আ.লীগ নেতার দুই পা ভেঙে দিল তারা

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় মাদক ব্যবসায় বাধা দেয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটিয়ে দুই পা ভেঙে দিয়েছে মাদক ব্যবসায়ীরা।
পরে আওয়ামী লীগ নেতাকে উদ্ধার করে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন স্বজনরা। আহত রুহুল আমিন পিরোজপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।
শুক্রবার উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের মঙ্গলেরগাঁও গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের কোববানপুর গ্রামের মৃত শফত উল্লাহর ছেলে রাসেল দীর্ঘদিন ধরে ২০-২৫ জনের একটি সিন্ডিকেট করে মাদক ব্যবসা করে আসছিল। এতে করে ওই এলাকায় যুব সমাজ মাদকের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এক মাস আগে শান্তিনগর এলাকায় রাসেল ও তার সহযোগী আব্দুর রহিম আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে লুৎফুরকে মাদক দেয়ার চেষ্টা করে। এতে আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন মাদকের বিষয়ে আব্দুর রহিমকে বকাঝকা করে।
পরবর্তীতে আব্দুর রহিম লুৎফরকে একা পেয়ে পিটিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে বিচার চান আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন। এতে রাসেল ও তার সহযোগীরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাসেলের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল শান্তিনগর এলাকায় রুহুল আমিনকে পিটিয়ে আহত করে। শুক্রবার দ্বিতীয় দফায় রাসেলের নেতৃত্বে ভাড়াটে সন্ত্রাসী গিট্টু হৃদয়, কমল, সোলায়মান, আব্দুর রহিম, নুরুদ্দিন, ইমরানসহ অর্ধশতাধিক হকিস্টিক, লোহার রড ও লাঠিসোঁটা নিয়ে রুহুল আমিনকে পিটিয়ে দুই পা ভেঙে দেয়।
অভিযুক্ত রাসেল জানান, মাদকের সঙ্গে তিনি জড়িত নয়। পূর্ব-শত্রুতার কারণে তার এক বন্ধুকে পিটিয়ে আহত করে তারা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের লোকজন এই হামলা চালিয়েছে।
সোনারগাঁ থানা পুলিশের ওসি মোরশেদ আলম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। এখনও কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।