ঢাকা মঙ্গলবার, ৬ই মে ২০২৫, ২৪শে বৈশাখ ১৪৩২


‘দুর্নীতির সঙ্গে উপাচার্যের ছেলে ও স্বামী সরাসরি জড়িত'


১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৪:২২

আপডেট:
৬ মে ২০২৫ ১৯:১৮

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পকে কেন্দ্র করে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতি এবং এসব ঘটনায় জড়িতদের নিয়ে বিতর্কের ঝড় বইছে। সদ্য পদচ্যুত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর সঙ্গে জাবি ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক সাদ্দামের হোসেনের কথোপকথনে লেনদেনের সঙ্গে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম ও তার পরিবারের নাম ওঠে আসায় বিষয়টি নতুন দিকে মোড় নিয়েছে।

এ প্রকল্পের ঠিকাদারদের কাছে ছাত্রলীগের ৪-৬ শতাংশ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ তুলেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। অপরদিকে উপাচার্য ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা বাটোয়ারা এবং ঠিকাদার নিয়োগে কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ তুলেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। উপাচার্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার অভিযোগ জানান।

এ বিষয়ে উপাচার্য ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একটি অংশ দাবি করছে, জাবির উন্নয়ন প্রকল্পে বাধা হয়ে না দাঁড়ানোর জন্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগকে ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা দিয়েছেন। ফাঁস হওয়া অডিওতেও ফারজানা ইসলামের নাম এসেছে।

লেনদেন সংক্রান্ত আলোচিত ফোনালাপের প্রসঙ্গ টেনে জাবি ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ফাঁস হওয়া ফোনালাপে স্পষ্ট যে শাখা ছাত্রলীগকে ‘ঈদ সালামি’ হিসেবে ১ কোটি টাকা দিয়েছেন ফারজানা ইসলাম। প্রকল্পের টাকা থেকে শাখা ছাত্রলীগ এক কোটি টাকা চাঁদা পেয়েছে। একই সঙ্গে এই দুর্নীতির সাথে উপাচার্যের পুত্র, স্বামী, ব্যক্তিগত সচিব ও প্রকল্প পরিচালক জড়িত।

সাদ্দাম হোসেন দাবি করেন, শিডিউল ছিনতাই থেকে শুরু করে প্রকল্পে দুর্নীতি সবখানে উপাচার্যের ছেলে ও স্বামী সরাসরি জড়িত। তাই প্রকল্পে বাধা হয়ে না দাঁড়ানোর জন্য জন্যই তিনি টাকাটা দেন।

তিনি বলেন, উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের ছেলে প্রতিক তাজদীক হুসাইনের ফোন কল চেক করলেই দুর্নীতির সব ঘটনা বের হয়ে যাবে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী গত ৮ আগস্ট আমার বাসভবনে এসেছিলেন। এ সময় তারা বলেন যে, উন্নয়ন প্রকল্পের টেন্ডার পাওয়া প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কয়েক শতাংশ অর্থ এনে দিতে হবে। তিনি রাজি না হওয়ায় তারা তাকে চাপ দিয়েছিলেন।, নিজেদের দায়মুক্ত রাখতে অডিওতে আমি টাকা দিয়েছি এমন গল্প ফাঁদছে।

তিনি বলেন, আমি বা আমার পরিবারের কেউ শোভন ও রাব্বানীকে আগে ফোন করিনি। তারা আমার সঙ্গে দেখা করতে বাসভবনে এসে প্রকল্পের অর্থ দাবি করেছিল। আমি তাদের সঙ্গে একমত না হওয়ায় তারা আমাকে চাপ দেয়।

এদিকে জাবির দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের নেতারা বলছেন, উপাচার্য ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের পাল্টা বক্তব্যে প্রমাণ হয়েছে মেগা প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে।