ঢাকা শুক্রবার, ৯ই মে ২০২৫, ২৬শে বৈশাখ ১৪৩২


দক্ষিণ আ'লীগ সম্মেলন ঘিরে আলোচনায় এম এ আজিজের ছেলে তামিম


২৯ নভেম্বর ২০১৯ ১৩:৫৯

আপডেট:
২৯ নভেম্বর ২০১৯ ১৫:০৬

আগামী ২০ ও ২১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। তবে তার আগে আসছে ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সম্মেলন। এরই মধ্যে সম্মেলনকে ঘিরে চলছে নানা আলোচনা। আর আলোচনার কেন্দ্রে একটা প্রশ্নই বারবার ঘুরপাক খাচ্ছে, সেটি হলো- মহানগর আওয়ামী লীগের পরবর্তী নেতৃত্ব যাচ্ছে কার কার হাতে?

তবে এটা প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বাদ পড়তে যাচ্ছেন বর্তমান কমিটির শীর্ষ নেতা। পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির কর্মীবান্ধব ত্যাগী নেতারাই পেতে যাচ্ছেন ওই পদগুলো। আওয়ামী রাজনীতির রাজপথের হৃৎপিণ্ড বলে খ্যাত ঢাকা মহানগরের শীর্ষ নেতাদের ওপর মহাবিরক্ত আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এ জন্য তিনি ৩০ নভেম্বরের সম্মেলনে নতুন মুখ উপহার দিতে যাচ্ছেন বলে দলীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে, দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের মতে, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের শীর্ষ দু,পদেই নতুন মুখ আসছে।দক্ষিণের সভাপতি আবুল হাসনাত বয়সজনিত কারণে বাদ পড়তে পারেন।অন্যদিকে, শাহে আলম মুরাদও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণের বাদ পড়তে যাচ্ছেন।

 সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে বেশ কয়েকজনের নাম প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা পড়েছে। এর মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণে সভাপতি পদে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু আহমেদ মান্নাফি, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নারায়নগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু ,মেয়র সাঈদ খোকন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আখতার হোসেন, মহানগর দক্ষিণের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অবিভক্ত মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মরহুম এম এ আজিজ ও প্রথম শহীদ মিনার নির্মাণকারী পিয়ারু সরদারের নাতিন ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওমর বিন আজিজ তামিম, দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গিয়াসউদ্দিন সরকার পলাশ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সহ সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন , সূত্রাপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাজী আবু সাঈদ প্রমুখ।

তবে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে ১/১১-এর নেত্রী মুক্তি আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা প্রয়াত অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের ছেলে ড. ওমর বিন আজিজ ওরফে তামিম নিয়েই আলোচনা হচ্ছে সব থেকে বেশি। স্বচ্ছ রাজনৈতিক দর্শন আর ক্লিন ইমেজের কারণে তামিমই হতে পারেন আগামীতে আওয়ামী লীগের দক্ষিণের কাণ্ডারি। লন্ডন থেকে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জনকারী এ নেতা বর্তমানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তার দাদা মরহুম পিয়ারো সরদার ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে প্রথম শহীদ মিনার তৈরী করেছিলেন। পুরান ঢাকার স্থানীয় এবং তরুণ নেতা হিসেবে মহানগরের সাধারণ সম্পাদক পদে এগিয়ে আছেন তিনি। ।


এদিকে, নেতাকর্মীদের ধারণা, ক্লিন ইমেজ, অতীতের সাফল্য ও জনপ্রিয়তার দিক থেকে ঢাকা দক্ষিণে এবার যোগ্য প্রার্থী হয়ে ওঠতে পারেন তামিম। 

 

যেকারণে ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওমর বিন আজিজ ওরফে তামিম  হতে পারেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের  কান্ডারি

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওমর বিন আজিজ ওরফে তামিমের বাবা ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রয়াত এম এ আজিজ তার সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি ছিলেন অবিচল। দল এবং দলের সভাপতি শেখ হাসিনার প্রতি আনুগত্যের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন আপোষহীন। দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক পথচলায় তিনি একসময় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের দুর্দিনের কাণ্ডারী হয়ে ওঠেন।

