ঢাকা সোমবার, ৫ই মে ২০২৫, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩২


কোটা মামুনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ সঞ্জিতের অনুসারীদের বিরুদ্ধে


৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:৫২

আপডেট:
৫ মে ২০২৫ ১৭:২৬

কোটা আন্দোলনের আহ্বায়ক মামুনকে পিটিয়ে পালিয়েছে দুর্বৃত্তরা

কোটা সংস্কার আন্দোলনের আহবায়ক ও বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের শীর্ষ নেতা হাসান আল মামুনকে বেধড়ক পিটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে তারা ছাত্রলীগের কর্মী বলে দাবি করেছেন হাসান আল মামুন।

সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রিয় গ্রন্থাগারের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরের দিকে গ্রন্থগারের সামনে কথা বলছিলেন মামুন। এ সময় হঠাৎ করেই ছাত্রলীগের ১০-১৫ জন জুনিয়র কর্মী মামুনের ওপর হামলা চালায়। হামলায় তার শরীরের একাধিক স্থান থেকে রক্ত ঝরতে থাকে। পরে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে নিয়ে যায় মামুনকে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বর্তমানে তিনি প্রক্টর অফিসে আছেন। সূত্রের তথ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলের ছাত্রলীগ কর্মী রাইসুলের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়। রাইসুল ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাসের অনুসারী

হামলার এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, আমি লাইব্রেরিতে পড়ছিলাম। এমন সময় শুনি কেউ একজন ‘বাঁচাও’, ‘বাঁচাও’ বলে চিৎকার করছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি সেখানে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা হাসান আল মামুন আহত অবস্থায় পড়ে আছে। তবে কি কারণে মারা হয়েছে তারা জানি না। এর ৫-১০ মিনিট পর গ্রন্থাগারের সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের স্লোগান ধরতে দেখা গেছে।

গ্রন্থাগারের সামনে উপস্থিত সায়েম নামে এক শিক্ষার্থী জানান, ১০ মিনিট ধরে মারধর করা হয় মামুনকে। এরপরই হামলকারীরা এদিক-সেদিক পালিয়ে যায়।

সংগঠনটির যুগ্ম আহবায়ক নুরুল হক নুর বলেন, মামুনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। দোষীদের শাস্তি চান তারা।

আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, ঘটনার বিচার দাবি করে বর্তমানে তারা প্রক্টরের সঙ্গে দেখা করছেন। সেখানেই কথা চলছে।

মামুন বলেন, ডাকসু নির্বাচনের ভোট কেন্দ্র হলের বাইরে করার দাবিতে আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি ছিল আমাদের। সবাই মিলে একসঙ্গে যাওয়ার কথা ছিল। আমি আগে চলে আসায় গ্রন্থাগারের সামনে অপেক্ষা করছিলাম। এমন সময় হঠাৎ করেই ২০-২৫ জন অতর্কিতভাবে আমার উপর হামলা করে।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, আমার নেতাকর্মীরা আমার সঙ্গে মধুতে আছে। তারা হামলা করেনি। তাদের নিজেদের মধ্যে ঝামেলা হতে পারে

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, আমরা বিষয়টি অবহিত হয়েছি। আমাদের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা সেখানে গেছে। ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।

প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ ব্যানারে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করেছে একদল শিক্ষার্থী। সবশেষ তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।