ঢাকা রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


বরগুনা-২ একাধিক প্রার্থী,জনপ্রিয়তার শীর্ষে সুভাষ হাওলাদার


২৮ অক্টোবর ২০১৮ ০৮:০৪

আপডেট:
২৮ অক্টোবর ২০১৮ ০৮:২৪

সুভাষহাওলাদার ও প্রধানমন্ত্রী

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বরগুনার বামনা-পাথরঘাটা-বেতাগীতে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন প্রধান দুইটি দলের নেতাকর্মীরা। মনোনয়ন প্রত্যাশিরা মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। ১১০-বরগুনা-২ (পাথরঘাটা-বামনা-বেতাগী) আসন একসময় বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত থাকলেও ২০০৮ সালের নির্বাচনে এটি দখলে নেয় আওমীলীগ। তবে এ আসন পুনরায় দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে বিএনপি। এক্ষেত্রে বিএনপি একজন শক্তিশালী নেতা পেয়েছে। তিনি হলেন কেন্দ্রীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাড.খন্দকার মাহবুব হোসেন।
আওয়ামীলীগের বর্তমান এমপি শওকত হাচানুর রহমান রিপনের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত:নেই। নিজ হাতে দলীয় নেতা-কর্মীদের মারধরেরও একাধিক অভিযোগ আছে। উপজেলা,ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে নিজ দলের নেতাদের সাথেও তার সু-সম্পর্ক নেই বললেই চলে। আর এ সুযোগে জনসম্পৃক্ততায় শীর্ষে অবস্থান তৈরি করে নিয়েছেন আওয়ামী যুবলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা আওয়ামীলীগের তরুন নেতা সুভাষ চন্দ্র হাদার। এছাড়াও শীর্ষ পর্যায় থেকে গ্রীন সিগনাল পেয়েছে বলে জানান আওয়ামীলীগের নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র।
দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে আওয়ামীলীগের মনোনয়নের তালিকায় নাম উঠে এসেছে সুভাষ হাওলাদারের। এলাকায় দুস্থ-দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বৃত্তি, শিক্ষিত বেকার যুবকদের কর্ম সংস্থান, রিক্সাচালকদের দান-অনুদান প্রদান এবং মসজিদ, মন্দির, বিদ্যালয় ও সামাজিক সেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানে মান-উন্নয়নে অগ্রনী ভূমিকা রয়েছে তার।
এ সম্পর্কে যুবলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র হালদার বলেন,  বলেন, আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিলে এ আসনের মানুষের ভালোবাসা ও সমর্থনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবো। নৌকার বিজয়ের ধারাকে অব্যাহত রাখতে সক্ষম হবো। সেই সঙ্গে অবহেলিত এই জনপদের ভাগ্য উন্নয়নে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে এক সঙ্গে কাজ করে যাবো।

তিনি আরো বলেন, আমি বরগুনা-২ আসনের মানুষের স্নেহ ভালোবাসায় আমি একটু একটু করে বড় হয়েছি,এ এলাকার বাতাস আমাকে নিঃশ্বাস যোগিয়েছে,আকাশ দেখিয়েছে স্বপ্ন,সবুজ শ্যামল-গ্রামের মানুষগুলোর সরলতা আমার বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা,  বরগুনা-২ আসনের মাটি ও মানুষের তরে জীবন উৎসর্গ করার মাধ্যমেই জীবন পরিপূর্ণতা পাবে বলে আমি মনে করি। এম,পি, মন্ত্রী আল্লাহতা’লা কপালে লিখে থাকলে একদিন হলে হতেও পারি – এটা দলের হাইকমান্ডের বিষয়। একজন রাজনৈতিক কর্মীর ক্ষেত্রে নেতা হওয়া বা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়াটাই জীবনের একমাত্র লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য নয়, মানুষকে ভালোবেসে জনকল্যােণ নিজেকে সম্পূর্ণ ভাবে উজাড় করে দেয়াই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এবং দেশরত্ন শেখ হাসিনার মূল রাজনৈতিক দর্শন – তাঁর প্রতি সম্পূর্ন আস্হা এবং বিশ্বাস রেখে, বরগুনা-২ আসেনর সন্তান হিসেবে, আপনাদের ছেলে হিসেবে আপনাদের পাশে থেকেই বাঁচতে চাই, মরতেও চাই আপনাদেরই কাছে!

এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, সুখে-দু:খে বরগুনা-২ আসনের সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে, জন সাধারনের মনিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন তরুন নেতা  সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার। তিনি বর্তমানে এমপি না হয়েও এলাকার উন্নয়নে কাজ করছেন।”

তরুন নেতা  সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার ছাত্রজীবন থেকেই জয় বাংলা স্লোগান কণ্ঠে ধারণ করে জড়িয়ে পড়েন রাজনীতিতে। তখন থেকেই তিনি রাজনৈতিক সকল কর্মকান্ডে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে থাকেন। রাজনীতি ও পড়াশোনা দুটিই চলতে থাকে সমান তালে।