ঢাকা শুক্রবার, ১০ই মে ২০২৪, ২৭শে বৈশাখ ১৪৩১


নাসার প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ


১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ২১:০৯

আপডেট:
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ২১:৪২

নাসার প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা) আয়োজিত স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশের তরুণরা।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ‘টিম অলিক’ এ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়। বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্বকারী দল হিসেবে এবারই প্রথম মূল ক্যাটাগরিতে শীর্ষ চারে জায়গা করে নেওয়ার পর চ্যাম্পিয়ন হয় টিম অলিক।

মোট ছয়টি ক্যাটাগরির মধ্যে ‘বেস্ট ইউজ অব ডাটা’ ক্যাটাগরিতে ক্যালেফোর্নিয়া, কুয়ালালামপুর ও জাপানের তিনটি দলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে অলিক। শুক্রবার নাসার ওয়েবসাইটে এ ফল ঘোষণা করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এ বছর নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের সেরা প্রকল্প খুঁজে বের করতে বিশ্বের প্রায় ৪০ আঞ্চলিক পর্বে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। যেখানে দুই হাজারের বেশি প্রজেক্ট জমা পড়ে। আর এসব প্রকল্প থেকে ৮টি প্রকল্প বেছে নেয় তারা। যেখানে চ্যাম্পিয়ন হয় শাবির ‘টিম অলিক’।

টিম অলিকের সদস্যরা হলেন, শাবির পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের এসএম রাফি আদনান, ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের কাজী মাইনুল ইসলাম, একই বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের আবু সাদিক মাহদি ও একই বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের সাব্বির হাসান।

এই দলের মেন্টর হিসেবে ছিলেন শাবির সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিশ্বপ্রিয় চক্রবর্তী।

বিশ্বপ্রিয় চক্রবর্তী  জানান, নাসা থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অ্যাপটি তৈরি করা হয়। আমাদের প্রকল্পের নাম ছিল ‘লুনার ভিআর’ যা একটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি অ্যাপ। অ্যাপটির মাধ্যমে নাসা অ্যাপোলো ১১ মিশন এর ল্যান্ডিং এরিয়া ভ্রমণ, চাঁদ থেকে সূর্যগ্রহণ দেখা এবং চাঁদকে একটি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ভার্চুয়ালভাবে আবর্তন করা যাবে।

অলিকের সদস্য সাব্বির হাসান জানান, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি নিয়ে আমরা অনেক স্বপ্ন দেখি। বিশেষ করে শিক্ষা ক্ষেত্রে এসব অ্যাপস খুব কার্যকর হবে বলে আমি মনে করি। এ রকম অনেক কিছু আছে, যা আমরা শুধু বইয়ে পড়ি কিন্তু বাস্তবে দেখতে পাই না। কিন্তু ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে বাস্তব অভিজ্ঞতা নিয়ে অনেক কিছু শেখা সম্ভব। আশা করি বাংলাদেশের ভিআর-এর মাধ্যমে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

এ বিষয়ে শাবির উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এ সাফল্যে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার খুবই গর্বিত। আমি পুরো দলকে অভিনন্দন জানাই। আমরা আশা করি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এভাবেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন সাফল্য বয়ে আনবে। আর এ ধরনের কাজে যেকোনো সহায়তা বিশ্ববিদ্যালয় করবে।

উল্লেখ্য এর আগে নাসার পিপলস চয়েজ অ্যাওয়ার্ডে শীর্ষ দশে একাধিকবার জায়গা করে নিলেও মূল প্রতিযোগিতায় এবারই প্রথম বাংলাদেশি দল হিসেবে শীর্ষ চারে স্থান পাওয়ার পর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে শাবির টিম অলিক।

এছাড়া বেস্ট ইউজ অব হার্ডওয়ার ক্যাটাগরিতেও শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের দল ‘প্ল্যানেট কিট’।