ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২১শে আগস্ট ২০২৫, ৭ই ভাদ্র ১৪৩২


ডাকসু নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম কিনতে ছাত্রদলকে বাধা দেওয়া হচ্ছে: রিজভী


প্রকাশিত:
১৯ আগস্ট ২০২৫ ১৬:১৪

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের মনোনয়ন ফরম কিনতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

তিন বলেন, ‘আমরা এত ত্যাগ, এত রক্ত ঝরানোর মধ্য দিয়ে যে বাংলাদেশ চেয়েছি, সেই বাংলাদেশ অর্জন করতে হবে। এখনো মানুষের মাঝে মব সংস্কৃতি বিস্তার লাভ করেছে। ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের মনোনয়ন ফরম কিনতে মব তৈরি করে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আজকে ড. ইউনুস সরকারের সময়ে এই পরিস্থিতি কেন হবে?’

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন এবং দোয়া শেষে তিনি এ অভিযোগ করেন।

বিএনপির অঙ্গসংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক আহসান রাজীব, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসানসহ সহস্রাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

রংপুরের দুইজন সংখ্যালঘু মব সংস্কৃতির শিকার হয়েছেন উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘আজকে মহল্লায় মহল্লায় মব কেন হবে? জেলায় জেলায় আজ আইনবহির্ভূত কার্যক্রম চলছে, সেখানে বিশৃঙ্খল জনতা কেন নিজের হাতে আইন তুলে নেবে? কারণ, আজকে আইন প্রয়োগ ঠিকমতো হচ্ছে না। এ কারণেই বেআইনি কর্মকাণ্ড হচ্ছে। সংখ্যালঘুদের জীবনও বিপন্ন হয়েছে। আমরা এমনটা চাই না।’

বিগত ১৬ বছর ধরে ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলনে স্বেচ্ছাসেবক দলের যারা জীবন দিয়েছেন তাদের আত্মার শান্তি কামনা করেন তিনি।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, শেখ হাসিনার আমলে ব্যাংকগুলো যারা ঋণ খেলাপি হয়েছিল। সেই খেলাপি ঋণ সাড়ে তিন লাখ হাজার কোটি টাকা রি-শিডিউল করে তাদেরকে আবার নবায়ন করেছিলেন। এবার অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও প্রায় দেড় লাখ হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঋণ নবায়ন করেছেন। জনগণ এই প্রত্যাশা করে- যারা ঋণখেলাপি, যারা রাষ্ট্রের টাকা লুট করে পাচার করেছে, তছরুপ করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। মহিউদ্দিন খান আলমগীরের মতো দুর্বৃত্ত ফার্মার্স ব্যাংক করে, পদ্মা ব্যাংক করে টাকা জনগণের টাকা লুট করেছে, সেই সমস্ত ব্যাংক মালিকদেরকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান তিনি।

নির্বাচন প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ফ্যাসিবাদের আমলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত হয়ে যে ভোটকেন্দ্রগুলো করা হয়েছে। সেই ভোটকেন্দ্রগুলো বাতিল করে নতুন করে ভোটকেন্দ্র করতে হবে। ২০২৪ সালের নির্বাচন হয়েছে ভোটারশূন্য, ২০১৮ সালে হয়েছে মধ্যরাতের নির্বাচন। যদি এই নির্বাচন কমিশন এবং অন্তর্বর্তী সরকার ফেব্রুয়ারির মধ্যে আবার সুষ্ঠ নির্বাচন দেয় তাহলে মানুষ এই সমস্ত নির্বাচন ভুলে যাবে। প্রায় ১৭ বছর পর তারা নির্বিঘ্নে ও নিরাপত্তার সঙ্গে ভোটকেন্দ্রে যাবে। সেই নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করতে হবে সরকারকে।