ঢাকা শনিবার, ১১ই মে ২০২৪, ২৯শে বৈশাখ ১৪৩১


রোহিঙ্গাদের অবশ্যই ফেরত নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী


৩১ জানুয়ারী ২০১৯ ১৩:১৩

আপডেট:
১১ মে ২০২৪ ২২:০২

ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রী জুয়্যান কুউক দেজং বুধবার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ছবি: ফোকাস বাংলা।

মিয়ানমারের বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নিতে দেশটির সরকারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে ভিয়েতনামসহ বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারকে অবশ্যই এখান থেকে তাদের নাগরিকদের ফেরত নিতে হবে। তাদের প্রত্যাবর্তনে আমরা বিশ্ব সম্প্রদায়ের সহায়তা চাই।

ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রী জুয়্যান কুউক দেজং বুধবার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে, এ আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনে বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে। কিন্তু এই চুক্তির বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে। তিনি বলেন, তার সরকার রোহিঙ্গাদের অস্থায়ীভাবে অন্যত্র স্থানান্তরের জন্য একটি দ্বীপের উন্নয়ন করছে। তবে তাদেরকে অবশ্যই নিজ দেশে ফেরত যেতে হবে। ভিয়েতনামের উপমন্ত্রী ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, এটি এক বিশাল মানবিক কাজ। তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য একটা বড় বোঝা।

এ প্রসঙ্গে সফররত মন্ত্রী বলেন, ভিয়েতনাম রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের সঙ্গে সংহতির অংশ হিসেবে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার অনুদান দেবে। প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতার জন্য উভয় দেশের দীর্ঘ সংগ্রামের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, আমাদের ছাত্রজীবনে স্বাধীনতার জন্য ভিয়েতনামের সংগ্রাম দেখেছি এবং আপনাদের লড়াই-সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।



শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে যুবকদের একটি প্রতিনিধিদল ভিয়েতনাম সফর করে। আমার ভাই ওই প্রতিনিধিদলে ছিলেন। শেখ হাসিনা বলেন, দু’দেশের মধ্যে যোগাযোগ এবং ব্যবসা-বাণিজ্য জোরদারের বিষয় বাংলাদেশ গুরুত্ব দিচ্ছে। তিনি দু’দেশের মধ্যে কৃষি খাতে সহযোগিতা সম্প্রসারণে বিপুল সম্ভাবনার ওপর জোর দেন। কৃষি খাতে ভিয়েতনামের ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে, এ খাতের আরও উন্নয়নে আমরা এই অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারি।

ভিয়েতনামের উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা জোরদার হলে উভয় দেশের পর্যটন খাতের উন্নয়ন ঘটবে। বৈঠকের শুরুতে দেজং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দেন।

তিনি শেখ হাসিনাকে বলেন, পুনরায় আপনি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় আমাদের সরকার ও জনগণ অত্যন্ত খুশি। বাংলাদেশকে ভিয়েতনামের চিরাচরিত বন্ধু উল্লেখ করে উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, দু’দেশের মধ্যে প্রচুর মিল রয়েছে। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের জন্য দু’দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রী ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভিয়েতনাম সফরের আমন্ত্রণ পৌঁছে দেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।