ঢাকা সোমবার, ৫ই মে ২০২৫, ২২শে বৈশাখ ১৪৩২


সৈয়দ আশরাফের জন্য ফেসবুকে শোকের ছায়া


৪ জানুয়ারী ২০১৯ ১৩:৪৩

আপডেট:
৫ মে ২০২৫ ০২:২৪

বৃহস্পতিবার রাতে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফের জন্য ফেসবুকে চলছে শোকের মাতম। তার দলীয় লোকজন তো বটেই সাধারণ মানুষজন থেকে শুরু করে বিরোধী দলের

বৃহস্পতিবার রাতে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফের জন্য ফেসবুকে চলছে শোকের মাতম। তার দলীয় লোকজন তো বটেই সাধারণ মানুষজন থেকে শুরু করে বিরোধী দলের নেতাকর্মীরাও সহমর্মিতা জানাচ্ছেন। 

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে অংশ নেওয়া বিএনপি নেত্রী , কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা সহমর্মিতা জানিয়ে তার মৃত্যু সংবাদে লিখেছেন ইন্নালিল্লাহে ওয়াইন্না ইলাইহে রাজিউন। 

অভিনেতা স্বাধীন খসরু লিখেছেন, একজন সৎ রাজনীতিবিদ এর প্রস্থান! আমা‌দের আশরাফ ভাই...লন্ডনে আমার বাংলা নাটকের প্রথম পরিচালক। ঢাকা‌তে প্রায়ই ন্যাম ভবন, প‌রে ২১ নম্বর বেইলি রোডে যাওয়া আসা ছিল।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নাট্য বিষয়ক উপসম্পাদক কামরুজ্জামান বিশ্বাস জিপু লিখেছেন, সৈয়দ আশরাফ!! স্রোতের বিপরীতে হাঁটা নির্লোভ, নিরহংকার, সততার মূর্ত প্রতীক, স্বাধীন বাংলার অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি শহীদ নজরুল ইসলামের সন্তান সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আপনি রাজনীতির স্মরণীয় প্রবাদ পুরুষ। রক্তে যার বিশ্বাস। শ্রদ্ধা। 

মাজহারুল ইসলাম নামে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, মহান এক নেতাকে হারালাম আমরা, বাংলার আকাশ থেকে এক নক্ষত্রের পতন হলো। ভালো থাকুন পরপারে হে নেতা।

 নাহিদ ধ্রুব লিখেছেন, ব্যক্তিগতভাবে খুব কম রাজনীতিবিদকে আমার মনে ধরে। এই খুব কমের তালিকায় একজন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তার মৃত্যুতে মনটা ভীষণ বিষণ্ণ হলো।

রায়হান সুমন লিখেছেন, আওয়ামী লীগে শেখ হাসিনার পরে যে লোকটাকে আমি সবথেকে বেশি পছন্দ করি এবং শ্রদ্ধা করি সেই লোকটা সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। পরিচ্ছন্ন ইমেজ, মাস্টার মাইন্ডেড পলিটিকাল ব্রেনের অধিকারী ছিলেন এই লোকটা। দলীয় কোরামের বাইরেও এই লোকটা অনেকের প্রিয় পাত্র ছিলেন।

মৃত্যু অনস্বীকার্য, এটার স্বাদ সকলকেই নিতে হবে, তবে কিছু মৃত্যু খুব ছুঁয়ে যায়। একজন আনিসুল হকের পর একজন সৈয়দ আশরাফের শূন্যতা আমাদের রাজনীতিতে খুব ভোগাবে। মহান মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর অন্যতম সদস্য ছিলেন সৈয়দ আশরাফ। আওয়ামী লীগের দু:সময়ের এই কাণ্ডারি ছিলেন আমার পলিটিকাল আইকন। বাংলাদেশের রাজনীতি সৈয়দ আশরাফের মত লোককে মিস করবে খুব।

আতিক সিদ্দিকী নামে একজন ফার্মাসিস্ট লিখেছেন, না ফেরার দেশে চলে গেছেন আওয়ামী লীগের রত্নমানব। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাপসী রাবেয়া লিখেছেন, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আর নেই। জাতি একজন প্রজ্ঞাবান নেতা হারালো, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের জায়গাটা আপনাতে খুব বেশি সুন্দর ছিলো।

ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত ৬৮ বছর বয়সী সৈয়দ আশরাফ থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন। অসুস্থতার কারণে গত ১৮ সেপ্টেম্বর সংসদ থেকে ছুটি নেন তিনি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সৈয়দ আশরাফ কিশোরগঞ্জ সদর ও হোসেনপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত কিশোরগঞ্জ-১ আসনে নৌকা প্রতীকে জয়ী হন।