গ্রেফতার হতে পারেন ক্যাসিনো সাঈদ

ক্যাসিনো ব্যবসার অন্যতম হোতা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৯নং ওয়ার্ডের অপসারিত কাউন্সিলর একেএম মমিনুল হক ওরফে সাঈদ ওরফে ক্যাসিনো সাঈদ এখন ভোটের মাঠে সক্রিয়। খেলার ক্লাবে ক্যাসিনো পরিচালনার অন্যতম মূলহোতা বলেও তাকে আখ্যা দিয়েছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
অবৈধভাবে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা উপার্জনের অভিযোগে তার নামে দুদকে মামলা রয়েছে।
এত কিছুর পরও এবার সিটি নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন তিনি। এ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে, ক্যাসিনো থেকে অবৈধ অর্থ উপার্জনের অভিযোগ থাকলেও কীভাবে নির্বাচন করছেন সাঈদ? ক্যাসিনো অভিযানের পর সাঈদ পলাতক থাকলেও হঠাৎ তার প্রার্থী হওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
তার নামে মামলা থাকার পরও তিনি কীভাবে প্রার্থী হলেন আর কেনই বা তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিআইডি বলছেন, সাঈদের নামে হওয়া ৯টি মানি লন্ডারিং মামলা ছাড়াও আরও ১০টি মামলা রয়েছে। সেগুলো তদন্তের জন্য ফাইল খুলেছে সিআইডি। তদন্ত শেষে তার সংশ্লিষ্টতা থাকলে তাকে যেকোনো গ্রেফতার করা হবে।
সোমবার ক্যাসিনো কান্ডে জড়িত এনু ও রুপনের ব্যাপারে এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের ডিআইজি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, সাঈদ কমিশনারের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং রিলেটেড কোনো মামলা আমাদের কাছে নেই। কিন্তু তদন্তের ফাইল খোলা আছে। মানি লন্ডারিংয়ের ৯টি মামলা ছাড়াও ১০টি মামলা রয়েছে। সেগুলো তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত শেষ হলে যারা অভিযুক্ত তাদের ধরা হবে।
অন্য আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে সাঈদের নাম এসেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্তাকালীন সময় স্পেসিফিকভাবে (সুনির্দিষ্ট) এগুলো নিয়ে কথা বলা যাবে না। যখন আসবে আমরা সেটা গণমাধ্যমে প্রকাশ করব।
এর আগে গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হলে ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মমিনুল হক সাঈদ আত্মগোপনে চলে যান। তিনি বিদেশে থাকার সময়ই তার বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয় পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)।
তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছিল, খেলার ক্লাবে ক্যাসিনো পরিচালনার অন্যতম রূপকার সাঈদকে তারা খুঁজে পাচ্ছে না। এর তিন মাস পর ২৬ ডিসেম্বর তিনি আবারও ঢাকায় ফেরেন। এর আগেই তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।