ব্রিক ফিল্ড ব্যবসার অন্তরালে চাঁদাবাজি , কোটি টাকা আতৎসাতের অভিযোগ!

লালমোহন উপজেলা পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের গজারিয়া বাজারের পাশে অবস্থিত বহুল সমালোচিত সোনালী ব্রিকস মালিক বাবুল পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ইট বিক্রির নামে অগ্রিম টাকা নিয়ে নানা অজুহাতে উল্টো ক্রেতাদের জিম্মি করে চাঁদাবাজি, প্রতারনা ও প্রান নাশের হুমকি প্রদানের অভিযোগ পাওয়া গেছে।এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা ভাটা মালিক বাবুল পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্র জানায় , সোনালী ব্রিকস ফিল্ড ব্যবসাকে সাইনবোর্ড হিসেব ব্যবহার করে মুলত নানা অনিয়মের মাধ্যমে ক্রেতাদের কাছ থেকে সব মিলিয়ে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত আলোচিত ইট ব্যবসায়ী বাবুল পঞ্চায়েত। শুধু তাই নয় অভিযুক্ত ওই ব্যবসায়ী এসব টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো পাওনাদারদের বিভিন্ন ভাবে প্রাণনাশের হুমকি প্রদানও করছেন।
বাবুলের প্রতারনার শিকার ইট ক্রয় কর ক্রেতা একই উপজেলার বাসিন্দা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোশারেফ হোসেন শিপলু জানান, সোনালী ব্রিকস মালিক বাবুল পঞ্চায়েতের কাছ থেকে ২০১৬ সালে ৫০ হাজার ইট ২.৫০.০০০ টাকায় ক্রয় করেন। বিক্রয়ের রশিদ প্রদান করে ফিল্ড মালিক বাবুল এক সপ্তাহ পর নতুন লডের ইট ডেলিভারি দেওয়ার তারিখ প্রদান করেন ।
ডেলিভারি দেয়ার তারিখ অনুযায়ী ক্রেতা শিপলু ফিল্ডে আসার পর নতুন নাটক শুরু করেন বাবুল পঞ্চায়েত। এভাবে প্রায় তিন বছর পরও শিবলুকে ক্রয় কৃত ইট বা বিক্রির সময় নেওয়া টাকা ফেরত দেননি বাবুল পঞ্চায়েত।
টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো ফিল্ড মালিক বাবুল উল্টো পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করার পাশাপাশি প্রাণনাশের হুমকি দেন।
এতে তাৎক্ষণিক হতবাক বনে যাওয়া শিপলু আইনের আশ্রয় নিতে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেন এবং অভিযুক্ত বাবুল পঞ্চায়েতের আইনি কঠোর বিচারসহ টাকা ফেরত পেতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন। ফিল্ড মালিকের এমন হুমকিতে পরিবার নিয়ে সব সময় আতংকের ভেতর রয়েছেন বলেও জানান ভুক্তভোগী।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত সোনালী ব্রিকস মালিক বাবুল পঞ্চায়েতের সাথে যোগাযোগ করলে ব্যস্ততা দেখিয়ে পরে কথা বলবেন বলে জানান।