ছাত্রলীগ ব্যাকগ্রাউন্ড ছাড়া শীর্ষ নেতৃত্বে নয়: প্রধানমন্ত্রী

মোহাম্মদ মাসুদ : সম্মেলন নিয়ে ব্যস্ততা শুরু হয়েছে আওয়ামী লীগে। কেন্দ্রীয় সম্মেলনের পাশাপাশি যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগে স্বচ্ছ ইমেজের দক্ষ ও নিবেদিতপ্রাণ নতুন নেতৃত্ব সন্ধান করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে সাফ জানিয়েছেন, ছাত্রলীগ ব্যাকগ্রাউন্ড ছাড়া সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বে কাউকে বসানো হবে না।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন নিয়ে এবার হার্ড লাইনে দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিজের মতো করেই সাজাতে চান মূল দল ও সহযোগী সংগঠনকে। ক্যাসিনো কা-ে জড়িয়ে যারা বিতর্কিত হয়েছেন, তাদের কেউ ঠাঁই পাচ্ছেন না যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগে। সহযোগী ও মূল দল আওয়ামী লীগের পদ-পদবিতে সিন্ডিকেটের ব্যাপারে জিরো টলারেন্সে শেখ হাসিনা। ঠাঁই পাচ্ছেন না অনুপ্রবেশকারীরাও।
আজ রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন মহিলা শ্রমিক লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া কৃষক লীগের ২ নভেম্বর, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৯ নভেম্বর, শ্রমিক লীগের ১৬ নভেম্বর ও যুবলীগের সম্মেলন ২৩ নভেম্বর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে এই সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৯ অক্টোবর। এ ছাড়াও আগামী ২০-২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
সম্মেলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আসন্ন দলের জাতীয় কাউন্সিলে পরিচ্ছন্ন ও ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিই দলে স্থান পাবেন। সহযোগী সংগঠনের ক্ষেত্রেও তাই হবে। কোনো বিতর্কিত, দুর্নীতিতে জড়িত, চাঁদাবাজদের স্থান দেয়া হবে না।
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা বলছেন, চলমান শুদ্ধি অভিযানে যুবলীগের ভাবমূর্তি একেবারে ধূলোয় মিশে গেছে। এ দিকে সম্প্রতি চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠার পরপরই ছাত্রলীগ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় সংগঠনটির সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, টানা তিন দফায় ক্ষমতায় থাকার কারণে কিছু দুর্নীতিবাজ এর সুযোগ নিয়েছে, যার মধ্যে দলের ও সহযোগী সংগঠনের দায়িত্বশীলদের উল্লেখযোগ্য একটা অংশও জড়িয়ে পড়েছে। এসব দুর্নীতি তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগকে যেমন বিব্রত করছে, তেমনি উন্নয়ন অর্জনকেও ম্লান করছে। সে জন্য এবারের যে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শুরু হয়েছে, এর ব্যাপকতা থাকবে দীর্ঘমেয়াদে।
আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতির সাজসজ্জা উপকমিটির আহ্বায়ক ও দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আমরা সম্মেলন কর্মযজ্ঞ শুরু করেছি। কাল-পরশু সাজসজ্জা উপকমিটির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে দলীয় সভানেত্রীর কাছে দেয়া হবে।