ঢাকা বুধবার, ৭ই মে ২০২৫, ২৫শে বৈশাখ ১৪৩২


ডুয়েট শিক্ষার্থীর উদ্ভাবন অ্যাপসেই নিয়ন্ত্রন করা যাবে ছয়শোরও বেশি কাজ


২০ অক্টোবর ২০১৯ ১৪:৪৫

আপডেট:
৭ মে ২০২৫ ২০:০৪


একটিমাত্র ডিভাইস দিয়ে ছয়শোরও বেশি কাজ করা সম্ভব এমন ডিভাইস তৈরি করেছেন ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) ১২ শিক্ষার্থী। রোবট শিখতে আগ্রহী দেশের ২১১টি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ওপর গবেষণা চালিয়ে প্রস্তুত করা এই ডিভাইসটির নাম দেওয়া হয় ‘ইজিয়ার’।

ডিভাইসটি গেল ১৪, ১৫ ও ১৬ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে অনুষ্ঠিত ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো-২০১৯ এ প্রদর্শিত হয়। মেলায় সবার নজরকাড়ে এই অনন্য ডিভাইসটি।

ডিভাইসটির মাধ্যমে পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে গিয়ে অ্যাপসে ক্লিক করে বাসার ফ্যান, লাইট, এসি এবং বাসার সকল ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সের নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারি করা সম্ভব। অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায়, নিরাপত্তাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিসের সাহায্য, বাসার গ্যাস লিকেজ বা অগোচরে কেউ বাসায় প্রবেশ করল কি না কিংবা কোথাও আগুন ধরে গেলে তা আপনি সঙ্গে সঙ্গেই মোবাইলে নোটিফিকেশনে পেয়ে যাবেন মুহূর্তেই পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে বসে। রুমের বাতি নিজে নিজে জ্বলে ওঠা, রুমের তাপমাত্রা অনুযায়ী অটোমেটিক ফ্যান বা এসি চালুও বন্ধ করতে পারবে।

এটি একটি লাইন ফলোয়ার রোবট, যা হতে পারে আপনার হোটেলের ওয়েটার বা আপনার ফ্যাক্টরির মালামাল বহন কাজে নিয়োজিত সুদক্ষ কর্মী। আট বছরের শিশু থেকে শুরু করে যে কেউ এটি নিমিষেই ব্যবহার করে নিজেই অনেক যন্ত্র তৈরি করতে পারে কারণ এখানে নেই কোনো প্রোগ্রামিংয়ের ঝামেলা।

এই ডিভাইস দিয়ে চালনা সম্ভব ১৯ প্রকারের সেন্সর, ২২ প্রকারের ইলেক্ট্রিক্যাল লোড, ৬ প্রকার কমিউনিকেশন মডিউল ও ৫ প্রকার লজিক গেইট। ইজিয়ার প্রোসহ নতুন আরও একটি ভার্সন তারা ইতোমধ্যে তৈরি করেছে।

মেলায় এটি প্রদর্শন করেন ডুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সিদরাত মুনতাহা নূর প্রান্ত, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী জেরিন তাসনিম, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী দ্বীপ চৌধুরী।

সংগঠনটির অ্যাডভাইজার হিসেবে আছেন ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী। সংগঠনটির চেয়ারম্যান ডুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী ইঞ্জিনিয়ার শাকিল খান।