ঢাকা মঙ্গলবার, ৬ই মে ২০২৫, ২৪শে বৈশাখ ১৪৩২


ছাত্রলীগনেতা সাগরের বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ ভূয়া!


১৬ মে ২০১৯ ২২:৫৫

আপডেট:
১৬ মে ২০১৯ ২৩:০১


কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদি-পাকুন্দিয়া) আসন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও ছাত্রলীগ সহ সভাপতি তাওফিকুল হাসান সাগরের বাবা অ্যাডভোকেট সোরহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে ভুয়া, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যমূলক মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আমলে নেননি আদালত।


তার বিরুদ্ধে যুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুটতরাজ, নারী নির্যাতন এবং এ ধরনের অপরাধে নেতৃত্ব, সহযোগিতা, প্ররোচনা ও উসকানি দেয়ার ঘটনায় কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এ অভিযোগ করেন মোহাম্মদ আলী নামে এক ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা।

তবে ভূয়া মুক্তিযুদ্ধা প্রমানিত হওয়ায় কিশোরগঞ্জের আমল গ্রহণকারী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিজ্ঞ বিচারক ধীমান চন্দ্র মণ্ডল অভিযোগ আমলে নেননি ।পরবর্তী অ্যাডভোকেট সোরহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে ভুয়া, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যমূলক অভিযোগের করণে মোহাম্মদ আলী ক্ষমা চান ।


আরো জানা যায়, মোহাম্মদ আলী মিথ্যা অভিযোগ করায় এর প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধারা পাকুন্দিয়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদ প্রাঙ্গণে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানবব্ন্ধন কর্মসূচি পালন করে।

 

এ ব্যাপারে সাবেক সাংসদ মো. সোহরাব উদ্দিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা,বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। মোহাম্মদ আলি ব্যক্তিগত আক্রোশের জের ধরে তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ এনেছেন।এবং বর্তমান আমার ছেলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পদ পাওয়ার পর এ ব্যাপারে আরো বেশি অপ্রচার চালাচ্ছে।


এসম্পর্কে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এস এম তৌফিকুল হাসান সাগর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক দীর্ঘ স্টাটাস দেন, স্টাটাসটি হুবুহু তুলে ধরা হলো,
আমি,
এস এম তৌফিকুল হাসান সাগর কে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সংগ্রামী সভাপতি রেজাওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ভাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ..এবং কৃতজ্ঞতা..!!!
পদায়ন একপ্রকার দায়িত্ব অর্পণ.... নিষ্ঠার সাথে সেই দায়িত্ব পালন করে যেতে চাই...!!! ইচ্ছা ছিলো না প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে কিছু লিখবো....কিন্তু গুজবের ন্যায় ডালপালা ছড়াচ্ছে যখন তখন আর না লিখে পারলাম না...!!

আমার পিতা এডভোকেট সোহরাব উদ্দিন কে একজন রাজাকার বলে অবহিত করে শোভন-রাব্বানী কমিটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পায়তারা কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার সময় থেকেই প্রতীয়মান...যখন থেকে আমার রাজনীতির হাতেখড়ি শ্রদ্ধাভাজন নেতা সাবেক সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ভাই আমার নামের বিরুদ্ধে ভেটো দেন...!!! এবং কি বীর চট্টলার গুটিকয়েক সাইড হীরোর অতিকথন যদি না নজর এড়াতো....!!!
আমার আব্বা এডভোকেট সোহরাব উদ্দিন কে রাজাকার বলে প্রশ্নবিদ্ধ করা ছিলো গত নির্বাচনের আগে নমিনেশন লড়াই এর একটা অংশ...!!! সেই লড়াইয়ে রাজাকার শব্দটা এমনভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে আশা করি আমরা আওয়ামী পরিবার একটা সময় সেটা হারে হারে অনুধাবন করবো...!!!

স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমার আব্বা মেট্রিক পরীক্ষার্থী ছিলেন...!!! পরবর্তীতে তিনি ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নির্বাচিত হন...!! এক-এগারো সরকারের সময় অনেক আওয়ামী পরিবারের সন্তানরা যখন দ্বিগবিদিক ছুটাছুটি করছে আমার আব্বা তখন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সহ বহু আওয়ামী নেতার আইনজীবি হিসেবে চুপিসারে কাজ করে গেছেন...!!! ২০০৯ সালে পাকুন্দিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং ২০১৪ সালে নৌকা মনোনীত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন...!!!সাংসদ এর দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ১০ জাতীয় সংসদে প্যানেল স্পীকারের দায়িত্ব পালন করেছেন।
পেশাদারি জীবনে বর্তমানে আমার পিতা এডভোকেট সোহরাব উদ্দীন বাংলাদেশ কেন্দ্রিয় কর আইনজীবী লীগ এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন৷ এছাড়া তিনি একাধারে তিন তিনবার ঢাকা ট্যাক্সেস বার এসোসিয়েশন এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন...!!
বর্তমানে মহামান্য রাষ্ট্রপতির অত্যন্ত আস্তাভাজন এবং দেশরত্ন শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত কর্মী হিসেবে কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন...!!!

আমার ছাত্র রাজনীতির শুরু আমার পরম শ্রদ্ধেয় নেতা বদিউজ্জামান সোহাগ ভাইয়ের হাতে...!!! অতঃপত গোলাম রাব্বানীর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে সাইফুর রহমান সোহাগ ভাইয়ের একচ্ছত্র ভালোবাসা লাভ করি...!! আর সেই ভালোবাসার নিদর্শন স্বরুপ সোহাগ-জাকির কমিটির সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হই...!!! তখন আমার আব্বা রাজাকার ছিলেন না...!!!
যখন ই আমার ভাই গোলাম রাব্বানীর সাথে নতুন সম্মেলন চাই এবং যোগ্যতাবলে আমার ভাই সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয় ও আমাকে সংগঠনের জন্য কাজ করার সুযোগ করে দেন তখন ই আমি রাজাকার এর সন্তান....!!!
যুদ্ধাপরাধী ট্রাইব্যুনাল আমার আব্বা এডভোকেট সোহরাব উদ্দীনের নামে কোনো মামলা নেয় নি....এবং কি যে ব্যক্তি এই কাজ প্রতিহীংসার বর্শ্ববর্তী হইয়া করতে চেয়েছিলেন তিনি পরবর্তীতে প্রকাশ্যে ক্ষমা চান...!!!

এটাই প্রকৃত ইতিহাস এবং আমি আওয়ামী পরিবারের ই সন্তান...!!! আজকে নিজ স্বার্থে যা করছেন একদিন এর সমুচিত জবাব দিতে পারবেন তো....????
বেচে থাকলে দেখা হবে....উত্তর টা নিতে হাজির হবো আপনার ই দরজায়....সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন...!!
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
জয় শেখ হাসিনা

ভিডিওসহ প্রমাণ