ঢাকা সোমবার, ৫ই মে ২০২৫, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩২


আওয়ামী লীগের প্রতি সরকারের সহমর্মিতা বাড়ছে, অভিযোগ রাশেদ খাঁনের


৫ মে ২০২৫ ১৫:৪৮

আপডেট:
৫ মে ২০২৫ ২০:০৯

রাশেদ খান।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সফলতা কী কী, সেটা বুঝতে পারছেন না গণঅধিকার পরিষদের সাধরাণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন। তবে তার মতে, এই সরকারের বড় সফলতা হলো, সরকার নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা নিয়ে সমাজে অনৈক্য ও বিশৃঙ্খলা বাড়াতে সক্ষম হয়েছে।

এদিকে আওয়ামী লীগের প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের সহমর্মিতা বাড়ছে বলেও অভিযোগ করেছেন রাশেদ খান।

আজ সোমবার নিজের ফেসবুক পেজে এসব মন্তব্য করেন গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা।

রাশেদ খাঁন বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যার যখন বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না, সেটি তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত। এই কথার প্রতিবাদ করলে, একদল সুশীল এসে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ দাঁড়িয়ে যায়। এরা নাকি রাষ্ট্রকে জবাবদিহিতামূলক করতে চায়। তাই এদের দৃষ্টিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যার জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে।

তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস যখন একজন ব্যাংকের কর্মকর্তাকে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বানিয়ে রাখেন, যখন বিভিন্ন জায়গায় নিয়োগে চট্টগ্রামকে প্রাধান্য দেন, তার গ্রামীণ ব্যাংক ও সার্কেলের লোক ছাড়া যোগ্য লোক খুঁজে পান না, তখন সেটি নিয়ে নাকি প্রতিবাদ করা যাবে না। একজন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পেয়েছেন! যিনি নিজেই জানেন না কী করতে হবে। মাঝেমধ্যে দু-এক দিন মিডিয়ার সামনে পুলিশকে ধমক দেওয়ার কারণে তিনি নাকি ফাটাকেস্ট। অথচ প্রতিদিন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।

গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা আরো বলেন, বিজনেস সামিটের নামে বিশাল বিনিয়োগের ধোঁয়া তোলা হয়, রোহিঙ্গা ফেরত পাঠানো নিয়ে যখন আইওয়াশ করা হয়, মানবিক করিডর নামে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকিতে ফেলার চেষ্টা করে, তখনো নাকি প্রতিবাদ করা যাবে না! রমজানে নিত্যপণ্যের দাম সহনশীল রেখে ম্যাজিক দেখিয়েছে সত্য! কিন্তু রমজানের পরে কি আর মানুষের খাওয়া-দাওয়া লাগে না? বাজার যে নিয়ন্ত্রণহীন, তা কি বাণিজ্য উপদেষ্টা জানেন না?

আওয়ামী লীগের প্রতি সরকারের সহমর্মিতা বাড়ছে দাবি করে রাশেদ খাঁন বলেন, আগের তুলনায় আওয়ামী লীগ শক্তিশালী হয়েছে, ঝটিকা মিছিলের পরিমাণ বেড়েছে, বিদেশিরা আওয়ামী লীগের জন্য লবিং করা শুরু করেছে। আর সে জন্য সরকারের উপদেষ্টারা সাবের-মান্নানদের জামিনে সহযোগিতাও করা শুরু করেছে। অর্জন বলতে এতটুকুই দেখছি, আওয়ামী লীগের প্রতি সরকারের সহমর্মিতা বাড়ছে, আওয়ামী লীগের ডামি এমপিরা জামিন পাচ্ছে। গ্রেপ্তার হচ্ছে না এবং দল হিসেবে আওয়ামী লীগও নিষিদ্ধ হচ্ছে না! এরই অংশ হিসেবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের আইনে গণহত্যার দায়ে সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের বিধান বাদ দিয়েছে।

ওই পোস্টে তিনি বলেছেন, এই সরকারের আরো বড় সফলতা হলো, সরকার নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা নিয়ে সমাজে অনৈক্য ও বিশৃঙ্খলা বাড়াতে সক্ষম হয়েছে! আপাতত এতটুকুই সরকারের সফলতা!