ঢাকা রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


যুবলীগের কমিটিতে যারা থাকছেন


১৪ নভেম্বর ২০২০ ২২:০৪

আপডেট:
১৫ নভেম্বর ২০২০ ০৩:২০

যুবলীগের কমিটিতে ২৭ জন প্রেসিডিয়াম সদস্যের মধ্যে ২২ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। পাঁচটি পদ ফাঁকা রয়েছে। প্রেসিডিয়াম সদস্যদের তালিকায় রয়েছেন অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ, মঞ্জুর আলম শাহীন, আবু আহমেদ নাসিম পাভেল, শেখ সোহেল উদ্দিন, ডা. খালেদ শওকত আলী, শেখ ফজলে ফাহিম, মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনসহ অন্যরা।

কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন পাঁচ জন। তারা হলেন বিশ্বাস মতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, মো. বদিউল আলম, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম ও মো. রফিকুল আলম জোয়ারদার।

সংগঠনের ৯ সাংগঠনিক সম্পাদক হলেন— কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, ডা. হেলাল উদ্দিন, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মো. জহির উদ্দিন খসরু, মো. সোহেল পারভেজ, আবু মুনির মো. শহিদুল হক রাসেল, মশিউর রহমান চপল, অ্যাডভোকেট মো. শামীম আল সাইফুল সোহাগ ও প্রফেসর ড. মো. রেজাউল কবির।

এছাড়া ২১ জনকে বিভিন্ন দপ্তরে সম্পাদক ও ২১ জনকে দপ্তরগুলোতে উপ-সম্পাদক পদ দেয়া হয়েছে। ৪১ জনকে দেয়া হয়েছে সহ সম্পাদকের পদ, ৭৫ জন রয়েছেন নির্বাহী সদস্য।

স্বাধীনতার পরপরই ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর যুবকদের সংগঠিত করার লক্ষ্য নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে যুবলীগ গঠন করেন তার ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শেখ ফজলুল হক মনি। ১৯৭৪ সালে যুবলীগের প্রথম কংগ্রেসে তিনিই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

সর্বশেষ ২০১২ সালে ষষ্ঠ কংগ্রেসে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান শেখ মনি ও শেখ সেলিমের ভগ্নীপতি ওমর ফারুক। তারপর ছয় বছর নির্বিঘ্নে কাজ করে এলেও গত বছর ক্যাসিনোকাণ্ডে বড় ধাক্কা খান ওমর ফারুক; সেই সঙ্গে সমালোচনায় নাকাল হয় যুবলীগ। এরপর সংগঠনটির অনেকেই ক্যাসিনোকাণ্ডসহ নানা অভিযোগে কারাগারে আছেন। অনেকেই সংগঠন ত্যাগ করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

প্রায় সাত বছর আগে ২০১৩ সালের প্রথম দিকে চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর রশিদ পূর্ণাঙ্গ কমিটি করেছিলেন। সেই কমিটির নেতাদের অনেকেই ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত থাকাসহ নানা অপরাধে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

 


শনিবার যুবলীগের যে কমিটি ঘোষণা হয়েছে সেখানে প্রেসিডিয়াম সদস্যদের তালিকায় মাশরাফির নাম নেই।

১৩ পদ খালি রেখে কংগ্রেসের প্রায় এক বছর পর বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ২০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শনিবার সন্ধ্যায় যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

কমিটিতে রয়েছেন যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শেখ ফজলুল হক মনির ভাতিজা ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম ও আলোচিত ফরিদপুরের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন। এ ছাড়া ব্যারিস্টার সাইয়্যেদুল হক সুমনের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচিত মুখও আছেন এবারের কমিটিতে।  

দীর্ঘ সাত বছর পর ২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয় যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেস। এর মধ্য দিয়ে যুবলীগের নেতৃত্বে আসেন যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মনির বড় ছেলে শেখ ফজলে শামস পরশ ও মাইনুল হোসেন খান নিখিল।