রংপুর বিভাগে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারীর তালিকা

তৃণমূল আওয়ামী লীগের কোনো স্তরের কমিটিতে অনৈতিক ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত কাউকে আর নেতা না বানানোর কড়া নির্দেশ দিয়েছেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতাকে গণভবনে ডেকে তিনি এ নির্দেশ দেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এক সদস্য দেশ রূপান্তরকে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, তৃণমূলের কোথায় কাকে নেতা বানাতে হবে সে ধরনের একটি দিক-নির্দেশনাও শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয় নেতাদের দিয়েছেন।
এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা ডাকা হয়। সেখানে শেখ হাসিনার ওই নির্দেশনার কথা নেতাদের অবহিত করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এরপর শুক্রবার ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের অনুপ্রবেশকারীদের তালিকা নিজের তত্ত্বাবধানে তৈরি করেছেন এবং তার কাছে এ তালিকা আছে। তালিকাটি আমাদের পার্টি অফিসে পাঠিয়ে দিয়েছেন। আমি এখন এ তালিকা বিভিন্ন বিভাগে যারা আমাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত আছেন তাদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি’।
ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগে অনুপ্রবেশকারীদের তালিকা প্রকাশ হয়েছে।
রংপুর বিভাগের পাঁচ জেলায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগে গত কয়েক বছরে ৩৮৯ জন অনুপ্রবেশ করেছে। তাদের মধ্য বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী রয়েছে। এর মধ্যে রংপুর জেলায় রয়েছে ২২ জন, দিনাজপুরে ১১৫ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ১৩০ জন, নীলফামারীতে ১৩ জন এবং লালমনিরহাটে ১০৯ জন।
তারা হলেন-
রংপুর জেলা: মোশাররফ হোসেন, মো. আব্দুর রউফ, মো. সমতুল্লাহ, আব্দুর রহিম, মো. আবদার হোসেন, কল্পনা বেগম, আল আমীন, হারুন মিয়া, রাজা মিয়া, আবু বক্কর সিদ্দিক, মোয়াজ্জেম হোসেন, আয়শা বেগম, শফিকুল ইসলাম, জুলেখা বেগম, রফিকুল ইসলাম, আউয়াল মেকার, সোলেমান আলী, দুলাল মেম্বার, কেরামত আলী, আব্দুল হায়, আব্দুর রহিম, আবুল কালাম আযাদ।
ঠাকুরগাঁও জেলা: আব্দুর আজিজ, রোমান বাদশা, কামরুজ্জামান টিটু, রাশেদুল ইসলাম, নাসিরুল হক, রুহুল আমিন, তফিল উদ্দিন, মিজানুর রহমান, মাহাবুব, সোলেমান আলী, শাহাদাত হোসেন, তসলিম উদ্দিন, আব্দুল গফুর, হুরুল আমিন, আব্দুর রহমান, বসির উদ্দিন, অ্যাডভোকেট আবু হাসান, শরীফ উদ্দীন, ইউসুফ আলী, রশিদুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, দবির, ফারাজুল ইসলাম, আফসার আলী, বলজার রহমান, আ: কাদের, আনোয়ার হোসেন, আব্দুর গফুর, জালাল উদ্দীন, আব্দুল গাফ্ফার, সোলেমান হোসেন, মতিয়ার রহমান, রেজাউল হক, আল মামুন, আব্দুল হক, সাইফুল হক, আজিজুল রহমান।
দিনাজপুর: মজিবুর রহমান, আমিনুল ইসলাম, জিল্লুর রহমান, মহাশিন আলী, সামছুল হক, হুমায়ূন, বকুল মণ্ডল, নূর ইসলাম, হাবিবুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, মেহেরুল ইসলাম, মোহাশিন আলী, আয়্যুব আলী, আকবর আলী, ইকবল হোসেন, মানিক মাস্টার, আক্তার মণ্ডল, মোখলেছুর, সিরাজুল ইসলাম, বাবলু সরদার, আমিনুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, শহিদুজ্জামান শাহ, নুর ইসলাম, রফিক উদ্দিন, নুর ইসলাম, আব্দুল মুজিদ, রশিদুল ইসলাম শাহ, মোরশেদুল হক, হাসান আলী, জাহাঙ্গীর আল চৌধুরী, কাইয়্যুম উদ্দিন, মেরিনা বেগম, মালেকা খাতুন, আলতাফ হোসেন, আব্দুস সালাম, জহুরুল হক, বেবি বেগম, জহুরুল হক, খোরশেদ আলম, আবুল কাশেম মণ্ডল, নজরুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ, কাশেম আলী, আরিফুল, আজিজুল, তরিকুল ইসলাম, আজিজ মিয়া, আকরাম হোসেন, আব্দুল মালেক, সায়মুন নবী চৌধুরী বাদল, নুর আলম, রবিউল ইসলাম চৌধুরী, মাসুদ জাহাঙ্গীর, জহিরুল ইসলাম, জাকিরুল, কাউসার আলী, আনিছুর রহমান, মুমিন, শফিউল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান, মোহাম্মদ আলী, সিরাজুল ইসলাম, শহীদুল ইসলাম, শামসুল আলম, আব্দুর রহিম মিয়া, আব্দুর রউফ, আতিকুর রহমান, আবু তাহের মৃধা, আলহাজ মোহাম্মদ ইজাজ আহমেদ সোনা, আকিল আহমেদ, মুজিবর রহমান, মহিউদ্দিন আহমেদ, আনজুমারা বেগম, হারুনুর রশিদ, আতাউর রহমান।