ঢাকা শনিবার, ২রা আগস্ট ২০২৫, ১৯শে শ্রাবণ ১৪৩২


জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ভূমিকা রাখায় সম্মাননা পেলেন সাংবাদিক মিনহাজ


প্রকাশিত:
২ আগস্ট ২০২৫ ১৫:২৫

ছবি : সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সমন্বয়ক নূরনবীকে নিরস্ত্র অবস্থায় গ্রেফতার করে অস্ত্র উদ্ধারের নাটক সাজানো নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করায় সাংবাদিক মিনহাজুল ইসলামকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আয়োজিত 'জুলাইয়ের অগ্নিসন্তানদের সম্মাননা' অনুষ্ঠানে এ সম্মাননা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা ছাত্রনেতা, জুলাই আহত ও আন্দোলনকারীদের পক্ষে ভূমিকা রাখা সাংবাদিকদের সম্মাননা দেওয়া হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের আহ্বায়ক ফয়সাল মুরাদের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শাহিন মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদদীন, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম, এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের শিক্ষা সম্পাদক মো. সোহাগ আহমেদ প্রমুখ।

জানা যায়, গত ১৯ জুলাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মিছিল বের করার প্রস্তুতিকালে সমন্বয়ক নূরনবীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাকে শাহবাগ থানার মামলায় গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। মামলার এজাহারে নূরনবীর কাছ থেকে ককটেল উদ্ধারের ঘটনা বর্ণনা করা হয়। ঘটনাটি নিয়ে "জবি শিক্ষার্থীকে নিরস্ত্র তুলে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধার মামলা" শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করেন সাংবাদিক মিনহাজুল ইসলাম। প্রতিবেদনটি ২৩ জুলাই দৈনিক মানবকণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। নূরনবীকে গ্রেফতারের স্থান, সময় ও অবস্থার সাথে মামলার এজাহারে বর্ণিত ঘটনার গরমিল তুলে ধরে প্রতিবেদনটি লেখা হয়।

এ বিষয়ে মিনহাজুল ইসলাম বলেন, তখন ইন্টারনেট ও যানচলাচল বন্ধ ছিল। আমি সাইকেল চালিয়ে আদালতে এসে নূরনবীর মামলার নথি সংগ্রহ করি। এছাড়াও ক্যাম্পাস থেকে প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য নিই এবং নূরনবীকে গ্রেফতারের সময়কার একটি ভিডিও একজনের মোবাইল থেকে সংগ্রহ করি। এরপর নিউজটি রেডি করে ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে পত্রিকার অফিসে পাঠাই।

তিনি বলেন, সে সময় আন্দোলনকারীদের ওপর নিষ্ঠুরতার অনেক নিউজই করেছি। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের পর্দানশিন ছাত্রীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা ও জখম করার ঘটনাটিও আমি প্রথম গণমাধ্যমে তুলে আনি। শেষে নিজেই সাংবাদিক পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে আন্দোলনে অংশ নেই। চব্বিশের জুলাই আমাদের সোনালি অতীত।

উল্লেখ্য, মিনহাজুল ইসলাম জুলাই আন্দোলন চলাকালে দৈনিক মানবকণ্ঠ পত্রিকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার আদালত প্রতিবেদক হিসেবে যুক্ত হন। বর্তমানে জাগো নিউজের নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে নিম্ন আদালত বিটে কর্মরত এই সাংবাদিক। ক্যাম্পাস জীবনে তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।