ঢাবি ছাত্রকে মারধরের পর উল্টো তার বিরুদ্ধেই মামলার পাঁয়তারা!

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে নির্যাতিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে মারধরের পর উল্টো তার বিরুদ্ধে মামলার পাঁয়তারা করছে প্রতিপক্ষ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাবির মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী নির্যাতনের শিকার আব্দুল্লাহ আল মামুন নিজেই।
গত শুক্রবার (২০ মার্চ) জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে হামলার শিকার হন ঢাবির এ শিক্ষার্থী এবং তার পরিবার। ঐ ঘটনায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হলেও পুলিশ দু’জনকে গ্রেপ্তার করে এবং দু’জনেই জামিনে মুক্তি পায়।
জানা যায়- স্থানীয় নেতা এবং এক অধ্যক্ষের সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলার পাঁয়তারা করছে হামলাকারীরা।
এ বিষয়ে ঢাবি শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন দৈনিক আমাদের দিনকে জানান, যেখানে আমাকে হামলা করা হয়েছে এবং এখনো আমার গায়ের রক্ত শুকায়নি সেখানে উল্টা আবার আমার বিরুদ্ধেই মামলা করা হচ্ছে এটি কেমন বিচার। আমার জন্য এটি খুবই হতাশাজনক আমি এমনিতেই এখন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আছি।
আব্দুল্লাহ আল মামুন আরও বলেন, একজন সাধারণ মানুষ হিসেবেও এটি কখনো মানা যায় না আমাদেরকে উপর ভাড়াটিয়া গুন্ডা দিয়ে আমাদের পুরো পরিবারকে হামলা করে রক্তাক্ত করবে এবং আমাদের বিরুদ্ধে আবার মামলা করবে এটা কেমন বিচার! কাদের ব্যাকআপে এটি করা হচ্ছে! আমি প্রশাসনের নিকট সঠিক তদন্তের সাথে বিচার চাই।
ঘটনাটির শুরু থেকেই ঢাবি শিক্ষার্থীর খোঁজ-খবর রাখা ডাকসু সদস্য রকিবুল ইসলাম ঐতিহ্য আমাদের দিনকে বলেন, মামুনের উপর হামলা এবং মামলার পাঁয়তারার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) তার পাশে রয়েছে। মামুনের বিরুদ্ধে যদি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয় এবং হয়রানি করা হয় তাহলে ডাকসু পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে।
এ বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল্লাহ হিল জামান জানান, আমি ঢাবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে এখনো পর্যন্ত জানিনা তবে এখানে দুই পক্ষই হামলার শিকার হয়েছে এবং আহত হয়েছে দুই পক্ষেরই মামলা করার অধিকার আছে। মামলা করা হলে আমরা বিষয়টি তদন্ত করব।
গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জ থানার এসপি বলেন , সবকিছুর খোঁজ-খবর রাখা হচ্ছে । অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এটি চাচা ভাতিজার দ্বন্দ্ব।