ঢাকা শুক্রবার, ২রা মে ২০২৫, ২০শে বৈশাখ ১৪৩২


জালিয়াতি করে চান্স পাওয়া সেই ছাত্র এখনো ঢাবিতে পড়ছেন!


২০ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:৪৭

আপডেট:
২ মে ২০২৫ ১৯:২৩

প্রশ্ন ফাঁস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া মোঃ শাহরিয়ার সিফাত নামে এক শিক্ষার্থী এখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দাপটের সহিত তার পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তার সহপাঠী ও অন্যান্য শিক্ষার্থীরা।

তারা বলছেন, একজন প্রশ জালিয়াত নিজের মুখে স্বীকার করে কিভাবে সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছেন। ঢাবি প্রসাসন ব্যবস্থা নিবেন বলেও তাকে এখনো কেন বহিস্কার করা হচ্ছে না? 

এই শিক্ষার্থী ২০১৭-১৮ সেশনে পরীক্ষার আগের দিন প্রশ্ন পেয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেন বলে নিজের মুখে স্পষ্ট স্বীকার করেছেন চ্যানেল ২৪ এর একটি অনুসন্ধানী প্রোগ্রামে। ঘ ইউনিটে ৬২৩ তম হয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান পেলেও পরে মাইগ্রেশন করে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। 

চ্যানেল ২৪ এর সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল ইমরান লিখেছেন, সকল তথ্য সিআইডি ও ঢাবির কাছে দেয়া আছে। কিন্তু এখনো কেন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা বোধগম্য নয়।

প্রশ্ন জালিয়াত মোঃ শাহরিয়ার সিফাতের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন...... 

জালিয়াতের বক্তব্য 

 

তাকে ফেসবুকে প্রশ্ন করার পর তিনি ফেইসবুক আইডি ডিএক্টিভ করে দিয়েছেন। 

শিক্ষার্থীদের দাবি সিফাতকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে বহিস্কার করতে হবে। 

এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হওয়ার কারণে ১৫ শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে  বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ৩০ জানুয়ারি ২০১৮ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী কর্তৃপক্ষ সিন্ডিকেট সভায় এই ১৫ শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শিক্ষার্থীরা হলেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের নাভিদ আনজুম তনয়, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মহিউদ্দীন রানা, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের আবদুল্লাহ আল মামুন।

জালিয়াতের অভিযোগে ছাত্রত্ব বাতিল হওয়া প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা হলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের নাহিদ ইফতেখার, বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের মো. আজিজুল হাকিম, মনোবিজ্ঞান বিভাগের বায়েজীদ, সংস্কৃত বিভাগের প্রসেনজিৎ দাস, স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের ফারদিন আহমেদ সাব্বির, অর্থনীতি বিভাগের রিফাত হোসাইন, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের রাফসান করিম, বাংলা বিভাগের আখিনুর রহমান অনিক, ইতিহাস বিভাগের টি এম তানভীর হাসনাইন, শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের মুন্সী সুজাউর রহমান ও পালি ও বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের নাজমুল হাসান নাঈম।

গত ৪ জানুয়ারি ওই ১৫ জন শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ করে বিশ্ববিদ্যালয় শৃঙ্খলা পরিষদ। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে জালিয়াতির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির খবর প্রকাশিত হলে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)র তাদেকে আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জালিয়াতির বিষয়টি স্বীকার করে।