চেয়ারম্যান পদে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আল-আমিন

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বইছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের হাওয়া। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এখানে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন চাইছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র এইচ এম আল আমিন আহমেদ।
সে লক্ষ্যে নবীনগর উপজেলার পৌর এলাকাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন এ তরুণ নেতা। তাকে নিয়ে প্রচারনায় সরব হয়ে উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেইজগুলিও। এসব প্রচারণায় ইতিবাচক সাড়া মেলেছে সর্বমহলে। তাই তরুণ এই ছাত্রনেতাকে নিয়ে উপজেলার সাধারণ ভোটারদের মধ্যে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে স্কুল জীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন আল আমিন। লিখাপড়ার পাশাপাশি একেবারে তৃণমূল পর্যায় থেকে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার গড়ে তুলেন তিনি। স্কুল জীবনেই নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে অত্যন্ত সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন এই উদিয়মান ছাত্র নেতা। এরপর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারী কলেজে অধ্যয়নকালে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী হিসেবে কাজ করেন। পরবর্তীতে এইচ এস সি পাশ করে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাথে সম্পৃক্ত হন।
এসময় পর্যাক্রমে আল আমিন ছাত্রলীগের কবি জসিম উদ্দিন হল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও বাংলাদেশ আওয়ামী আইন ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু শিশুকিশোর পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বেশ কয়েক বছর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এরই মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ বিজ্ঞানে বিএসএস (সম্মান) ও এমএসএস পাশ করেন মেধাবী ছাত্র আল আল আমিন।
জানা যায়, ১/১১ এর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর দলের দুর্দিনে শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনসহ নানান আন্দোলন সংগ্রামে সামনের সারিতে থেকে সাহসিকতার সঙ্গে নেতৃত্ব দেন আল আমিন । তার রাজপথে সাহসী অবস্থানের ফলে তাকে হামলা-মামলা ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে অনেকবার।
২০১৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে এইচ এম আল আমিন আহমেদ সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক পদে জোড়ালো প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীন মেরুকরণের ফলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও যোগ্যতা থাকা সত্বেও পদবঞ্চিত হন তিনি। অজ্ঞাত কারণে ছাত্রলীগের পূণাঙ্গ কমিটিতেও স্থান হয়নি মেধাবী এ ছাত্র নেতার।
কিন্তু পদবঞ্চিত হয়েও শুধু আদর্শিক কারণে দলের আন্দোলন সংগ্রামে পিছপা হননি এ ত্যাগী নেতা। দলের বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় থাকেন আগের মতোই। ঢাকার রাজপথে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি এলাকার তৃণমূল নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণের রক্ষা করে চলছেন নিবির যোগাযোগ। দলীয় কর্মকা-ের পাশাপাশি নবীনগরের সামাজিক, সাংস্কৃতিক কর্মকা-ে অংশ নিচ্ছেন সম্যকভাবে। ফলে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও গ্রহনযোগ্যতা তৈরি হয়েছে এ তরুণ নেতার।
এ ব্যাপারে এইচ এম আল আমিন আহমেদ বলেন, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করেই ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি করে আসছি। দলের সুসময়-দুঃসময়ে পাশে থেকেছি। রাজপথের পাশাপাশি তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আশা করি দলে সেটি মূল্যায়িত হবে। দলীয় মনোনয়ন পেলে নৌকার জয় নিশ্চিত করে নবীনগর উপজেলাকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হব ইনশাআল্লাহ।