মানিকগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের কমিটি ,বাবুল সভাপতি, সম্পাদক মতি

বাবুল সরকারকে সভাপতি, কাজী মতিউর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে জাতীয় শ্রমিক লীগের মানিকগঞ্জ জেলা শাখার কমিটির অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি।
এদিকে,বাবুল সরকারকে সভাপতি ও কাজী মতিউর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে জাতীয় শ্রমিক লীগ মানিকগঞ্জ জেলা শাখার ৭১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি। ২০ অক্টোবর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শুক্কুর মাহামুদ জাতীয় সংসদের ন্যাম ভবনে মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের কার্যালয়ে গিয়ে বাবুল সরকারের হাতে ওই অনুমোদনের কপি তুলে দেন। এ সময় সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয় ও মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম উপস্থিত ছিলেন।
সাত দিনের ব্যবধানে দুটি কমিটি গঠনের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শুক্কুর মাহামুদ বলেন, ৭ অক্টোবর যে কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয় তা তার জানা নেই। তিনি বলেন, মানিকগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি বাবুল সরকার এবং সাধারণ সম্পাদক হানিফ আলীর দ্বন্দ্বের কারণে দুটি কমিটি জমা পড়ে। হানিফ আলীর কমিটিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও মানিকগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ মালেক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম এবং সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল মজিদ ফটো সুপারিশ করেন। অন্যদিকে বাবুল সরকারের কমিটিতে মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয়, মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীন এবং পৌর মেয়র গাজী কামরুল হুদা সুপারিশ করেন। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে বাবুল সরকারের কমিটিকে অনুমোদন দেওয়া হয়।
এদিকে, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম ৭ তারিখে ঘোষিত কমিটিতে তার স্বাক্ষরের কথা অস্বীকার করেছেন। ন্যাম ভবনে গিয়ে অনুমোদিত কমিটি হস্তান্তরের বিষয়ে তিনি জানান, সেখানে তিনি যাননি এবং সেখানে যাওয়ার ব্যাপারে তাকে কেউ জানায়নি। তবে ১৫ অক্টোবর কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে বাবলু সরকারের কমিটিকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
৭ অক্টোবর ঘোষিত জেলা শ্রমিক লীগের কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ আলী বলেন, সাত দিনের মাথায় বাবুল সরকারকে সভাপতি করে আরেকটি কমিটির অনুমোদন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দলীয় কর্মকাণ্ড। এই অবৈধ কমিটি বাতিলের দাবিতে ২২ অক্টোবর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা বরাবর আবেদন করেছেন জেলা শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা।
৭ অক্টোবর ঘোষিত জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আব্দুল জলিল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুদ্ধি অভিযান চলছে। এর মধ্যে শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি শুকুর মাহামুদ অর্থের বিনিময়ে অবৈধভাবে একটি কমিটি থাকার পরও সাত দিনের মাথায় আরেকটি কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন।
১৫ অক্টোবর ঘোষিত কমিটির সভাপতি বাবুল সরকার বলেন, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক হানিফ আলীর সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে জেলা কমিটির মেয়াদ থাকা সত্ত্বেও দু'জনই আলাদা আলাদা কমিটি কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে জমা দিই। দুই কমিটিতেই নেতৃবৃন্দ সুপারিশ করেন। গত ১৫ অক্টোবর কেন্দ্রীয় কমিটি তার ও হানিফ আলীর অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর নেন। কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় তার দাখিল করা কমিটি অনুমোদন দেন। এ কমিটিকে যারা অবৈধ বলেন, তারা আসলে দল করেন কি-না সন্দেহ আছে।