প্রশাসন, ছাত্রলীগের সঙ্গে রোকেয়া হলে নুর: অনশন স্থগিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের (ডাকসু) বিজয়ী ভিপি নুরুল হক নুর রোকেয়া হলের ছাত্রীদের আন্দোলন স্থগিতের আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর গোলাম রব্বানী, রোকেয়া হল প্রভোস্ট জিনাত হুদা, ডাকসুর বিজয়ী জিএস ও ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীসহ তিনি অনশনস্থলে যান।
তবে তাদের আহ্বান প্রত্যাহার করলেও দু'জন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এমনটা জানিয়ে অনশন স্থগিত করেছেন ছাত্রীরা। আন্দোলনকারী শ্রাবন্তী দিপ্তী জানান, শুক্রবারের মধ্যে প্রভোস্টের পদত্যাগ ও রোকেয়া হলের পুনর্নির্বাচনের ঘোষণা না দিলে তারা আবার আন্দোলনে নামবেন।
অনশনস্থলে নুরুল হক নুর আন্দোলনরত ছাত্রীদের বলেন, 'আমরা সুশৃঙ্খলভাবে আন্দোলন করতে চাই। আপনারা জিনাত ম্যাডাম কী বলে তা শুনুন'।
তবে এ সময় আন্দোলনরত ছাত্রীরা সরাসরি তাদের দাবি মেনে নেয়ার দাবি জানান। তারা প্রভোস্ট জিনাত হুদার পদত্যাগ দাবি করেন।
এর আগে প্রক্টর গোলাম রাব্বানীও ছাত্রীদের অনশন তুলে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দেন। যা ছাত্রীরা প্রত্যাখ্যান করে।
চার দফা দাবিতে এ হলের ছাত্রীরা আমরণ অনশনে বসেন বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে। বুধবার রাতে প্রথম দিনে পাঁচ ছাত্রী অনশনে বসেন।
হলগেটের বাইরে তারা অনশনে বসেন।
হলটির আবাসিক ছাত্রী ও ইসলামের ইতিহাস বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মুনিরা দিলশাদ জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের এ অনশন চলবে।
রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ জিনাত হুদার পদত্যাগসহ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন (ডাকসু) নির্বাচনে হলের ঘটনায় করা মামলা প্রত্যাহার, রোকেয়া হলের সংসদ নির্বাচন পুনরায় আয়োজন ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দাবিতে তারা আমরণ অনশনে বসেন।
এর আগে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে আট শিক্ষার্থী সন্ধ্যা ৬টা থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন। এদের একজন অনিন্দ্য মন্ডল ৪টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান হয়।
অন্য শিক্ষার্থীরা হলেন, মাঈনুদ্দিন, শোয়েব মাহমুদ, রবিউল ইসলাম, তাওহিদ তানজিম ও মিম আরাফাত মানব, মাহমুদ তাহা এবং রাফিয়া তামান্না।