মিশা সওদাগর ও মৌসুমীর মধ্যে হবে চরম লড়াই

আর মাত্র তিন দিন পরেই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এ নির্বাচনকে ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছে এফডিসি প্রাঙ্গণ। প্রার্থীদের মিছিল, মিটিং, চায়ের আসর থেকে শুরু করে নানামুখী দ্বন্দ্বও এখন প্রকাশ্য ঘটনা।
এদিকে শিল্পী সমিতির সদ্য গত হওয়া কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তারা নিয়ম বহির্ভূতভাবে অনেকের সদস্যপদ বাতিল করেছেন। এই অভিযোগে পরপর দুজন ব্যক্তি সমিতি বরাবর লিগ্যাল নোটিশও পাঠিয়েছেন। কিন্তু সমিতি লিগ্যাল নোটিশ গ্রহণ না করায় কোনো আইনি জটিলতার মুখোমুখি হচ্ছে না শিল্পী সমিতির নির্বাচন।
এবারের নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল রয়েছে একটি জায়েদ মিশা-প্যানেল। অপর দিকে সভাপতি হিসেবে স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী। খোঁজ নিয়ে জানা যায় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জায়েদ খানের জয়ের সম্ভাবনা বেশি। সাধারণ সদস্যরা মনে করেন বিনা বাধায় নির্বাচনে জয় লাভ করবেন জায়েদ খান। অপরদিকে সভাপতি প্রার্থী মিশার সঙ্গে তুমুল লড়াই হবে চিত্রনায়িকা মৌসুমীর।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এফডিসিতে গিয়ে দেখা যায় শেষ মুহূর্তের প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত প্রার্থীরা। সমিতিতে ভিড় শিল্পীদের। জায়েদ খান বলেন, ‘আমি খুবই আশাবাদী নির্বাচন নিয়ে। একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠানের সমস্ত আয়োজন আমরা সম্পন্ন করেছি।’
সভাপতি প্রার্থী মিশা সওদাগরকে দেখা গেল জরুরি মিটিং করতে। অপরদিকে মৌসুমীকে এফডিসিতে পাওয়া না গেলেও জানা যায়, বিকেলের দিকে তিনি এফডিসিতে এসে প্রচারণা চালিয়ে গেছেন। এফডিসির ক্যানটিনের সামনেই দেখা হলো কয়েকজন সাধারণ শিল্পীর সঙ্গে। সদস্যপদ হারানো কয়েকজনকে দেখা গেল অন্যদের কাছে মৌসুমীর পক্ষে ভোট চাইতে। জানতে চাইতেই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আমরা আগে শিল্পী সমিতির সদস্য ছিলাম। গত নির্বাচনে ভোটও দিয়েছি। কিন্তু এবার আমাদের সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। আমরা এবার আর ভোট দিতে পারব না।’
ভোট দিতে পারবেন না জেনেও কেন পছন্দের প্রার্থীর কাছে ভোট চাইছেন। জবাবে তিনি বলেন, ‘শুধু আমি না, সদস্যপদ হারানো বেশির ভাগ শিল্পীই মৌসুমী আপার পক্ষে নির্বাচন করছেন। আমরা আমাদের অধিকার ফিরিয়ে নিতেই মৌসুমীর পক্ষ হয়ে কাজ করছি।’
উল্লেখ্য, গত ২৪ মে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দুই বছরের মেয়াদ শেষ হয়। শিল্পী সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা। সে হিসাবে ২৪ আগস্টের মধ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। গঠনতন্ত্রের বাইরে গিয়ে প্রায় দুই মাস পর এই নির্বাচন হতে যাচ্ছে।