ঢাকা রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


টেকনাফ ছাত্রলীগের নতুন সা. সম্পাদককে নিয়ে অপপ্রচার


১৫ এপ্রিল ২০২১ ০৩:০৩

আপডেট:
১৯ মে ২০২৪ ০৮:১৬

টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনের দেড়মাস পর সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মুন্না সভাপতি ও নূরুল মোস্তফাকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে একটি কমিটি অনুমোদন দিয়েছে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ। তবে কমিটি ঘোষণার পরপরই সাধারণ সম্পাদক নুরুল মোস্তফাকে নিয়ে অপপ্রচার ও গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।

মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান স্বাক্ষরিত জেলা ছাত্রলীগের অফিসিয়াল প্যাডে এই কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়। অনুমোদনের ৩ মাসে মধ্যে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করে জেলা ছাত্রলীগ বরাবর জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

কমিটি অনুমোদন ঘোষণার পর সাধারণ সম্পাদক নূরুল মোস্তফার সাথে টেকনাফ বিএনপির সাবেক এমপির সঙ্গে  তোলা একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেইস বুক) ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে তাকে ছাত্রদলের কর্মী বলে দাবী করা হয়। বিষটির সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে জানা যায়, ছবিটি বিগত ৭ বছর পূর্বে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে তোলা।

জেলা ছাত্রলীগের একটি সূত্র ও বর্তমান কমিটির সভাপতি সাইফুল জানান, নূরুল মোস্তফা চট্টগ্রাম কাজেম আলী স্কুলে পড়াশোনা কালিন ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। পরবর্তিতে ২০১৪ সাল থেকে কক্সবাজার সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন।
টেকনাফ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি গিয়াস উদ্দিন বলেন, নুরুল মোস্তফা ছাত্রদলের কোন পদে ছিল না । আর তার সঙ্গে বিএনপি নেতা শাহজাহান সাহেবের যে ছবি দেখা যাচ্ছে সেটি একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে তোলা ছবি। সামাজিক অনুষ্ঠানে যে কারো সাথে যে কারো ছবি থাকতে পারে। সেটি কোন রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়।

নুরুল মোস্তফা ২০১২ সাল থেকে ছাত্রলীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। তার প্রমাণস্বরূপ তিনি বিভিন্ন ছবি ফেসবুকে আপলোড করেছেন।

টেকনাফ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি গিয়াস উদ্দিন বলেন, ঝুমুরিয়া মাদ্রাসার ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল মোস্তফা আর ছাত্রলীগের এই নুরুল মোস্তফা এক ব্যক্তি নন।  

প্রসঙ্গত, গত ২৫ ফেব্রুয়ারী টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের দশম সম্মেলন অনুষ্টিত হয়। সম্মেলনে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে মোট ৩৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। ওই দিন সম্মেলন শেষে কাউন্সিল অধিবেশন না করে নেতৃবৃন্দ কক্সবাজার ফিরে আসেন।