ঢাকা রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


ছাত্রলীগের উপ গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হলেন ঝালকাঠির আমানুল্লাহ আমান


৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৭:১০

আপডেট:
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৭:২৬

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের শূন্য ৬৮ টি পদ পূরণ করা হয়েছে। সেখানে ২৫ জন সহ-সভাপতি, ৪৩ জনকে বিভিন্ন সম্পাদক হিসাবে রাখা হয়েছে। রবিবার ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

সদ্য ঘোষিত এই কমিটিতে গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক উপ-সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন আমানুল্লাহ আমান। তার জন্ম ঝালকাঠি রাজাপুর উপজেলায়। স্কুল জীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে যান আমানুল্লাহ আমান। উচ্চ মাধ্যমিক পাসের পর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃত বিভাগে। বিভাগটিতে প্রথম শ্রেণীতে নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম শেষ করেন। এর আগে তিনি শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগ উপ-প্রচার সম্পাদক ও সহ-সভাপতি মনোনীত হোন।করোনার মধ্যেও ছাত্রলীগের ব্যানারে মানবিক কাজ ছিলো উল্লেখযোগ্য।

আমানুল্লাহ আমান বলেন, আমি এক জন ভালো রাজনীতিবিদ হতে চাই। দেশের জন্য কাজ করতে চাই। প্রমাণ করতে চাই, ভালো মানুষরা রাজনীতি করলে সবাই তাকে ভালোবাসে। দেশ এগিয়ে যায়। সেবা করা যায় মানুষের। তবে এটাও ঠিক একজন ভালো রাজনীতিবিদ ছাড়া দেশের সামগ্রিক বা সবার সেবা করা কখনোই সম্ভব না। তাই নিজেকে সেই জায়গায় পৌঁছাতে চাই।

২০১৮ সালে ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলনের সংগঠনটির সভাপতি পদে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক পদে গোলাম রাব্বানীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

শোভন-রাব্বানী দায়িত্ব পাওয়ার এক বছর পর ২০১৯ সালের ১৩ মে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটি ঘোষণার পরপরই অভিযোগ ওঠে, কমিটিতে যোগ্যদের স্থান না দিয়ে রাখা হয়েছে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি, মাদকসেবী, বিএনপি-জামায়াত ও রাজাকার পরিবারের সন্তান, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত, সন্ত্রাস-চাঁদাবাজিতে যুক্ত, বিবাহিত, সংগঠনে নিষ্ক্রিয় এবং অছাত্রদের। সংগঠনের আগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামেন ছাত্রলীগের পদ না পাওয়া নেতাকর্মীরা।

নানা অভিযোগে পূর্ণাঙ্গ মেয়াদে দায়িত্ব পালনের আগেই ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করতে বাধ্য হন শোভন-রাব্বানী।তাদের অব্যাহতির পর সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতির ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান যথাক্রমে আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্য।তিন মাস ভারপ্রাপ্ত থাকার পর ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তাদের পূর্ণাঙ্গ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

পরে দায়িত্ব গ্রহণের পর ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর জয়-লেখক কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বিতর্কিত ২১ জনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায়, তাদের পদ শূন্য ঘোষণা করেন। পাশাপাশি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আরও ১১ জনের পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর নথি জালিয়াতির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত বদলে দেওয়ার অভিযোগে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহসভাপতি তরিকুল ইসলাম মুমিনকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। এর বাইরে বিভিন্ন সময় আরও চারটি পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়।