ঢাকা রবিবার, ২৪শে আগস্ট ২০২৫, ১০ই ভাদ্র ১৪৩২


ইসির শুনানিতে হাতাহাতির ঘটনায় রুমিন ফারহানার ‘ক্ষোভ’


প্রকাশিত:
২৪ আগস্ট ২০২৫ ১৬:০৫

হাতাহাতির ঘটনায় রুমিন ফারহানার ‘ক্ষোভ’

নির্বাচন কমিশনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে অনুষ্ঠিত শুনানিতে হাতাহাতির ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপির আলোচিত নেত্রী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।

রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের শুনানির সময় দুই পক্ষের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন রুমিন ফারহানা।

রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আমিও মনে করি ২০০৮ সালের আগে যে সীমানা ছিল সেইখানেই আমাদের এখন ফিরে যাওয়া উচিত। মাঝখানে ১৫ বছর একটা ফ্যাসিস্ট সরকার ছিল, যারা তাদের নিজস্ব ভোট কারচুপির জন্য নিজস্ব সুবিধা অনুযায়ী সীমানা নির্ধারণ করেছে। সেই সীমানা আমরা মানি না। সেজন্য আমরা বলেছি, ২০০৮ এর আগে যে সীমানা ছিল দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ইচ্ছা ছিল সেখানে যাওয়া হোক।’

এ সময় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার হলো, এখানে একটি মারামারি হয়েছে। আমি যেহেতু একজন আইনজীবী, আমি মনে করেছি আমার কেস আমি নিজেই প্রেজেন্ট করব। সো আমার কেস আমি প্রেজেন্ট করেছি। আমি আশা করেছিলাম নির্বাচন কমিশনের সম্মানের দিকে তাকিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের যারা আছেন তারা গুন্ডাপান্ডা নিয়ে ঢুকবে না নির্বাচন কমিশনে। আনফরচুন্টেলি আমি দেখলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ এ যিনি প্রার্থী তিনি সদলবলে ২০-২৫ জন মিলে গুন্ডাপান্ডার মতো তারা সেখানে আচার-আচরণ করছেন। অত্যন্ত দুঃখজনক, অত্যন্ত লজ্জাজনক এবং আমি মনে করি কমিশনের গাম্ভীর্য এবং সম্মানের সঙ্গে এটা যায় না।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু ওদের ১০ জন ১২ জন মিলে কথা বলছে, সো আমি একজন কথা বলেছি। আমার পক্ষে একজন ডাক্তার, উনি কথা বলেছেন। আমি কোনো গুন্ডা-বদমাশের মেলা করিনি। করতে চাইলে করতে পারতাম। গুন্ডা আনতে চাইলে গুন্ডা আনা যায়। অসুবিধা হয় না। আমি ভদ্রলোক নিয়ে এসেছি। কিন্তু তারা যেহেতু গুন্ডাপান্ডা নিয়ে এসেছে এবং আবোল-তাবোল লোক কথা বলেই যাচ্ছে, বলেই যাচ্ছে; আমি লাস্টে একটা কথা বলার জন্য দাঁড়িয়েছি। সেখানে যেটা ১৫ বছরে হয় নাই সেটা আজকে হয়েছে। অলমোস্ট আমার গায়ে ধাক্কা দিয়ে আমাকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। যেই বিএনপির নেতাকর্মীদের জন্য গত ১৫ বছর লড়াই করলাম তারা আমাকে এখন ধাক্কা দেয়তো, ঠিক আছে ধাক্কার বদলে তো ধাক্কা আসবেই।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের খসড়া প্রকাশের পর পক্ষে ও বিপক্ষে আবেদন জমা পড়ে। আজকের শুনানির একপর্যায়ে দুই পক্ষ উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং হাতাহাতিতে লিপ্ত হয়।

উল্লেখ্য আজ নির্বাচন কমিশনে সংসদীয় এলাকার সীমানা নিয়ে দাবি আপত্তির শুনানি শুরু হয়। আজ কুমিল্লা অঞ্চলের দাবি-আপত্তির শুনানি হয়, বেলা ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, ৩ ও ৫; আড়াইটা থেকে সাড়ে ৩টায় কুমিল্লা-৬, ৯, ১০ ও ১১; সাড়ে ৩টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত নোয়াখালী-১, ২, ৪ ও ৫, চাঁদপুর-২ ও ৩, ফেনী-৩, লক্ষ্মীপুর-২ ও ৩ আসন।

১০ আগস্টের মধ্যে ৮৩টি সংসদীয় এলাকার সীমানা নিয়ে যে এক হাজার ৭৬০টি দাবি-আপত্তির আবেদন নির্বাচন কমিশনে জমা হয়। এই ১ হাজার ৭৬০টি দাবি-আপত্তিগুলো চারদিন শুনানি শেষে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।