বিএনপির নির্বাচনী সভায় দেখা গেল এনসিপি নেতাকে

নড়াইলের জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমের নির্বাচনী আলোচনা সভায় এনসিপির জেলা সমন্বয় কমিটির সদস্য সাজ্জাদ হোসেন মাস্টারকে সামনের সারিতে বসতে দেখা গেছে। সম্প্রতি এমনটি কিছু ভিডিও ফেসবুকে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
জানা গেছে, গত ২৭ জুন বিকাল ছয়টায় নড়াইল জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম কালিয়া ও নড়াগাতী থানার বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে নিজ বাড়িতে আলোচনা সভা করেন। এসময় এনসিপির জেলা সমন্বয় কমিটির ৫নং সদস্য সাজ্জাদ হোসেন ওরফে সাজ্জাদ মাস্টারকে বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমের পাশে বসা অবস্থায় দেখা যায়।
এছাড়াও স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে আয়োজিত একটি চা-চক্রেও দেখা গেছে তাকে। এ নিয়ে নড়াইল জেলা এনসিপির নেতাকর্মীদের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে অসন্তোষ।
এ বিষয়ে কালিয়া উপজেলা এনসিপির সদস্য নাজমুল হাসান উজ্জ্বল বলেন, মূলত সাজ্জাদ মাস্টার বিএনপির চর হিসেবে এনসিপির কমিটিতে ঢোকে। দলের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি করে দিয়ে এখন সে তার নিজ দল বিএনপিতে চলে গেছে। এছাড়াও সে একটি সরকারি স্কুলের শিক্ষক। সে কীভাবে রাজনৈতিক দলে পদ নিলো? নড়াইলে এনসিপিকে বাঁচাতে এই লোককে সংগঠন থেকে সরিয়ে দেয়া দরকার।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাজ্জাদ হোসেন মাস্টারের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার মুঠোফোন ও হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে একাধিক নাম্বার থেকে বিভিন্ন সময়ে অনেকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি কোনো ফোনকল রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিপির নড়াইল জেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) সাব্বির হোসেন বলেন, "মানুষ তো যেকোনো দলের মিটিংয়ে যেতে পারে। মিটিংয়ে যাওয়া তো অপরাধ না। মিটিংয়ে যদি বক্তব্য রাখে, ওই পার্টির পক্ষে জোরালো বক্তব্য দেয়, সেটা নিয়ে অবজেকশন (অভিযোগ) হতে পারে। এখন কেন গেছে তাতো আমি জানিনা। ঢাকাতে তো একটি দলের প্রোগ্রামে অন্য দলের নেতারা আসে। কেউ কথা বলে, কেউ বলেনা, কেউ নিউট্রাল (নিরপেক্ষ) বক্তব্য দেয়। আমি তার এ ভিডিওটি দেখেছি। এখন আমি বিস্তারিত জানিনা। আমি ভিডিওটা তাকে (সাজ্জাদ মাস্টার) পাঠিয়েছি, দুইবার ফোন দিয়েছি। কিন্তু সে ফোন ধরেনি। ফোন ধরলে শুনব কী বৃত্তান্ত। তারও তো একটা বক্তব্য থাকতে পারে।"