ঢাকা শুক্রবার, ২রা মে ২০২৫, ২০শে বৈশাখ ১৪৩২


চারুকলায় আগুন, নববর্ষের দুদিন আগে পুড়ে গেল ‘ফ্যাসিবাদের মোটিফ’


১২ এপ্রিল ২০২৫ ১০:৩৮

আপডেট:
২ মে ২০২৫ ১৭:১৫

আগুনে পুড়ে যাওয়া মোটিফের ধ্বংসাবশেষ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে এবারের ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ উপলক্ষে তৈরি করা ‘ফ্যাসিবাদের মোটিফ’ পুড়ে ফেলা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আজ শনিবার ভোর সাড়ে চারটা থেকে পাঁচটার মধ্যে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে এই মোটিফ পুড়ে যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, চারুকলার প্রাঙ্গণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফ্যাসিবাদের মোটিফটি সম্পূর্ণ ছাই হয়ে গেছে। এ ছাড়া শান্তির পায়রা এবং উপরের শামিয়ানাও পুড়ে গেছে। পুড়ে যাওয়া এ মোটিফগুলোর ছাই এবং খণ্ডিতাংশ পড়ে আছে ঘটনাস্থলে।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদ বলেন, ‘ভোর চারটা থেকে পাঁচটার ভেতরে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় দায়িত্বরত প্রক্টরিয়াল টিমের দুই সদস্য নামাজে গিয়েছিলেন। এ ছাড়া দারোয়ান ঘুমে ছিলেন। ফলে আগুন কীভাবে লেগেছে তা এখনো জানা যায়নি।’

সাইফুদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ‘আমরা অনুমান করছি, কেউ পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগিয়েছে। আবার তা নাও হতে পারে। ঘটনাস্থলে সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল। ক্যামেরার পাসওয়ার্ড ভুলে যাওয়ায় এখনো ফুটেজ দেখা সম্ভব হয়নি। তবে ভিন্নভাবে এ ফুটেজ দেখার চেষ্টা চলছে।’

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল মোবাইল টিম চারুকলায় নিরাপত্তায় দায়িত্বে ছিল। ভোর সাড়ে চারটার দিকে মোবাইল টিম ফজরের নামাজ পড়তে বের হয়। তখন সেখানে শুধু পুলিশ উপস্থিত ছিল। এর কিছু সময় পরেই যে জায়গাতে শেখ হাসিনার মোটিফটি ছিল সেখানে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। দ্রুত সময়ের মধ্যে আগুন নেভানো হলেও শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট মোটিফটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। এটা একেবারে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’

রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘ঘটনাটি ঘটার পরপরই সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টর, পুলিশের কর্মকর্তারা এসে উপস্থিত হন। এখনো সিসিটিভি ফুটেজ দেখার করা হচ্ছে। কে বা কারা এটি ঘটিয়েছে সেটি দেখা হচ্ছে।’