এক-এগারো পরবর্তী আওয়ামী লীগ যখন ক্রান্তিকালে, তখন এম এ আজিজ ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের হাল ধরে দুঃসাহসিক ভূমিকা পালন করেন। ঢাকা মহানগরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তিনি হয়ে উঠেন প্রধান কর্ণধার।

এম এ আজিজ আশির দশকে স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তখন তিনি ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ তখন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আবারও তিনি রাজনৈতিক সংকটময় মুহূর্তে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। এবার তিনি ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এক-এগারো পরবর্তী সময়ে দেশে জরুরি অবস্থা চলাকালে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মারা যান। তখন এম এ আজিজ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। এই দুঃসময়ে তিনি ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পান।

ওই সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা গ্রেফতার হওয়ার পর দলের রাজনীতি জটিল পরিস্থিতির মধ্যে চলে যায়। ওই সময় ঢাকা মহানগরের অনেক নেতা আত্মগোপনে চলে যান। আবার কেউ কেউ দল থেকে সরে পড়েন। তারপরও সংকটাপন্ন পথ পাড়ি দিয়ে ওই সময় ধীর ধীরে আওয়ামী লীগ ঘুরে দাঁড়াতে থাকে।

শুরু হয় দলের সভাপতি শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলন। আর ওই আন্দোলনে চালিকাশক্তিতে পরিণত হয় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ। শেখ হাসিনার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন জোরদারের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ গণস্বাক্ষর অভিযান শুরু করে। শেখ হাসিনার মুক্তির দাবিতে তারা ২৫ লাখ স্বাক্ষর সংগ্রহ করে সরকারের কাছে জমা দেয়। এই স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযানে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন এম এ আজিজ।

ওই সময় প্রতিটি আন্দোলনে এবং আওয়ামী লীগের প্রতিটি পদক্ষেপে এম এ আজিজ ছিলেন অগ্রভাগে। শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি (পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি) জিল্লুর রহমানের পাশে থেকে দলের ঐক্য রক্ষায় শক্ত অবস্থান নেন।

এম এ আজিজ ১৯৪৮ সালে পুরান ঢাকার বিখ্যাত সরদার পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন। অল্প বয়স থেকেই তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। শুধু দলের নেতাই তিনি ছিলেন না, দলের প্রয়োজনে নিজের অর্থ দিয়ে দলের পাশে দাঁড়িয়েছেন আওয়ামী লীগের এই প্রয়াত নেতা।

অন্যদিকে , তামিমের দাদা পিয়ারু সরদার। পিয়ারু সর্দার(১৮৯৩-১৯৬১) ঢাকার পঞ্চায়েত প্রধানদের একজন সর্দার ছিলেন। হোসনি দালান এলাকার সর্দার ছিলেন। ১৯৫২ সালে 'তার সাহসী ভূমিকার কারণেই পূর্ব বাংলায় প্রথম শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছিল।

ঢাকার সর্দার ও প্রভাব
পিয়ারু সর্দার ছিলেন হোসনি দালান, বকশিবাজার, নাজিমউদ্দিন রোড, উর্দু রোড, নূরকাতা লেন, আজিমপুর, পলাশীসহ বিভিন্ন মহল্লার সর্দার। তিনি ছিলেন শিক্ষানুরাগী ও দানশীল মানুষ। এ দেশের প্রথম ছাত্র সংগঠন ছাত্র ফেডারেশনের অফিস ছিল তার এলাকায়ই। মাতৃভাষা আন্দোলনের প্রথম সূচনা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ভাষা আন্দোলন করতে গিয়ে ছাত্ররা পুলিশের সঙ্গে প্রায়ই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তেন। পুলিশের তাড়া খেয়ে ছাত্ররা পিয়ারু সর্দারের মহল্লায় এসে আশ্রয় নিত। তখন ঢাকা শহরে এত দালানকোঠা ছিল না। প্রায় ফাঁকা ছিল বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষ হলে ছাত্ররা রেললাইন পার হয়ে হোসনি দালানে এসে নিরাপদ বোধ করত। সে সময় পিয়ারু সর্দার তার মহল্লায় তল্লাশি থেকে পুলিশকে নিবৃত রাখতেন, সাহসিকতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতেন।

