নেছারাবাদে বিএনপির দুই গ্রুপের মতানৈক্যের বিরোধে অনুষ্ঠান পন্ড : অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
পিরোজপুর ২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ও জনপ্রিয় নেতা মাহমুদ হোসেনের সমর্থনে ও ধানের শীষের পক্ষে তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে পিরোজপুর জেলা মহিলা দলের সদস্য মোসাঃ মাসুমা তালুকদারের নেতৃত্বে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগের প্রস্তুতিকালে পিরোজপুর ২ আসনের আরেক জনপ্রিয় নেতা কেন্দ্র ঘোষিত মনোনয়ন প্রাপ্ত আহম্মেদ সোহেল মঞ্জুর সুমনের কিছু নেতাকর্মী অনুষ্ঠান আয়োজনে বাঁধা প্রদান করে।
সরেজমিনে দেখা যায়, নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মোঃ ইমাম উদ্দিন তালুকদারের সাথে এলাকার কিছু বিএনপি পন্থী বা সোহেল মঞ্জুর সুমন সমর্থীত নেতাকর্মী তাদের অনুষ্ঠান আয়োজনে বাঁধা প্রদান করে এবং দুপক্ষের মাঝে বেশ কিছু সময় বাকবিতন্ডা ও মতানৈক্যের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এতে সমন্বয় না হলে এক পর্যায়ে সুমন মঞ্জুর নেতাকর্মীরা মাহমুদ হোসেন সমর্থীত শত শত মহিলা কর্মী সহ আয়োজনে উপস্থিত সকলকে তাড়িয়ে দেয় এবং ব্যানার লিফলেট কেড়ে নেয়। একপর্যায়ে আয়োজনস্থলে এক প্রকার আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে এবং উত্তেজনা বিরাজ করে। এতে কিছুটা হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা লক্ষ্য করা যায়। এতে মহিলা কর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে দিকবিদীক ছোটাছুটি করে এবং বিশৃঙ্খল পরিবেশের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে পরিস্থিতি সাভাবিক হলে ইমাম উদ্দিন তালুকদার ও মাসুমা তালুকদারের নেতৃত্বে অল্প কিছু সাহসী কর্মী নিয়ে সল্প সময়ের আলোচনা সভার মাধ্যমে আয়োজনের সমাপ্তি ঘটে।
এ বিষয়ে ইমাম উদ্দিন তালুকদারের দাবি, আমরা পিরোজপুর জেলা মহিলা দলের সদস্য মাসুমা তালুকদারের নেতৃত্বে আমাদের জনপ্রিয় নেতা মাহমুদ হোসেনের সমর্থনে তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ ও একটি শান্তিপূর্ণ আলোচনা সভার আয়োজন করেছিলাম। হঠাৎ বিএনপির অন্য আরেকটি গ্রুপ তথা সোহেল মঞ্জুর সুমন পন্থী কিছু নেতা বিশেষ করে মোঃ জাহিদ উদ্দিন, মোঃ সেলিম, মোঃ আজিম হাওলাদার, মোঃ হাসান বাহাদুর সহ প্রায় ১৫/২০ জন আমাদের শান্তিপূর্ণ আয়োজনে বাঁধা দেয় এবং আমাদের কর্মীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ভয় ভীতি দেখিয়ে এবং মারধর করে ব্যানার ফেস্টুন এবং লিফলেট ছিনিয়ে নেয়। এতে আমি সহ আমাদের কয়েকজন কর্মী আহত হয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানাই।
পিরোজপুর জেলা মহিলা দলের সদস্য মোসাঃ মাসুমা তালুকদার বলেন, আমাদের নেতা মাহমুদ হোসেনের সমর্থন করা কি কোনো দোষের কাজ, তারাও বিএনপি আমরাও বিএনপি তাহলে কেনো আওয়ামী পন্থী মহারাজের নির্বাচনে সহযোগীতাকারী কিছু লোক আমাদের আয়োজন পন্ড করেছে। এর সঠিক বিচারের দাবি জানাচ্ছি এবং আমরাও হুশিয়ারী দিয়ে বলছি, ভবিষ্যতে এরকম কর্মকান্ড করলে এবং তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের কাজে কেউ কোনো রকম বাঁধা প্রদান করলে ভবিষ্যতে এক চুলও ছাড় দেওয়া হবেনা। আমরাও শক্ত হাতে প্রতিরোধ করবো। কারন আমাদের নেতা জননেতা মাহমুদ হোসেনের জনসমর্থনও কম নয়।
পরবর্তীতে রবিবার (১৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৭ টায় মাহমুদ হোসেনের উপজেলা সদরের অস্থায়ী অফিসে প্রতিপক্ষের এই হামলা ও অনুষ্ঠান পন্ডের প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন - নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক, মোঃ ইমাম উদ্দিন তালুকদার। সাবেক যুগ্ম আহবায়ক, স্বরুপকাঠী পৌর বিএনপি ও সাবেক কাউন্সিলর, মোঃ সাইফুল ইসলাম উজ্জ্বল। সাবেক যুগ্ম আহবায়ক, স্বরুপকাঠী পৌর বিএনপি, মোঃ নুরুল হক। সাবেক যুগ্ম আহবায়ক, স্বরুপকাঠী পৌর বিএনপি ও সাবেক কাউন্সিলর, মোঃ জিয়াউদ্দিন মালেক। যুবনেতা, স্বরুপকাঠী পৌর শাখা, মোঃ মামুন সরদার। সাবেক যুগ্ম আহবায়ক, নেছারাবাদ উপজেলা সেচ্ছাসেবক দল, মোঃ জাফর ইকবাল। সাধারণ সম্পাদক, স্বরুপকাঠী ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি, মোঃ বেল্লাল হোসেন সহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এ বিষয়ে নেছারাবাদ থানায় মোঃ ইমাম উদ্দিন তালুকদার বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলো - ১/ মোঃ জাহিদ উদ্দিন (লবন জাহিদ) মোঃ সেলিম (ভাত সেলিম), মোঃ আজিম হাওলাদার, মোঃ হাসান বাহাদুর।
