ঢাকা রবিবার, ১৯শে অক্টোবর ২০২৫, ৪ঠা কার্তিক ১৪৩২


শেরপুর নালিতাবাড়ীতে পাওয়া গেল গ্যাসের সন্ধান খোজ নেওয়ার কেউ নেই


প্রকাশিত:
১৯ অক্টোবর ২০২৫ ০০:১৯

বোরিং করলেই বেরুচ্ছে প্রাকৃতিক গ্যাস। একে একে তিনটি বোরিং করে পাওয়া গেছে এমন গ্যাসের সন্ধান। ফলে পানীয় জলের ও বোরিংটি চতুর্থ বারের মতো স্থানান্তর করতে হয়েছে। প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট এ গ্যাসের চাপ নিয়ে এলাকায় তৈরি হয়েছে কৌতুহল ও চাঞ্চল্য।

শেরপুরের জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার রূপনারায়নকুড়া ইউনিয়নের পশ্চিম গাছগড়া গ্রামে এমন গ্যাসের মজুদ পাওয়া গেছে। তবে কি পরিমাণ গ্যাস মজুদ আছে তা নিরূূপণ করা যায়নি।

জানা গেছে, ওই গ্রামের কৃষক নূর মোহাম্মদ গত মঙ্গলবার পানীয় জলের জন্য সাবমার্সিবল বোরিং শুরু করেন। ৪০ ফুট অতিক্রম করার পর মাটির গভীর থেকে চাপ দেখা দেয়। এসময় বোরিংয়ের পাইপ বারবার উপর দিকে উঠে আসতে চায় এবং পাইপ দিয়ে উপচে পানি উঠতে থাকে। এতে মিস্ত্রীরা বোরিং করতে ব্যর্থ হয়ে প্রায় বিশ ফুট দূরত্বে আরও একটি বোরিং শুরু করেন। কিন্তু এতেও ঘটে বিপত্তি। ফলে দ্বিতীয় বোরিংটির কাজ বন্ধ রেখে আরও প্রায় বিশ ফুট দূরত্বে তৃতীয় বোরিং শুরু করেন। এখানেও ঘটে বিপত্তি। বুদবুদ শব্দে প্রাকৃতিক গ্যাসের চাপ অনুভব হয়, পাইপ উপরে উঠে আসতে চায় এবং ফিনকি দিয়ে পানি উঠতে শুরু করে। পরে বাড়ির পূর্বদিকে আরও একটি বোরিং সম্পন্ন করা হয়।

বোরিং মিস্ত্রী জহিরুল ও বিল্লাল জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমরা বোরিংয়ের কাজ করি। এ যাবত এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হইনি। পরপর তিনটি বোরিং ৪০ ফুট মাটির গভীরে যাওয়ার পর আমরা গ্যাসের চাপে ব্যর্থ হয়েছি। অবশেষে চতুর্থ বোরিং করে সাবমার্সিবল বসানো হয়েছে।

বাড়ির মালিক নূর মোহাম্মদ জানান, বোরিংয়ের গর্ত দিয়ে বুদবুদ শব্দে পানির সাথে বাতাস বের হচ্ছে। ওই বুদবুদের উপরে আগুন জ্বালালে গ্যাসে ধরে গিয়ে আগুন বেড়ে যায়। এ নিয়ে এলাকায় বেশ কৌতুহল বেড়েছে।

ইউপি সদস্য হযরত আলী জানান, সাবমার্সিবলের বোরিং থেকে গ্যাস বের হচ্ছে। এর আগেও কয়েকবার এ এলাকায় বোরিং করতে গেলে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। এসময় তিনি গ্যাসের মজুদ অনুসন্ধান করতে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।