১৯৫২ সালে ভূমিকা
১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সেদিন একুশে ফেব্রুয়ারিতে আমতলায় ঐতিহাসিক ছাত্র সমাবেশে ১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিল করে। এ মিছিলে পুলিশ গুলি চালিয়ে ছাত্রদের হত্যা করে। সেদিন ছাত্র-জনতার এমন করুণ মৃত্যু পিয়ারু সর্দারকে নাড়া দিয়েছিল।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্ররা এই শহীদদের স্মৃতিকে চির অম্লান করে রাখার উদ্দেশে হত্যাকাণ্ডের স্থানে একটি শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। এ সময় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সম্প্রসারণের কাজ চলছিল। কলেজের ভেতরই ইট, বালি, রড স্তূপাকারে ছিল।সিমেন্ট ছিল তালাবদ্ধ একটি গুদামে।

ওই গুদামের চাবি ছিল পিয়ারু সর্দারের কাছে। সর্দারগিরির পাশাপাশি তিনি ঠিকাদারির কাজ করতেন। ছাত্ররা হোসনি দালানে অবস্থিত পিয়ারু সর্দারের বাড়িতে এসে তাকে তাদের অভিপ্রায়ের কথা জানায় এবং তাকে ইট, বালি ও সিমেন্ট দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করে। সর্দার সাহেব কালবিলম্ব না করে বাড়ির ভেতর থেকে চাবি এনে মেডিকেল ছাত্র আলী আছগরের হাতে দিয়ে বলেন, 'যতটুকু প্রয়োজন হয় সিমেন্ট ব্যবহার করো। সিমেন্ট নেওয়া হলে চাবি ফেরত দিয়ে যেও।

' তিনি সেদিন ছাত্রদের সঙ্গে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য একজন ওস্তাগারও পাঠিয়ে দেন। ২৩ ফেব্রুয়ারির এক রাতের শ্রমে গড়ে তোলা হয় ভাষা শহীদদের স্মরণে দেশের প্রথম শহীদ মিনার। পরবর্তীকালে এই স্থান থেকে গড়ে ওঠে আজকের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার।

ঢাকার সর্দার
পিয়ারু সর্দার ব্রিটিশ আমলের শেষ দিকে ঠিকাদারী ব্যবসা শুরু করেন। পাকিস্তান আমলে তিনি ছিলে প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার। ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তন এবং রমনা পার্ক ছাড়াও রানি এলিজাবেথের জন্য পার্কের বিরাট মঞ্চ তৈরি করেন তিনি, যা বর্তমানে শতায়ু মঞ্চ নামে পরিচিত। মন্ত্রিপাড়ার বেশকিছু ভবনের নির্মাণের সঙ্গেও তিনি জড়িত। কারো কারো মতে, ঢাকা স্টেডিয়াম নির্মাণ করেন যেসব ঠিকাদার, তাদের মধ্যে তিনিও ছিলেন। নারায়ণগঞ্জের আদমজী জুটমিল, মোহাম্মাদপুরের রিফিউজি কলোনি এবং আসাদগেটের নির্মাণকাজের ঠিকাদারও পিয়ারু সরদার।

১৯৫২ সালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের নার্সিং হোস্টেল পিয়ারু সরদারের হাতে নির্মিত হয়। বলা হয়ে থাকে, রানী এলিজাবেথের আগমন উপলক্ষে ঢাকাকে তিলোত্তমা করে সাজাতে তেজগাঁও বিমান বন্দর থেকে লাট ভবন (বঙ্গভবন) পর্যন্ত দ্রুততম সময়ে নতুন রাস্তা নির্মাণেও পিয়ারু সরদারের ভূমিকা ছিল। পিয়ারু সরদার একবার ঢাকা পৌর করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করে কমিশনার নির্বাচিত হন। বর্তমানে পিয়ারু সর্দার অ্যান্ড কোং ঢাকার ঈদগাহের নামাজের প্যান্ডেল নির্মাণ করে।

সম্মাননা
২০১৫ সালের বাংলাদেশের জাতীয় পদক একুশে পদক মরনোত্তরভাবে তাকে প্রদান করা হয়।