ঢাবির মুহসীন হলে বৈধ ছাত্রদের বের করে কক্ষ দখলের অভিযোগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসীন হলে তালা ভেঙে কক্ষ দখলের অভিযোগ উঠেছে হল ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আরিফের নেতৃত্বে শনিবার রাত ১টা দিকে হলের ২০৪ নম্বর কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।
ওই কক্ষ থেকে যাদের বের করা দেওয়া হয়েছে তারা হলেন- মুহসীন হল ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি আমান সাদিক, ঢাবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক আবদুল আলিম ও নূর মোহাম্মদ ফরহাদ। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। ঘটনা উল্লেখ করে ভুক্তভোগীরা হল প্রশাসনকে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
সূত্র জানায়, হলের ২০৪ নম্বর কক্ষে মাস্টার্সের ছাত্র আমান, আলিম ও ফরহাদ বসবাস করেন। কক্ষে তালা লাগিয়ে তারা রিডিং রুমে পড়ালেখা করছিলেন। কিন্তু রাত দেড়টার দিকে কক্ষে এসে দেখেন সকল জিনিসপত্র কক্ষের বাইরে। সেখানে তারা দ্বিতীয় বর্ষের কয়েকজন ছাত্রকে অবস্থান করতে দেখেন। কক্ষে ঢুকতে গেলে তাদের হুমকি দিয়ে বের করে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আলিম বলেন, আমরা এখন উদ্বাস্তু হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি। শীতের মধ্যে সারারাত বাইরে কাটিয়েছি। অনেক জরুরি কাগজপত্র হারিয়ে গেছে। আমি আমার রুম ফেরত চাই।
অভিযুক্ত আরিফ বলেন, তাদের বের করে দেওয়া হয়নি। রুম পরিবর্তন করে ছয় তলায় দেওয়া হয়েছে। সেখানে তারা ভালভাবে পড়াশুনো করতে পারবে।
রুম পরিবর্তনের বিষয়ে হল প্রশাসনকে জানানো হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, হলের কিছু নিয়ম আছে। যারা গ্রুপ চালায় তাদের পোলাপানদের রাখার জন্য কিছু পলিটিকাল রুম আছে। সেখানে তাদের থাকতে দেওয়া হয়। এটা হলের নিয়ম কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, না। এটা ছাত্রলীগের নিয়ম।
কক্ষ দখলের বিষয়টি হল প্রাধ্যক্ষ নিজামুল হক ভূঁইয়াকে ঘটনা অবহিত করলে তিনি পরে জানাবেন বলে জানান।