ঢাকা বুধবার, ৭ই মে ২০২৫, ২৫শে বৈশাখ ১৪৩২


নুসরাত হত্যা মামলা: গণমাধ্যমের প্রশংসা করেন আদালত


২৪ অক্টোবর ২০১৯ ২৩:১৪

আপডেট:
৭ মে ২০২৫ ২৩:১৩

ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় ১৬ আসামির ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

রায় পড়ার শুরুতেই গণমাধ্যমের ভূমিকার প্রশংসা করেন আদালত। আদালত বলেন, গণমাধ্যমের কারণেই এই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা দেশবাসী জানতে পারে।

পাশাপাশি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ভূমিকার প্রশংসা করা হয়।

দেশব্যাপী আলোচিত ওই ঘটনায় সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার তৎকালীন অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলাসহ ১৬ আসামির কী সাজা হবে তা জানার আগ্রহে ছিল দেশবাসী।

নুসরাতের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনাটি এপ্রিলের শুরুতে গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করে গণমাধ্যমগুলো। এর পর মামলার অগ্রগতি ও আসামিদের বিষয়ে নিয়মিত প্রতিবেদন হয়। এ ছাড়া সম্পাদকীয় পাতায় বারবার উঠে এসেছে নুসরাত প্রসঙ্গটি।

অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে নুসরাত শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনলে তার মা শিরিনা আক্তার বাদী হয়ে গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় যৌন হয়রানির মামলা করেন। সেই মামলায় অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারপর থেকে মামলা তুলে নুসরাত এবং তার পরিবারের ওপর নানাভাবে চাপ আসতে থাকে।

৬ এপ্রিল নুসরাত মাদ্রাসা কেন্দ্রে আলিম পরীক্ষা দিতে গেলে তাকে কৌশলে মাদ্রাসার প্রশাসনিক ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে হাত-পা বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পরদিন নুসরাত ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসকদের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে অধ্যক্ষ সিরাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।

১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুসরাত।

নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান ৮ এপ্রিল সোনাগাজী থানায় মামলা করলেও পরে সেটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।

নুসরাত হত্যার মামলটি প্রথমে করছিলেন সোনাগাজী থানার পরিদর্শক কামাল হোসেন তদন্ত করলেও; কিন্তু ওই থানার ওসিসহ পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নুসরাত হত্যাকাণ্ডের সময় গাফিলতির অভিযোগ ওঠায় তদন্তভার নেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই)।

২৯ মে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত শেষে মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ ১৬ জনকে আসামী করে মামলার অভিযোগপত্র ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট আদালতে দাখিল করে।