ঢাকা বুধবার, ৭ই মে ২০২৫, ২৫শে বৈশাখ ১৪৩২


সাহস থাকা ভালো, তবে আন্দোলনে সুযোগসন্ধানীরা থাকে: প্রধানমন্ত্রী


১৭ মার্চ ২০১৯ ১৯:৪৭

আপডেট:
৭ মে ২০২৫ ১৭:০৭

শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকেই ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব উঠে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘আমরা ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব খুঁজি। আর ছাত্রজীবন থেকেই তা গড়ে তুলতে হবে। সে জন্য স্কুল পর্যায়ে ক্যাবিনেট চালু হয়েছে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ চর্চার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আগে রাজনীতির পরিবেশ এতো সুষ্ঠু ছিল না, এখন সুন্দর পরিবেশ ফিরে এসেছে। নেতৃত্ব তুলে আনতে এই ডাকসু নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছে।’


১৬ মার্চ, শনিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদের নবনির্বাচিত নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। গত ১১ মার্চ সোমবার ডাকসুর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর, জিএস ও ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসাইন প্রমুখ।


ডাকসুর নির্বাচিত নেতাদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সাহস থাকা ভালো, তবে আন্দোলনে সুযোগ সন্ধানীরা থাকে, তাদের ব্যাপারেও ছাত্রনেতাদের সজাগ থাকতে হবে।’

তবে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কোটা আন্দোলনের নামে ভিসির বাড়িতে আগুন দেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়।’

সে সময় ছাত্রী হলগুলোতে অস্থিতিশীলতার কথা তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, ‘ছাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে রাতে ঘুমোতে পারিনি। যখন জেনেছি ছাত্রীরা নিরাপদে হলে ফিরে গেছে, তখন বিশ্রামে গিয়েছি।’

বিএনপি ক্ষমতায় থাকালে ডাকসু নির্বাচনের সময় সংঘাতের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন এটা স্বস্তির যে গত ১০ বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিল না।’


ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন রাজনৈতিক উদারতার পরিচয় দিয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘ভোটে হারার পর শোভন আমার কাছে এসেছে। আমি শোভনকে বলেছি, ভোটে হেরেছ, এবার যাও তাকে (নুর) অভিনন্দন জানাও। সে তাই করেছে। আমি এ জন্য শোভনকে ধন্যবাদ জানাই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শোভন রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। তার দাদা এমপি ছিলেন, বাবা উপজেলা চেয়ারম্যান। সে তার রাজনৈতিক উদারতা দেখিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কে ভোট দিল কে দিল না— এটা নয়। এসব মাথায় রাখা যাবে না। যে নির্বাচিত হয়েছে সে সব শিক্ষার্থীর জন্য কাজ করবে। কে হলো কে হলো না সেটা নিয়ে আমার মাথা ব্যথা নেই। ভোটটা সুষ্ঠু হোক।’