ঢাকা মঙ্গলবার, ৬ই মে ২০২৫, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩২


যুবলীগ দক্ষিণের ব্যতিক্রমী ভালোবাসা দিবস উদযাপন


১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৩:৫৪

আপডেট:
৬ মে ২০২৫ ০১:১৮

যুবলীগ দক্ষিণের ব্যতিক্রমী ভালোবাসা দিবস উদযাপন

ভালোবাসা শুধু প্রেমিক-প্রেমিকা, স্বামী-স্ত্রীর কিংবা বয়সের ফ্রেমে বাধা নয়। এটা প্রসারিত হয় বন্ধু-বান্ধব, পরিচিতজনসহ সবার মাঝেই। তাইতো বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে ব্যতিক্রমীভাবে দিনটি উদযাপন করলো ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের কয়েক হাজার নেতাকর্মী।

'ভালোবাসি বঙ্গবন্ধুকে, ভালোবাসি রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে, ভালোবাসি দলকে, ভালোবাসি নেতাকর্মীকে’ স্লোগানে এক ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতাকর্মী ভালোবাসায় সিক্ত করতে এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। এজন্য বিকাল ৪টায় নেতকার্মীদের রাজধানীর কাকরাইলে সমাবেত হতে বলা হয়।
বিকাল ৪টার আগেই ৭৫টি ওয়ার্ড ও ২৪টি থানার অধিকাংশ নেতাকর্মীই হাজির হন কাকরাইলে। রাজস্ব ভবন থেকে রাজমনি সিনেমা হল পর্যন্ত ছিল নেতাকর্মীদের উপচে পড়া ভিড়। সবার হাতে হাতে লাল গোলাপ ও রজনী গন্ধার স্ট্রিক।

বিকাল ৪টার দিকে অনুষ্ঠানে আসেন আয়োজক দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। এসময় সম্রাট নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ভালোবাসতে দিনক্ষণের প্রয়োজন নেই। আমরা মানুষ। আমরা সামাজিক জীব। সমাজবন্ধ হয়ে বাস করি বলেই একে অপরের আপনজন।

'ভালোবাসা শুধু প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। আমরা রাজনীতিক কর্মী। আমরা ভালোবাসি জাতির পিতাকে। আমরা ভালোবাসি রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে। আমরা শেখ হাসিনার কর্মীরা ভালোবাসি দলকে। ভালোবাসি সবাইকে। দিনটাকে আনন্দঘন ও মনোমুগদ্ধকর করে তুলতে আপনাদের ডাকা হয়েছে।'

এসময় নেতাকর্মীরা ভালোবাসি-ভালোবাসি বলে উল্লাস করেন। সম্রাট নিজ হাতে উপস্থিত নেতাকর্মীদের হাতে গোলাপ ও রজনীগন্ধার স্ট্রিক তুলে দেন। পরে সবাইকে মিষ্টিমুখ করানো হয়। অনেকেই ছবি তুলতে মেতে উঠেন। কেউ কেউ সঙ্গীত পরিবেশ করেন। দীর্ঘক্ষণ চলে তাদের ব্যতিক্রমী ভালোবাসা দিবসের আয়োজন। উপস্থিত নেতাকর্মীরা অনেকেই ভালোবাসার রং ‘লাল’ পাঞ্জাবি-টি শার্ট ও শার্ট পড়ে এসেছিলেন।

ব্যতিক্রমী আয়োজন প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট বলেন, আজকের দিনটা আসলেই বিশেষ দিন। এই বিশেষ দিনকে বিশেষভাবে পালন করতেই ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগ নিয়েছি।

দল আমাদের যে নিদের্শনা-কর্মসূচি দেয়, তা বাস্তবায়ন করি। উপস্থিত এই হাজার হাজার নেতাকর্মী ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা কর্মসূচি সফল করে। তাদের তো আর বিনোদন দিতে পারি না। তাই ব্যতিক্রমী এই আয়োজন করে সবাইকে একত্রিত করেছি।