাচা' খ্যাত খন্দকার মোজাম্মেল হক আমার মামা শ্বশুর। আমার শ্বশুর আব্দুল হাই ভুঁইয়া ফেনী সরকারী কলেজের এজিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আমার শ্বশুর নিজ অর্থায়নে নিজস্ব পারিবারিক জমির উপর একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি হাই স্কুল, একটি কমিউনিটি ক্লিনিক, একটি মসজিদ, রাস্তা-ব্রীজ তৈরী করেন। আমার শ্বশুরবাড়ির পরিবারের সবাই রাজনীতির সাথে সক্রিয় ভাবে সম্পৃক্ত। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে তাদের পরিবার ভয়াবহ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার হয়।

দৈনিক আমাদের দিন: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনি সংরক্ষিত মহিলা আসনে এমপি পদপ্রার্থী। এগিয়ে আছেন ছাত্ররাজনীতি সহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে। রাজনীতি বিমুখ তরুণ প্রজন্ম কে উদ্দেশ্য করে যদি কিছু বলেন ?

রাশিদা চৌধুরী নীলুঃ আসলে মেধাবীরা এগিয়ে না আসলে তো দেশকে ভুল মানুষ নেতৃত্ব দেবে। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার দেখানো পথ ধরে তাই দেশের স্বার্থে রাজনীতিতে এগিয়ে আসতে হবে তরুণদের, বিশেষকরে নারীদের।

ধৈনিক আমাদের দিন: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কি আপনি নমিনেশন কিনেছিলেন অথবা বিশেষ কোন দায়িত্বে ছিলেন?

রাশিদা চৌধুরী নীলুঃ আমার স্বামী আব্দুল্লাহ আল হারুন রাসেল ফেণী এক থেকে মনোনয়ন পত্র কিনেছেলেন। পরবর্তীতে জননেত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান প্রদর্শন পূর্বক মহাজোটের প্রার্থী শিরিন আক্তার কে পূর্ন সমর্থন করে নির্বাচনে বিজয়ের পূর্ব মূহূর্ত পর্যন্ত মাঠে নৌকার পক্ষ্যে কাজ করেন।
আমি একাদশ জাতীয় সংসদে আইন ও বিধি উপ কমিটি, লিগ্যাল এসিস্ট্যান্স উপ-কমিটি, পর্যবেক্ষক পর্যবেক্ষণ উপ-কমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ (নোয়াখালী-৩) এবং নির্বাচন পরিচালনা সমন্বয়ক, চট্রগ্রাম বিভাগ সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পিদে কাজ করি। এছাড়া ২৪/২৫ টি নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচন প্রচারণা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করি।

দৈনিক আমাদের দিন: পাওয়া না পাওয়ার রাজনীতিতে এবারের সংরক্ষিত আসনের পদপ্রার্থী হিসেবে আপনি নিজেকে কিভাবে মূল্যায়ন করবেন?

রাশিদা চৌধুরী নীলুঃ আমার নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার উপর বিশ্বাস আছে, তিনি যা সিদ্ধান্ত দেবেন, তাই আমার আগামীর পথচলার অনুপ্রেরণা।


দৈনিক আমাদের দিন: আমাদের (পত্রিকার নাম) নিউজকে সময় দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ রাশিদা চৌধুরী নীলু আপা। আপনার জন্য রইলো শুভকামনা।

রাশিদা চৌধুরী নীলুঃ ধন্যবাদ দৈনিক আমাদের দিনকে, সেই সাথে ধন্যবাদ আপনাকেও।