ঢাকা রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


এমপি কেরামতের বিরুদ্ধে নারী পাচারের অভিযোগ!


২ অক্টোবর ২০২০ ০৬:৪৩

আপডেট:
১৯ মে ২০২৪ ০৭:০৫

১৯৯২ সালে প্রথমবার উপনির্বাচনে সংসদ হয়েছিলেন। এরপর আরো চারবার সংসদ সদস্য হয়েছেন। এমনকি ১০ সংসদে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীও হয়েছিলেন। প্রতিমন্ত্রী হয়ে নিজ মেয়েকেই সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) হিসাবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। ১৯৯০ সাল থেকেই জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়ে আছেন।

কথা হচ্ছিল রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলীকে নিয়ে। তার কেরামতিতেই লুটেপুটে খাচ্ছে পুরো রাজবাড়ী শহরকে। এমপি কেরামতের ভয়ংকর কেরামতি নিয়ে ভোরের পাতার ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ থাকছে দ্বিতীয় পর্ব।

বিতর্কিত এই এমপির বিরুদ্ধে এবার নারী পাচারের অভিযোগও পাওয়া গেছে। দৌলতদিয়া পতিতালয় থেকে নারীদের নানান দেশে পাচার করা হচ্ছে জানিয়েছে নির্ভরযোগ্য সূত্র। এমনকি কয়েকদিন আগে মারা যাওয়া দৌলতদিয়া ঘাটের গডফাদার এবং ত্রাস নুর মণ্ডলের মাধ্যমে তিনি এমন কাজটি করতেন। যদিও এ বিষয়ে মন্তব্য জানার জন্য তাকে ফোন করলেও রিসিভ করেননি। তবে তিনি ছাত্রলীগের এক নেতাকে দিয়ে এ প্রতিবেদকের সাথে যোগাযোগ করার দায়িত্ব দেন। যদিও এ প্রতিবেদক তার সাথে দেখা করতে রাজি হননি।

পদ্মাপারের এলাকার মানুষের কাছে মৃত নূর মণ্ডল ছিলেন খুলনার সেই ‘এরশাদ শিকদার’-এর চেয়েও ভয়ংকর। ২০ বছর ধরে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট দাপিয়ে বেড়িয়েছেন তিনি। অনেকে তাকে পদ্মাপরের ত্রাসও বলে থাকতেন।

যখন যে দল ক্ষমতায় আসে, তখন রাতারাতি তিনি সেই দলের সদস্য বনে যেত নূর মণ্ডল। টানা ১২ বছর ধরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় বর্তমান এমপি কেরামত আরীর ছত্রছায়ায় থেকে নির্বিঘ্নে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে গেছেন। সরকারি দলের স্থানীয় নেতারাও তাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে।

এই নূর মণ্ডল মারা যাওয়ার পর এমপি তার নিজের পরিবারের একজন সদস্যকে দৌলতদিয়া পতিতালয়ের দেখবালের দায়িত্ব দিয়েছেন। সেখানে থেকে প্রতি মাসেই কোনো না কোনো নারীকে পাচার করা হচ্ছে। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এমপির সিন্ডিকেট এ কাজটি চালিয়ে যাচ্ছে। দৌলতদিয়া ঘাটে ফেরিওয়ালার কাজ করে জিবিকানির্বাহ করতেন মৃত নূর মণ্ডল। কালের বিবর্তন ও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় তিনি দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের স্বঘোষিত রাজা বনে গিয়েছিলেন। ‘স্থানীয় সংসদ সদস্যের (কাজী কেরামত আলী) প্রত্যক্ষ মদদে তিনি রাজনীতিবিদও হয়েছিলেন।।

এদিকে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ভোরের পাতাকে বলেন, কোনো এমপির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের কথা আমার জানা নেই। আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টা জানলাম। আমি বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দেয়া হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক ভুক্তভোগীর অভিযোগে বলা হয়েছে, মৃত নুরুল ইসলাম মণ্ডলের সন্ত্রাসী কার্যক্রম কুখ্যাত সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদারের চেয়েও ভয়ংকর। অন্তত ২২টি খুনের পেছনে রয়েছে তার হাত ছিল। এসব কাজে নূর মণ্ডলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসাবে কাজ করেছেন এমপি কাজী কেরামত আলী। নূর মণ্ডল মরার পর তার ভাই এবং ‍রুবেল নামের একজন দায়িত্ব পালন করছেন এসব অপকর্ম করার জন্য।

চলবে...