ঢাকা বুধবার, ৬ই নভেম্বর ২০২৪, ২২শে কার্তিক ১৪৩১


ঢাকা বিভাগীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন


১৯ জুন ২০২৩ ০৪:২৬

আপডেট:
৬ নভেম্বর ২০২৪ ০০:৫০

কেউ তৈরি করেছে ফায়ার ফাইটিং রোবট, কেউবা তৈরি করেছে স্মার্ট সিকিউরিটি সিস্টেম, আবার কেউবা মডেলের মাধ্যমে তুলে ধরেছে কলকারখানা ও রাস্তায় গাড়ির ধোঁয়াসহ বিভিন্ন কারণে পরিবেশ দূষণের চিত্র।

রবিবার দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে দু'দিনব্যাপী ঢাকা বিভাগীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় এ চিত্র দেখা গেছে। মেলার উদ্বোধন করেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম।

"স্মার্টফোনে আসক্তি: পড়াশোনার ক্ষতি" এ স্লোগানকে সামনে রেখে মেলায় ঢাকা বিভাগের ১৩টি জেলার স্কুল, কলেজ, ইনস্টিটিউট পড়ুয়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞান বিষয়ক দেড় শতাধিক প্রকল্প নিয়ে হাজির হয়েছে ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা। যেখানে স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিজেদের উদ্ভাবিত সেবা নিয়ে হাজির হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা মেলায় স্মার্ট এগ্রিকালচারাল সিস্টেম, রেইন ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট, নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ, শেখ রাসেল স্মার্ট সিটি, স্মার্ট সিকিউরিটি সিস্টেম, অটোমেটিক গ্লাস এন্ড ফায়ার সেফটি সিস্টেম, পর্যবেক্ষণ বিমান, নিরবিচ্ছিন্ন রেলওয়ে যোগাযোগ, ঝুঁকিহীন নিরাপদ গ্যাস সিলিন্ডার, আপনার কোথায় চলবে আপনার ঘর, ট্রেড লাইসেন্স ডিজিটালাইজেশন ও স্মার্ট ডিজিটাল বাংলাদেশসহ বিভিন্ন ধরনের অভিনব এবং নতুন নতুন প্রযুক্তি তুলে ধরেন বিজ্ঞান মেলার প্রথমদিনে।

মাদারীপুর জেলার ডনোভান সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্ষুদে বিজ্ঞানী মালিহা অরিন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমরা মেলায় শেখ রাসেল স্মার্ট সিটি নিয়ে এসেছি। এখানে যে কোনো দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মানুষ স্মার্ট গুগলস চশমা ব্যবহার করে সেন্সরের মাধ্যমে রাস্তা পারাপার হতে পারবে। এছাড়াও এ সিটিতে আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে সহজে যেকোনো স্থানে যোগাযোগ করতে পারবে।

মেলায় ঢাকা বিভাগের ১৩টি জেলা যথাক্রমে ঢাকা, নরসিংদী, ফরিদপুর, নারায়ণগঞ্জ, টাঙ্গাইল, রাজবাড়ী, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, শরীয়তপুর, গাজীপুরের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ এবং ইন্সটিটিউটের প্রায় দুইশো শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক পরিদর্শন করেছেন।

মেলার উদ্বোধন শেষে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম বলেন, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি শিক্ষার বিবেচনায় আমরা নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি। বিভিন্ন কারণে বিজ্ঞান ও গণিত শিক্ষায় ছাত্ররা আগ্রহ হারাচ্ছে। ফলে বিজ্ঞানের ভবিষ্যৎ নিয়ে বাংলাদেশ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা রয়েছে। তাই সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এখন থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তোলার জন্য নানামুখী কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।