ঢাকা বুধবার, ৭ই মে ২০২৫, ২৫শে বৈশাখ ১৪৩২


স্বেচ্ছাসেবকলীগের সম্মেলন: আলোচনায় পদপ্রত্যাশিরা


১৩ অক্টোবর ২০১৯ ১০:০৬

আপডেট:
১৩ অক্টোবর ২০১৯ ১২:২৮

 দরজায় কড়া নাড়ছে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের নতুন সম্মেলন। আগামী ১৬ নভেম্বর এ

সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ত্যাগী, স্বচ্ছ ও ক্লিনইমেজের নেতার খোঁজে আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতারা।

দলটির সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও চাচ্ছেন আওয়ামীলীগের সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতৃত্ব দুর্দিনের কর্মীদের হাতে তুলে দিতে। সম্মেলন সফল করতে ইতিমধ্যে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে। উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে নেতাকর্মীদের মাঝে।

জানা যায়, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নতুন মুখ আনা হতে পারে। এক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হবে দলের জন্য প্রার্থীর অতীত ভূমিকা। বিশেষ করে চারদলীয় জোট সরকারের আমলে জেল-জুলুম ও নির্যাতন, এক এগারোর সময়কালে যারা শেখ হাসিনার প্রশ্নে আপষহীন থেকে জেল খেটেছেন এমন নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হতে পারে।

আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয় ২০১২ সালের ১১ জুলাই। সংগঠন প্রতিষ্ঠার পরে ২০০৩ সালে প্রথম সম্মেলনের পর ২০১২ সালে হয় দ্বিতীয় সম্মেলন। এরপর ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ৪৫টির মতো নতুন করে কমিটি করা হয়েছে।

বাকিগুলো করা যায়নি। জানা যায়, স্বেচ্ছাসেবকলীগে বিভাগভিত্তিক সাংগঠনিক সম্পাদক রয়েছে। তবে বেশিরভাগ সাংগঠনিক সম্পাদকই নিষ্ক্রিয়। দলীয় কর্মসূচীতে উপস্থিত নেই। নেই সাংগঠনিক কার্যক্রমেও। বিভাগের দায়িত্বে থাকলেও অনেক সাংগঠনিক সম্পাদক সংশ্লিষ্ট বিভাগের কোনও কমিটিই গঠন করতে পারেনি।

সূত্র জানায়, সাংগঠনিক কার্যক্রমে সক্রিয়তা, অতীতের ভূমিকাসহ নানা বিষয় দেখা হবে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনে। স্বেচ্ছাসেবকলীগের আগামী সম্মেলনে প্রার্থী হিসেবে বেশ কয়েকজন আলোচনায় রয়েছেন।

এরমধ্যে সহ-সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ, যুগ্ম সম্পাদক গাজী মেজবাউল হাসান সাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক খাইরুল হাসান জুয়েল, একে এম আজিম, আব্দুল আলিম, দপ্তর সম্পাদক সালেহ আহমেদ টুটুল সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছেন।

এরমধ্যে খাইরুল হাসান জুয়েল স্কুল জীবন থেকেই ছিলেন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। পরবর্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্রলীগ শেষে স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

স্বেচ্ছাসেকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে তিনি রাজশাহী বিভাগের দায়িত্ব পালন করেন। এক্ষেত্রে রাজশাহী বিভাগের প্রায় সকল জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কমিটি সম্মেলনের মাধ্যমে ঘোষণা করতে তিনি সক্ষম হন।

এছাড়াও গত বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করেন। ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের দ্বারা নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে দীর্ঘদিন ভর্তি ছিলেন হাসপাতালেও। এরপর এক এগারোর মইনউদ্দিন ও ফখরুদ্দিন সরকারের আমলে শেখ হাসিনা কারামুক্তি আন্দোলনে সামনের সারিতে ছিলেন তিনি। ফলে প্রশাসনের চক্ষুশূল হয়ে গ্রেপ্তার হন। দীর্ঘ এক বছর নির্যাতন ও কারাভোগ করেন এ সময়।