ঢাকা সোমবার, ৫ই মে ২০২৫, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩২


এক নাম্বার ইয়াবা ব্যবসায়ী সাইফুল আত্মসমর্পণ করছেন


১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:৪৩

আপডেট:
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:৪৫

এক নাম্বার ইয়াবা ব্যবসায়ী সাইফুল আত্মসমর্পণ করছেন

টেকনাফের ডন হিসেবে খ্যাত ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসেবে তালিকায় থাকা এক নম্বর আসামি সাইফুল করিম আত্মসমর্পণ করে পুলিশ হেফাজতে গিয়েছেন। একই সিন্ডিকেটের আরও দুই বড় ইয়াবা ব্যবসায়ী সাইফুলের শ্যালক আবদুর রহমান ও জিয়াউর রহমানও পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।

পুলিশের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে  বলেছেন, শনিবার টেকনাফে আত্মসমর্পণের অনুষ্ঠান থাকলেও ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে কক্সবাজারের একটি বিশেষ জায়গায় আত্মসমর্পণকারীদের এনে রাখা হচ্ছে। তাদের আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গেও তাদের কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে। এখানে তাদের প্রত্যেকের সম্পদের হিসেব এবং ইয়াবা ব্যবসার সিন্ডিকেট সম্পর্কে তথ্য নেওয়া হচ্ছে।


জানা গেছে, পুলিশের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনার পর সাইফুল করিম আত্মসমর্পণ করতে রাজি হন। গত ২০ বছর ধরে সাইফুল করিম ইয়াবা ব্যবসায় এক নম্বরে অবস্থান করে আসছেন। তিনি ও তার পরিবারের ১০ সদস্যের সিন্ডিকেটে চলে ব্যবসা। এক সময়ের ছাত্রদল নেতা ও পরে বিএনপিতে নাম লেখান সাইফুল। টেকনাফের শিলবনিয়ার স্থায়ী বাসিন্দা সাইফুল এলাকায় যান না বলেই চলে, চট্টগ্রাম থেকেই তিনি ইয়াবা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন। তাকে সবাই ডন এসকে বলেই ডাকেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সর্বশেষ তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে সাইফুল করিমের নাম। এছাড়া তার ভাই রেজাউল করিম, রফিকুর করিম, মাহাবুবুল করিম ও আরশাদুল করিমের নামও রয়েছে তালিকায়। তবে তারা হেফাজতে যায়নি।

এসকের দুই শ্যালক টেকনাফের বিএনপি নেতা জিয়াউর রহমান ও শ্রমিক দলের নেতা আবদুর রহমানও এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত। সাইফুল করিমের ভগ্নিপতি সাইফুল ইসলামও রয়েছেন এই ব্যবসায়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকায় সাইফুল সম্পর্কে বলা হয়েছে, সাইফুলের মামা মিয়ানমারের মংডুর আলী থাইং কিউ এলাকার মোহাম্মদ ইব্রাহিম। সেই মূলত এই সিন্ডিকেটের প্রধান। ইব্রাহিমের মাধ্যমেই ইয়াবা আসে। সাইফুল অনেক প্রভাবশালী। তিনি টেকনাফের বিএনপির প্রভাবশালী নেতা আবদুল্লাহর ছোট বোনকে বিয়ে করেছেন। তিনি চট্টগ্রামের ভিআইপি টাওয়ারে অবস্থান করেন। চট্টগ্রামের টেরিবাজারে “বিনয় ফ্যাশন” নামের একটি কাপড়ের দোকান রয়েছে তার। এছাড়া গত ৯ বছর আগে এসকে ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি আমদানি-রপ্তানি প্রতিষ্ঠান খুলেছেন তিনি।



কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মাসুদ হোসেন দেশ রূপান্তরকে বলেন, আমরা গোপনীয়তার সঙ্গে কাজ করছি। তালিকাভুক্ত অনেক বড় ইয়াবা ব্যবসায়ীরা শনিবার আত্মসমর্পণ করতে রাজি হয়েছেন।